বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

স্বাস্থ্য

দেশে ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬০

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মারা গেছেন চারজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁঢ়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৭০ জন। রোববার (১৩ […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৪

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মারা গেছেন চারজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁঢ়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৭০ জন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩২৮ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৯৭ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন। মারা গেছেন ২১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ ও খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

গত বছর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।

২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা যান। ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, কিন্তু ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ বছর মারা যান ১০৫ জন। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।

স্বাস্থ্য

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না

স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা এবং নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা প্রতিবেদনে কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৮:২৩

স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা এবং নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা প্রতিবেদনে কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ই-মেইলের মাধ্যমে।

এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের উপহার ও বিনামূল্যে ওষুধের নমুনা দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জোর সুপারিশ রয়েছে। কমিশনের মতে, এ অধিকার বাস্তবায়নে একটি পৃথক ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন’ প্রণয়ন জরুরি, যা নাগরিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্ধারণ করবে।

কমিশন আরও সুপারিশ করেছে, এমবিবিএস ডাক্তার ব্যতীত অন্য কেউ যেন অ্যান্টিবায়োটিক দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ওষুধের দাম, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার খরচ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ফি নির্ধারিত করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যসেবা হয় নাগরিকবান্ধব ও গ্রহণযোগ্য।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব। এগুলো হলো—বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবেশাধিকার আইন, অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কমিশনার আইন এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইন।

এছাড়া, স্বাস্থ্য খাতে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য) গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা যেন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে সহজলভ্য হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।