বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার ঘটনাবলীর যৌথ কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে: সর্বোচ্চ নেতা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে। এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে।

এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) ইমাম খোমেনি হোসাইনিয়ায় ইসলামি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ সাক্ষাৎ করেছেন।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ পরিকল্পনার ফসল। হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে এবং করে যাচ্ছে-সবাই তা দেখছে। কিন্তু নি:সন্দেহে মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। তিনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সাথে ইহুদিবাদী ও আমেরিকার আচরণকে এর অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন: তারা যদি সিরিয়ার ঘটনার মূল হোতা না হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য দেশের মত তারা কেন নীরব থাকল না? কেন তারা শত শত স্থাপনা, বিভিন্ন কেন্দ্রের অবকাঠামো, বিমানবন্দর, গবেষণা কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করার মতো অযাচিত হস্তক্ষেপ করলো?

ঘটনার প্রথম দু’য়েক দিনেই সিরিয়ার ৭৫টি পয়েন্টে হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে আমেরিকা। বিপ্লবের নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন: তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদীরাও সিরিয়ার ভূমি দখল করে তাদের ট্যাংক নিয়ে দামেস্কের কাছাকাছি চলে এসেছে। যেই আমেরিকা অন্যান্য দেশের ছোটখাটো সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়, তারা একটু প্রতিবাদও তো করলো না, উল্টো বরং তারা সাহায্য করেছে। তো, সিরিয়ার এই ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না যে এইসব দুর্ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে?

হজরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদীদের জড়িত থাকার আরেকটি প্রমাণ ব্যাখ্যা করে বলেন: শেষের দিনগুলোতে সিরিয়ার একটি অঞ্চলের জনগণের জন্য-বিশেষ করে জয়নাবিয়াহ-এলাকার জন্য কিছু সাহায্য ও ত্রাণ পাঠানোর কথা ছিল।

কিন্তু ইহুদিবাদীরা সমস্ত স্থলপথ এবং বিমানপথ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা এবং ইহুদিবাদীরা ওই সাহায্যগুলোকে ফ্লাইটের মাধ্যমেও আকাশপথে স্থানান্তর করতে দেয় নি। যদি তারা সিরিয়ার ঘটনার নেপথ্যে না থাকবে এবং কোন সন্ত্রাসী বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে, তাহলে তারা সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করা বন্ধ করল কেন?

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: প্রতিরোধ ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্য হলো: যত বেশি ধাক্কা দেবেন, তত তারা শক্তিশালী হবে। যত বেশি অপরাধযজ্ঞ চালাবেন, তত বেশি উদ্যমী হবে। আপনি তাদের সাথে যত বেশি লড়াই করবেন, তত বেশি তারা বিস্তৃত হবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের পরিধি গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে আগের চেয়ে বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। এই পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

প্রতিরোধের অর্থ সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, তারা মনে মনে ভাবে, যখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন ইসলামি ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায়, ইরান অনেক শক্তিশালী এবং সামনের দিকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

অবশ্য যেসব আগ্রাসীর কথা উল্লেখ করলাম তাদের প্রত্যেকেরই একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়ার উত্তর বা সিরিয়ার দক্ষিণ থেকে ভূমি দখল করতে চাচ্ছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে,এগুলোই তাদের লক্ষ্য।

সময়মতো দেখা যাবে তাদের এইসব লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জিত হবে না ইনশাআল্লাহ। সিরিয়ার দখলকৃত এলাকা মুক্ত হবে উদ্যমী সিরিয়ান যুবকদের মাধ্যমে; এটা যে ঘটবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমেরিকার অবস্থানও মজবুত হবে না, আল্লাহর রহমতে, আমেরিকাকেও প্রতিরোধ ফ্রন্টের মাধ্যমে এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হবে।

তিনি গত ১৪ মাসের চাপে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইসলামি জিহাদ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি বাহিনী শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই শক্তিশালী হবার ঘটনাকে সত্যের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বিপর্যয়ের চাপ এবং সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর ক্ষতি খুব ভারী ছিল, কিন্তু হিজবুল্লাহর শক্তি এবং মুষ্টি আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে এবং এই সত্য উপলব্ধি করে তারা যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি ইহুদিবাদীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাকে জাতিগুলোর জন্য লাল রেখা বলে উল্লেখ করে বলেন: ইহুদিবাদী এবং তাদের সহযোগীদের জানা উচিত; ঐশি নিয়ম অনুসারে অপরাধ কখনও বিজয় নিয়ে আসে না। আজ সেই ঐশি নীতি এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে গাজা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর এবং লেবাননে।

