ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী জানান, এর আগে বাংলাদেশের সরকার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করতে রাজি হয়েছিল। পাশাপাশি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে তারা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দিতেও রাজি হয়েছিল।
অশান্ত বাংলাদেশ হওয়ার কারণে ত্রিপুরা থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিমান চালু করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে যাতে বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো যায়, তার জন্য চট্টগ্রামের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাও আপাতত বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এই দুই স্থানের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৭২ কিলোমিটার।
শনিবার আগরতলায় একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিকাঠামো – প্রতিকূলতাসমূহ এবং তা কাটিয়ে এগিয়ে চলা’ শীর্ষক এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী জানান, এর আগে বাংলাদেশের সরকার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করতে রাজি হয়েছিল। পাশাপাশি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে তারা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দিতেও রাজি হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করছি, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং এই প্রকল্পগুলো একে একে বাস্তবায়িত হবে।
এর পাশাপাশি, কেন্দ্র ও ত্রিপুরার ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের এই মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এত বছর কেটে গেলেও অতীতে কখনও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর উন্নয়নের দিকে সেভাবে নজর দেয়া হয়নি। কিন্তু, বর্তমান সরকার দেশের এই অংশের উন্নতি সাধনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
২০২২ সালে মূলত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই আলাদাভাবে ব্যয় বরাদ্দ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, এই অঞ্চলে ৪,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মন্ত্রী আরো জানান, রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়ন করা হবে। এর ফলে রাজ্যে নতুন করে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
শনিবারের এই সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করেছিল – ইন্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেস, ত্রিপুরা চ্যাপটার, পিডাব্লিউডি নগর উন্নয়ন বিভাগ, পিডাব্লিউডি গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ এবং আগরতলা পুরনিগম।
এদিকে, এসবের মধ্যেই আগরতলায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হিন্দু অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছে তিন কিশোর-কিশোরী। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশে লাগাতার বেড়ে চলা অশান্তির জেরেই তারা ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
তাদের আম্বাসা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা জানিয়েছেন, তারা ট্রেন ধরে শিলচর যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আমরা ধৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারেই পদক্ষেপ করব।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, ধৃতরা সবাই বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার তারা বেআইনিভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। ত্রিপুরার ধলাই জেলার কমলপুর হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তারা।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?