সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের গণহত্যাকে জার্মানি কেন নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে?

গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরোচিত আগ্রাসনের পক্ষে জার্মান সরকারের সমর্থন অনেককেই বিস্মিত করেছে। ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছিলেন,‘এ মুহূর্তে জার্মানবাসীর একটাই পথ। আমরা ইসরাইলের পাশে আছি। ইসরাইলের নিরাপত্তা জার্মান রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত– এর মধ্য দিয়ে মূলত আমরা সে কথাই তুলে ধরি।’ জার্মান সংবাদমাধ্যমের ভাষ্যকাররা আন্তর্জাতিক আদালত-আইসিজে ইসরাইরের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটিকে ‘স্পষ্টত […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩

গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরোচিত আগ্রাসনের পক্ষে জার্মান সরকারের সমর্থন অনেককেই বিস্মিত করেছে। ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছিলেন,‘এ মুহূর্তে জার্মানবাসীর একটাই পথ। আমরা ইসরাইলের পাশে আছি। ইসরাইলের নিরাপত্তা জার্মান রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত– এর মধ্য দিয়ে মূলত আমরা সে কথাই তুলে ধরি।’ জার্মান সংবাদমাধ্যমের ভাষ্যকাররা আন্তর্জাতিক আদালত-আইসিজে ইসরাইরের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটিকে ‘স্পষ্টত একতরফা’ ঘোষণা করে একে অবৈধ প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরাইলের ভিতরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আল আকসা তুফান অভিযানের পর থেকে পাঁচ মাসে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের সমালোচনাকে বন্ধ করার জন্য জার্মানি হলোকাস্টকে কীভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে বিশ্ব তা দেখেছে। এই সংকটে জার্মান সরকারের আচরণ কার্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আলাদা ছিল না: উভয় দেশই ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র পাঠিয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে, জার্মানি আরও এগিয়ে গেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে তাদের একাত্মতা ঘোষণাকারী প্রতিবাদকারী শিল্পী এবং বুদ্ধিজীবীদের দমনে আরও আক্রমনাত্মকভাবে কাজ করেছে।

জার্মানি হচ্ছে সেই দেশ যেটির ওপর কথিত হলোকাস্টের প্রেতাত্মা ভর করে রয়েছে। নিজের নামের পাশ থেকে সেই কলঙ্ক মুছে ফেলার জন্য দেশটি শুরু থেকে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এটিকে টিকিয়ে রাখার কাজে সাহায্য করেছে। সেইসঙ্গে গত বছরের অক্টোবরে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালানোর পর থেকেই ওই হামলাকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে জার্মানি।

জার্মানিতে হলোকাস্ট স্মরণ সংস্কৃতির গঠন এবং বিবর্তনের প্রক্রিয়ার বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই জার্মানিকে একটি নেতৃস্থানীয় দেশ হিসাবে দেখেন যে দেশটিতে হলোকাস্ট স্মরণের এই সংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে যা ইসরায়েলের জন্য নিঃশর্ত সমর্থনের দিকে পরিচালিত করেছে। কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়েও জটিল। ১৯৮০ সাল থেকে ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানির রাজনৈতিক কাঠামোতে হলোকাস্ট স্মরণের এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এই পরিবর্তনগুলোর জন্য বেশিরভাগ দায়ী অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের উপর যিনি গত দুই দশক ধরে জার্মান রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। কিন্তু এটি লক্ষ করা উচিত যে এই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক শক্তিগুলো জার্মানির বাম এবং আমেরিকা ও ইসরাইলের ডানপন্থীদের মধ্যে একটি অপ্রত্যাশিত জোট তৈরি করেছিল। আজ, জার্মান জোট সরকার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, গ্রিনস এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত। নেইম্যানের মতে ইসরাইল সম্পর্কে এই সরকারের অবস্থান “মার্কিন-ইসরাইল জনসংযোগ কমিটি বা আইপেকের অবস্থানের চেয়ে বেশি রক্ষণশীল এবং সহায়ক।”