বহু বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: একটি বিষয় যা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীই জানে না তা হলো, সিরিয়া সরকারকে আমাদের সাহায্যের আগে, অর্থাৎ পবিত্র প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যখন সবাই সাদ্দামের পক্ষে এবং আমাদের বিপক্ষে কাজ করছিল, সিরিয়া সরকার তখন ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছিল। সিরিয়া সরকার ওই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ইরাক থেকে ভূমধ্যসাগরে তেলের পাইপলাইন বন্ধ করে দেয় এবং সাদ্দামকে তার আয় থেকে বঞ্চিত করে।

তিনি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি যুবকদের উপস্থিতি এবং কিছু ইরানি কমান্ডারের উপস্থিতির কারণ হিসেবে আইএসআইএস মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে বলেন: আইএসআইএস ছিল নিরাপত্তাহীনতার একটি বোমা। তারা সিরিয়া ও ইরাককে নিরাপত্তাহীন করার পর আমাদের দেশকেও নিরাপত্তাহীন করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে কাজ করছিল।

আমাদের কর্মকর্তারা খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীযাত্রা বন্ধ করা না হলে নিরাপত্তাহীনতা পুরো ইরানকে ছেয়ে ফেলবে। তাদের সন্ত্রাসী বিপর্যয়ের উদাহরণ আপনারা আমাদের সংসদ, শাহচেরাগ এবং কেরমানের ঘটনাগুলোতে দেখেছেন।

সিরিয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন: প্রথম শিক্ষা হল শত্রুকে অবহেলা না করা। সিরিয়ায় শত্রুরা খুব দ্রুত কাজ করেছে কিন্তু তাদেরকে গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেই দেওয়া উচিত ছিল এবং তা প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কয়েক মাস আগে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন: ইসলামি বিপ্লবের ৪৬ বছরে আমরা ছোট-বড়ো অনেক কঠিন ঘটনা ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, যেমন সাদ্দামের বিমান তেহরান বিমানবন্দরে বোমাবর্ষণ করেছিল এবং জনগণের হৃদয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সমস্ত তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হবার পরও ইসলামী প্রজাতন্ত্র এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্ক্রিয় হয় নি।

সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বক্তৃতার শেষে ইরানের জনগণকে সক্রিয় ও সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন: আল্লাহর রহমতে এ অঞ্চলে ইহুদিবাদ এবং তাদের পশ্চিমা খবিসদের মূল উৎপাটন করা হবে।

সূত্রঃ পার্সটুডে

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৩২

আন্তর্জাতিক

জাকির নায়েক ঢাকায় পা রাখলেই যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়: রনধীর জয়সওয়াল

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৮

আসছে নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ডা. জাকির নায়েক। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়—বাংলাদেশের কাছে এমন প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে ভারত। বিষয়টি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন,

“জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো বিবেচনায় রাখবে।”

ডা. জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতেন। বিভিন্ন ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে “ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার” এবং একাধিক অর্থপাচারের মামলা হয়। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক চ্যানেল “পিস টিভি”-র সম্প্রচার।

এসব ঘটনার পর ৬০ বছর বয়সি এই ইসলামী বক্তা ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি একাধিকবার বলেছেন,

“ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমি ভারতে ফিরব না।”

আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী “জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত” ছিল—এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তবে শেখ হাসিনার পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার ঢাকায় আসছেন ডা. জাকির নায়েক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি ঢাকায় এলেই তাঁকে যেন ভারতের হাতে হস্তান্তর করা হয়—এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৩২

আন্তর্জাতিক

ভারতের ছাড়া পানিতে বন্যা, বাঁধ উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান!

