রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
৪ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

গাজায় এবং লেবাননের পর এখন তারা সিরিয়ায় এসেছে: আরাকচি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪

গাজায় এবং লেবাননের পর এখন তারা সিরিয়ায় এসেছে: আরাকচি

সিরিয়ার সাম্প্রতিক সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি শুধু এই দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয্যদে আব্বাস আরাকচি বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ও পরিস্থিতি ইরাকের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।

সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি ইরাকের আল-শারকিয়া নেটওয়ার্কের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির পরিবর্তন দ্রুত গতিতে হচ্ছে যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকের মনে এ বিষয়টি স্থির হয়ে গেছে যে সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেয়ার পেছনে আমেরিকা এবং ইসরাইলের হাত রয়েছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, আরাকচি বলেছেন, গাজার পরে তারা লেবাননে এবং তারপরে সিরিয়ায় এসেছে এবং আমার মতে তারা সিরিয়ায় থেমে থাকবে না বরং তারা ইরাকেও প্রবেশ করবে এবং ফলে সার্বিকভাবে পুরো অঞ্চল এখন হুমকির মুখোমুখি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, সিরিয়ার আগে হুমকিগুলো ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হুমকিও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি উল্লেখ করার বিষয় যে সিরিয়ায় এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে জাতিসংঘে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং পরিচয় করানো হচ্ছে।

আরাকচি বলেন যে এখন যে দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার দাবি করে তারা হয় নীরব বা সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত দেশগুলোর মতে, সন্ত্রাসবাদ দুই প্রকার,ভাল এবং খারাপ। যদি এই সন্ত্রাসবাদ তাদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তবে তারা এটিকে সমর্থন করে। আর যদি সন্ত্রাসবাদ তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয় তবে তারা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে।

বোকামাল সিরিয়ার পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে এ কথা উল্লেখ করে আব্বাস আরাকচি আরো বলেন, একটি ক্রসিং বন্ধ করা হলে তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না এবং প্রতিরোধ সংগঠনগুলো জানে তাদের কী করা উচিত। আরাকচি বলেছেন. কখনও কখনও সন্ত্রাসবাদকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়া উচিত এবং কখনও কখনও এটি সীমান্তে মোকাবেলা করা উচিত। অর্থ্যাৎ এটি করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।

সূত্রঃ পার্সটুডে

এ সম্পর্কিত আরো খবর