২০০৫ সালে যখন লাল-সবুজ সরকারের অবসান ঘটে যখন মার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর হন এবং ১৬ বছর ধরে এই পদে অধিষ্ঠিত হন। ২০০৮ সালে ইসরাইলের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময় যেটি জার্মান চ্যান্সেলরের প্রথম বক্তৃতা ছিল মার্কেল জোর দিয়েছিলেন যে তার সমস্ত পূর্বসূরিরা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য জার্মানির বিশেষ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে “এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমার দেশের জাতীয় স্বার্থের অংশ।”

২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ইসরাইলে জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডলফ ড্রেসার দ্বারা মার্কেলের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। ড্রেসার ২০০৫ সালে একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন যে ইসরাইলের নিরাপত্তা আমাদের জাতীয় স্বার্থের অংশ।

যদিও শব্দটি মূলত জোশকা ফিশারের কাছ থেকে ধার করা হয়েছিল মার্কেলের উপদেষ্টারা এটিকে তার “খ্রিস্টান গণতান্ত্রিক বক্তৃতা শৈলীর” চেয়ে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করেছেন। স্পিগেল রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কেলের এই পদক্ষেপটি কোনো বিকল্প নেই নীতি হিসাবে পরিচিত ছিল যেটি কার্যত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার বৃত্ত থেকে ইসরাইলের প্রতি জার্মানির নীতিকে সরিয়ে দেয় এবং ঐতিহাসিক জার্গেন জিমারারের মতে এই নীতিটিকে “নো-ননসেন্স” নীতিতে পরিণত করে।

মার্কেল এক্ষেত্রে সফল ছিলেন। জার্মানির প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে একমত যে ইসরাইলের প্রতি দায়িত্ব দেশের জাতীয় স্বার্থের অন্যতম নীতি। ২০২১ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, গ্রিনস এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত নতুন জোট সরকার একটি চুক্তি প্রকাশ করেছে যাতে বিস্ময়করভাবে এই ধারাটি অন্তর্ভুক্ত ছিল যে ইসরাইলের নিরাপত্তাই আমাদের জাতীয় স্বার্থ।

আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পর গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে জার্মানির মানবতাবিরোধী সমর্থন বিশ্বব্যাপী বার্লিনের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও কমিয়ে দিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পাঁচ দিন পর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎস এক বক্তৃতায় গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে তার দেশের নীতি সুস্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে জার্মানি শুধুমাত্র ইসরাইলের পাশে থাকতে চায়।”

চ্যান্সেলরের ওই ঘোষণার পর জার্মানি ইসরাইলের কাছে নিজের অস্ত্র রপ্তানি প্রায় ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করার জন্য আমেরিকার পর ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি সমরাস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে জার্মানি।

ইসরাইলের প্রতি জার্মানির এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আরব দেশগুলোর জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। উত্তর আফ্রিকার আরব দেশ তিউনিশিয়ায় জার্মানির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের প্রতি জার্মানির অকুণ্ঠ সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিসে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার প্রোগল যে বক্তব্য দেন তার বিরুদ্ধে তিউনিশিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

ওই অনুষ্ঠানে তিউনিশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। এরপর জার্মান রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনা তিউনিশিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে জার্মান দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় এবং বিক্ষোভকারীরা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

ইসরাইলের প্রতি জার্মানির সমর্থনের কারণে পশ্চিম এশিয়ায় তৎপর জার্মানির বহু প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনগণের রোষাণলে পড়েছে।

মার্কেল অফিস ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তার পররাষ্ট্র নীতির উত্তরাধিকারের সমালোচনা বেড়েছে বিশেষ করে চীন এবং রাশিয়ার তুলনায় নিরাপত্তার চেয়ে অর্থনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু ৭ই অক্টোবরের পরের ঘটনাগুলো দেখায় যে ইসরাইলের প্রতি জার্মানির পররাষ্ট্রনীতিতে মার্কেলের পূর্বসরীরাও ধ্বংসাত্মকভাবে কাজ করেছে। ২০০৯ ইসরাইলি পার্লামেন্টে মার্কেলের বক্তৃতার এক বছর পরে নেতানিয়াহু দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন এবং তারপর থেকে ইসরাইল ক্রমবর্ধমানভাবে চরম ডানদিকে ঝুঁকেছে। এখন জার্মানি ইসরাইলের সমালোচনা করতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক এমনকি ইসরাইল তাদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ এবং তাদের উপর বোমাবর্ষণ করা অব্যাহত রাখলেও।#

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