পরাজয় ঠেকাতে মস্কো ‘সব উপায়’ ব্যবহার করতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সম্প্রতি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার পশ্চিমাদের বোঝাতে চেয়েছে যে, পরাজয় ঠেকাতে মস্কো যে কোনো উপায় ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ল্যাভরভ বলন, পশ্চিমারা বিশ্বের যে কোনো দেশে, যে কোনো অঞ্চলে, যে কোনো মহাদেশের ওপর তাদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য লড়াই করছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য লড়াই করছি, আমরা সংকেত পাঠাচ্ছি। আমরা আশা করছি যে, শেষের সংকেতটি, কয়েক সপ্তাহ আগে ‘ওরেশনিক’ নামে পরিচিত নতুন অস্ত্র ব্যবস্থারের সংকেত… গুরুত্ব সহকারেই নেওয়া হয়েছিল।
রাশিয়া পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায় না এবং ওয়াশিংটন ও তার অংশীদারদের সঙ্গে ‘কোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে’ চায় বলেও জোর দেন ল্যাভরভ। তিনি সতর্ক করে দেন, ‘তারা প্রয়োজনীয় উপসংহারে না পৌঁছালে আমরা অতিরিক্ত সংকেত পাঠাব।
ওরেশনিক আক্রমণ
রাশিয়া গত মাসে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। যুদ্ধের ইতিহাসে এই অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার এটি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরে বলেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকানোর মতো কোনো উপায় নেই।
ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেন তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার সুযোগ হারিয়েছে। দুইবার একটি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। একবার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এবং তারপরে ২০২২ সালের এপ্রিলে তুরস্কে আলোচনায়।
রাশিয়া এই যুদ্ধ শুরু করেনি উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসছি, ন্যাটোকে আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি ঠেলে দিলে সমস্যা তৈরি হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পুতিনের সাক্ষাৎকার নেওয়া প্রথম মার্কিন সাংবাদিক ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র কার্লসনের ৮০ মিনিটের সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ার কোনো রেড লাইন নেই, এমন ধারণা পশ্চিমাদের পরিত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, মস্কো যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত, কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানকে পছন্দ করি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?