সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ দেশটির ওপর বড় ধরনের আগ্রাসন শুরু করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলো এবং অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের ভাণ্ডারগুলোতে হামলা জোরদার করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব।
এই দখলদার সরকারের যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাতজ সোমবার বলেছেন, ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী সিরিয়া জুড়ে ভারী কৌশলগত অস্ত্র ধ্বংস করবে, যার মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার রকেট এবং উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র।”
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেছেন, আগামী কয়েকদিন ধরে এই বিমান হামলা চলতে থাকবে। তিনি সোমবার জেরুজালেম আল-কুদসে আরো বলেন, সিরিয়ায় অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট যাতে উগ্রবাদীদের হাতে পড়তে না পারে সেজন্য আমরা এই হামলা চালিয়ে যাবো।
ইহুদিবাদী ইসরাইল সোমবার সিরিয়ার দেরা প্রদেশের আজরা শহরের কাছে কয়েকটি অস্ত্রসস্ত্র ও গোলাবারুদের ভাণ্ডারে বোমাবর্ষণ করে। দারা শহরেরও বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় দখলদার সেনারা। ইহুদিবাদী পদাতিক বাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সীমান্ত শহরে দারা’র দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও খবর এসেছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অগ্রাভিযানের মুখে শনিবার রাতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর রোববারই গোলান মালভূমি দিয়ে সিরিয়ায় অনুপ্রবেশ করে ইসরাইলি বাহিনী। তারা ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির কাছে সিরিয়ার কুনেইত্রা শহরে প্রবেশ করে।
ইহুদিবাদী বাহিনী বর্তমানে গোলান সীমান্ত থেকে সিরীয় ভূখণ্ডের পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে খান আরনাবেহ শহরে অবস্থান করছে। বাশার আসাদ সরকারের পতনকে মস্তবড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে তেল আবিব ‘সিরিয়ার যত বেশি সম্ভব ভূমি’ দখলের পরিকল্পনা করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্রঃ পার্সটুডে

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?