ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস জানিয়েছে তারা আগামীকাল কাতারে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আলোচনায় অংশ নেবে না। বুধবার ( ১৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে হামাস। খবর রয়টার্সের।
এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আবারও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এর আগে ইরান জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে ইসরাইলের ওপর হামলা করা থেকে সরে আসবে তেহরান।
তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কাতারের দোহায় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরোক্ষ আলোচনা হবে বলে আশা করছে তারা। গাজায় এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলেও জানায় ওয়াশিংটন।
এদিকে ইরানের তিন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, একমাত্র গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইরানকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে।
অন্যদিকে ইসরাইলি সরকার জানিয়েছে তারা বৃহস্পতিবারের আলোচনায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন করে আলোচনার পরিবর্তে এরইমধ্যে গৃহীত একটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পরিকল্পনার গ্রহণের অনুরোধ করেছে।
হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে জানান, ‘২ জুলাই তাদের কাছে পাঠানো যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং বাইডেনের খসড়া প্রস্তাবনার ওপর আস্থা আছে এবং এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করতে যে কোন আলোচনায় প্রস্তুত তারা।’
বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগস্ট) দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসার কথা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর নেতাদের।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ইসরাইলের হামলায় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই গাজার কেন্দ্র এবং দক্ষিণে।

তুরস্ক, সৌদি ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নিয়ে ইসলামি সেনাবাহিনী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। আপনি কি এই আর্মি গঠনের পক্ষে?