ভারতে প্রবল বর্ষণের কারণে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত তিন নদী—চেনাব, রাভি ও সুতলেজে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে জারি করা হয়েছে বন্যার উচ্চ সতর্কতা। ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বুধবার পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চেনাব নদীর কাদিরাবাদ বাঁধের তীররক্ষা […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ আগস্ট ২০২৫, ২২:২০

ভারতে প্রবল বর্ষণের কারণে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের আন্তঃসীমান্ত তিন নদী—চেনাব, রাভি ও সুতলেজে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে জারি করা হয়েছে বন্যার উচ্চ সতর্কতা। ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বুধবার পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় চেনাব নদীর কাদিরাবাদ বাঁধের তীররক্ষা অংশে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র মাজহার হোসেন বলেন,

“বাঁধের অবকাঠামো বাঁচাতে আমরা ডানপাশের তীররক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে দিয়েছি; যাতে পানির চাপ কিছুটা কমে যায়।”

পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের উজান থেকে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় হঠাৎ প্রবাহ বেড়ে গেছে। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ভারত কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আগাম নোটিশ দিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

জরুরি সতর্কতা জারি করে পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চেনাব, রাভি ও সুতলেজ নদীর তীরবর্তী মানুষদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে।

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইরফান আলি সতর্ক করে বলেন,

“আমি জনগণকে রাভি নদীর তীর ত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কারণ ১৯৮৮ সালের বন্যার পর এবার পানির প্রবাহ সবচেয়ে বেশি।”

তার মতে, আজ রাত ও আগামীকাল সকালেই লাহোর হয়ে বন্যার পানির ঢল বয়ে যেতে পারে।

চলতি বর্ষায় পাকিস্তান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুন মাস থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ, ভূমিধস ও বন্যায় এ পর্যন্ত ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৩২

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি […]

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তির পর জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন মুশতাক

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪

পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ ঘোষণা করেছেন, তিনি জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ইসরাইলি হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে ফেরার পর বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুশতাক আহমদ বলেন, তিনি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ‘নিজস্ব রাজনৈতিক পরিসর’ তৈরি করতে চান।

মুশতাক জানান, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত-ই-ইসলামি থেকে পদত্যাগ করেছি। ১৯ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রাপথে থাকাকালীন আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’ তবে দলটি এখনো তার পদত্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দলের ভেতরে নীতিনিষ্ঠ অবস্থান ও নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে সরব ভূমিকায় পরিচিত এই নেতা বলেন, পদত্যাগ তার জীবনের এক আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। ‘সেদিন রাতে আমি কেঁদেছিলাম, যেমন কেঁদেছিলাম আমার মা মারা যাওয়ার রাতে,’ বলেন মুশতাক।

তিনি আরও বলেন, এখনই তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। তার মতে, ‘রাজনৈতিক সংগঠনের কাঠামোর ভেতরে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে, কখনও কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করাই প্রয়োজন।’ ‘আমি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীন গণমাধ্যম, ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি, ফিলিস্তিনের ন্যায়বিচার এবং পাকিস্তানের প্রদেশগুলোর সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চাই,’ বলেন তিনি।

মুশতাক স্বীকার করেন, জামায়াতের ভেতরে গত কয়েক বছরে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল, তবে তা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধে পরিণত হয়নি। ‘দলের ভেতরে কিছু বিষয়ে ভিন্নমত ছিল, কিন্তু আমার কারও সঙ্গে কোনো রাগ বা শত্রুতা নেই,’ বলেন তিনি।

জামায়াতের আমির হাফিজ নাঈমুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাফিজ নাঈমুর রহমান একজন নেতা; তাঁর সঙ্গে আমার কোনো মতবিরোধ নেই। আমি চাই, আমার আর জামায়াতের মধ্যে কোনো সমস্যা না থাকুক, আর আমার কারণে দলটিরও কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হোক।’

পদত্যাগের পাশাপাশি মুশতাক আহমদ এক নতুন জনআন্দোলন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সারা পাকিস্তানে এক লাখ ফিলিস্তিন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি, যাতে সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।’

ইসরাইলি বাহিনীকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রা ও পরবর্তীতে ইসরাইলে আটক অবস্থায় তিনি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা ছিল এক কঠিন ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষা।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ারও সমালোচনা করে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি যদি দুই বছর আগে হতো, সেটাই হতো প্রকৃত সাফল্য। এখনকার এই ফলাফলের কৃতিত্ব হামাসেরই, কারণ তাদের সংগ্রাম অদম্য।’

২০ জুন ২০২৫
poll_title
তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?

মোট ভোট: ৩০৩২