প্রায় সময়ই নানা ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষ করে বাংলাদেশ ইস্যুতে তো কটুক্তি করতে শুভেন্দুর বিকল্প নেই। কারণে অকারণে বাংলাদেশ নিয়ে তার কটুক্তি চলতেই থাকে।
এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জনরোষে পড়েছেন এই বিজেপি নেতা। জনরোষের মুখে শিকার হয়েছেন মারধরেরও। জানা গেছে, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নন্দিগ্রামে এক পথসভায় গিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় পার্লামেন্টে তৃণমূল নেত্রী মমতাকে নিয়ে কুরুচিকর ও অপমানজনক মন্তব্যের জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। পথসভায় শুভেন্দু অধিকারী এলে তার উপর চড়াও হোন মাঠের কর্মীরা। জানা গেছে, জুতো দিয়েও মারা হয় শুভেন্দুকে।
এর আগে ভারতীয় পার্লামেন্টে মমতাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, শরীর থাকলে জ্বর যেমন হয়, তেমনি একটু-আধটু ধর্ষণও হয়।
তার এমন মন্তব্যের কারণে পার্লামেন্ট জুড়ে হট্টগোল শুরু হয়, বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সংসদ সদস্যরা। খোদ স্পিকারই শুভেন্দুকে থামিয়ে দেন বক্তব্যের মাঝপথে। এরপরে নন্দিগ্রামে পথসভায় এসে মারধরের শিকান হন তিনি। জানা গেছে, মারধর থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে নন্দিগ্রাম থানায় আশ্রয় নেন তিনি। শেষমেষ পুলিশের নিরাপত্তায় জনরোষ থেকে রক্ষা পান শুভেন্দু।
বাংলাদেশ নিয়ে নানারকম কটুক্তিমূলক বক্তব্য করতে দেখা গেছে এই বিজেপি নেতাকে। তার বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
বাংলাদেশের ‘বৈধ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই, এমনটাই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও ভারত বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?