জার্মানিতে বড়দিন উপলক্ষে বসা বাজারে পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় দুই জন নিহত ও ৬৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাক্সেন-আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী মাগডেবুর্গ শহরে বড়দিন উপলক্ষে বসা ‘ক্রিসমাস মার্কেট’-এ অসংখ্য মানুষের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০০ মিটার পথ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান এক গাড়িচালক। এতে ঘটনাস্থলেই গাড়ির নিচে পড়ে প্রাণ হারান দুই ব্যক্তি। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।
জার্মানির কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, হামলার পরপরই দ্রুত অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে হামলাকারীর গাড়ি থামিয়ে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। হামলায় ব্যাবহৃত গাড়িটিকে জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হামলার ঘটনার পর ম্যাগডেবুর্গ পুলিশ এলাকাটি ঘেরাও করে রাখে। কারণ, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই গাড়িতে বিস্ফোরক রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়ছে।
পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তি সৌদি আরবের নাগরিক। তিনি ২০০৬ সালে থেকে জার্মানিতে বসবাস করছিলেন। তিনি সম্প্রতি বার্নবার্গে একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাঁর বয়স ৫০ বছর। সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তালেব আল আবদুল মোহসেন। পুলিশ আরও বলেছে, এই হামলাকারী জঙ্গিবাদী কি না, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তদন্ত চলছে।
রয়টার্সের খবর বলছে, এই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক বিবৃতিতে জার্মান জনগণ এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি আগামীকাল (রোববার) ম্যাগডেবুর্গ শহরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ম্যাগডেবুর্গ শহরের মেয়র সিমোন বোরিস বলেছেন, ‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি যে ম্যাগডেবুর্গ শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটবে।’
২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর বার্লিনে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ তিউনিসিয়ার এক নাগরিক গাড়ি চালিয়ে হামলা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে আহত আরও একজন মারা যান। জঙ্গিগোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
সূত্রঃ পার্সটুডে

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?