সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার ঘটনাবলীর যৌথ কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে: সর্বোচ্চ নেতা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে। এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে।

এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) ইমাম খোমেনি হোসাইনিয়ায় ইসলামি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ সাক্ষাৎ করেছেন।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ পরিকল্পনার ফসল। হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে এবং করে যাচ্ছে-সবাই তা দেখছে। কিন্তু নি:সন্দেহে মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। তিনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সাথে ইহুদিবাদী ও আমেরিকার আচরণকে এর অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন: তারা যদি সিরিয়ার ঘটনার মূল হোতা না হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য দেশের মত তারা কেন নীরব থাকল না? কেন তারা শত শত স্থাপনা, বিভিন্ন কেন্দ্রের অবকাঠামো, বিমানবন্দর, গবেষণা কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করার মতো অযাচিত হস্তক্ষেপ করলো?

ঘটনার প্রথম দু’য়েক দিনেই সিরিয়ার ৭৫টি পয়েন্টে হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে আমেরিকা। বিপ্লবের নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন: তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদীরাও সিরিয়ার ভূমি দখল করে তাদের ট্যাংক নিয়ে দামেস্কের কাছাকাছি চলে এসেছে। যেই আমেরিকা অন্যান্য দেশের ছোটখাটো সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়, তারা একটু প্রতিবাদও তো করলো না, উল্টো বরং তারা সাহায্য করেছে। তো, সিরিয়ার এই ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না যে এইসব দুর্ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে?

হজরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদীদের জড়িত থাকার আরেকটি প্রমাণ ব্যাখ্যা করে বলেন: শেষের দিনগুলোতে সিরিয়ার একটি অঞ্চলের জনগণের জন্য-বিশেষ করে জয়নাবিয়াহ-এলাকার জন্য কিছু সাহায্য ও ত্রাণ পাঠানোর কথা ছিল।

কিন্তু ইহুদিবাদীরা সমস্ত স্থলপথ এবং বিমানপথ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা এবং ইহুদিবাদীরা ওই সাহায্যগুলোকে ফ্লাইটের মাধ্যমেও আকাশপথে স্থানান্তর করতে দেয় নি। যদি তারা সিরিয়ার ঘটনার নেপথ্যে না থাকবে এবং কোন সন্ত্রাসী বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে, তাহলে তারা সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করা বন্ধ করল কেন?

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: প্রতিরোধ ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্য হলো: যত বেশি ধাক্কা দেবেন, তত তারা শক্তিশালী হবে। যত বেশি অপরাধযজ্ঞ চালাবেন, তত বেশি উদ্যমী হবে। আপনি তাদের সাথে যত বেশি লড়াই করবেন, তত বেশি তারা বিস্তৃত হবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের পরিধি গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে আগের চেয়ে বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। এই পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

প্রতিরোধের অর্থ সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, তারা মনে মনে ভাবে, যখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন ইসলামি ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায়, ইরান অনেক শক্তিশালী এবং সামনের দিকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

অবশ্য যেসব আগ্রাসীর কথা উল্লেখ করলাম তাদের প্রত্যেকেরই একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়ার উত্তর বা সিরিয়ার দক্ষিণ থেকে ভূমি দখল করতে চাচ্ছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে,এগুলোই তাদের লক্ষ্য।

সময়মতো দেখা যাবে তাদের এইসব লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জিত হবে না ইনশাআল্লাহ। সিরিয়ার দখলকৃত এলাকা মুক্ত হবে উদ্যমী সিরিয়ান যুবকদের মাধ্যমে; এটা যে ঘটবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমেরিকার অবস্থানও মজবুত হবে না, আল্লাহর রহমতে, আমেরিকাকেও প্রতিরোধ ফ্রন্টের মাধ্যমে এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হবে।

তিনি গত ১৪ মাসের চাপে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইসলামি জিহাদ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি বাহিনী শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই শক্তিশালী হবার ঘটনাকে সত্যের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বিপর্যয়ের চাপ এবং সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর ক্ষতি খুব ভারী ছিল, কিন্তু হিজবুল্লাহর শক্তি এবং মুষ্টি আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে এবং এই সত্য উপলব্ধি করে তারা যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি ইহুদিবাদীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাকে জাতিগুলোর জন্য লাল রেখা বলে উল্লেখ করে বলেন: ইহুদিবাদী এবং তাদের সহযোগীদের জানা উচিত; ঐশি নিয়ম অনুসারে অপরাধ কখনও বিজয় নিয়ে আসে না। আজ সেই ঐশি নীতি এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে গাজা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর এবং লেবাননে।

বহু বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: একটি বিষয় যা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীই জানে না তা হলো, সিরিয়া সরকারকে আমাদের সাহায্যের আগে, অর্থাৎ পবিত্র প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যখন সবাই সাদ্দামের পক্ষে এবং আমাদের বিপক্ষে কাজ করছিল, সিরিয়া সরকার তখন ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছিল। সিরিয়া সরকার ওই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ইরাক থেকে ভূমধ্যসাগরে তেলের পাইপলাইন বন্ধ করে দেয় এবং সাদ্দামকে তার আয় থেকে বঞ্চিত করে।

তিনি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি যুবকদের উপস্থিতি এবং কিছু ইরানি কমান্ডারের উপস্থিতির কারণ হিসেবে আইএসআইএস মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে বলেন: আইএসআইএস ছিল নিরাপত্তাহীনতার একটি বোমা। তারা সিরিয়া ও ইরাককে নিরাপত্তাহীন করার পর আমাদের দেশকেও নিরাপত্তাহীন করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে কাজ করছিল।

আমাদের কর্মকর্তারা খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীযাত্রা বন্ধ করা না হলে নিরাপত্তাহীনতা পুরো ইরানকে ছেয়ে ফেলবে। তাদের সন্ত্রাসী বিপর্যয়ের উদাহরণ আপনারা আমাদের সংসদ, শাহচেরাগ এবং কেরমানের ঘটনাগুলোতে দেখেছেন।

সিরিয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন: প্রথম শিক্ষা হল শত্রুকে অবহেলা না করা। সিরিয়ায় শত্রুরা খুব দ্রুত কাজ করেছে কিন্তু তাদেরকে গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেই দেওয়া উচিত ছিল এবং তা প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কয়েক মাস আগে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন: ইসলামি বিপ্লবের ৪৬ বছরে আমরা ছোট-বড়ো অনেক কঠিন ঘটনা ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, যেমন সাদ্দামের বিমান তেহরান বিমানবন্দরে বোমাবর্ষণ করেছিল এবং জনগণের হৃদয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সমস্ত তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হবার পরও ইসলামী প্রজাতন্ত্র এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্ক্রিয় হয় নি।

সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বক্তৃতার শেষে ইরানের জনগণকে সক্রিয় ও সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন: আল্লাহর রহমতে এ অঞ্চলে ইহুদিবাদ এবং তাদের পশ্চিমা খবিসদের মূল উৎপাটন করা হবে।

সূত্রঃ পার্সটুডে

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