বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অর্থনীতি

নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার,ব্যাবধান বৃদ্ধি ১৫.৬৩ %

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবির হিসেবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থ্যাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে মোট রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৯গত নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ দশমিক ছয় তিন শতাংশ।nothing to […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৭

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবির হিসেবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থ্যাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে মোট রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৯গত নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ দশমিক ছয় তিন শতাংশ।

nothing to live

৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে পৌঁনে ১২ শতাংশ। নভেম্বরে শুধু তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৩০ কোটি ৬২ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এই সময়ে কৃষি খাতের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের রপ্তানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। হোমটেক্সাটাইলে বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। কিছুটা কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পরিমাণ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য। বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।

অর্থনীতি

‘ভয়ে’ অ‌ফিসে আসছেন না ইসলামী ব্যাংকের এমডি

কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়ে গত বৃহস্প‌তিবার (১৯ ডিসেম্বর) অ‌ফিস ছাড়তে বাধ্য হন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। এরপর থেকে তি‌নি আর অ‌ফিসে আসছেন না। ইসলামী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব‌্যাং‌কিং খাতের বড় লুটপাটকারী এস আল‌ম গ্রুপের এলসি খোলা‌ সংক্রান্ত কা‌রণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এম‌ডির মনোমা‌লিন্য সৃ‌ষ্টি হয়।nothing to live এক […]

নিউজ ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২৬

কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়ে গত বৃহস্প‌তিবার (১৯ ডিসেম্বর) অ‌ফিস ছাড়তে বাধ্য হন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। এরপর থেকে তি‌নি আর অ‌ফিসে আসছেন না।

ইসলামী ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব‌্যাং‌কিং খাতের বড় লুটপাটকারী এস আল‌ম গ্রুপের এলসি খোলা‌ সংক্রান্ত কা‌রণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এম‌ডির মনোমা‌লিন্য সৃ‌ষ্টি হয়।

nothing to live

এক পর্যায়ে কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়ে অ‌ফিস ছাড়তে ব‌াধ‌্য হন তিনি। এরপর থেকে তি‌নি আর অ‌ফিসে আসে‌ননি।

ব্যাংকটির সং‌শ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, বৃহস্প‌তিবার যাওয়ার পর আর অ‌ফিসে আসেন‌নি এমডি। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তার বাসায় বসে সই করছেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে তাই হয়তো তিনি ভয়ে এখন আর আসছেন না। পর্ষদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন।’

পদত‌্যাগ করেছেন কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত পদত‌্যাগ করে‌ননি বলে জা‌নি। আদৌ পদত‌্যাগ করবেন কি না তাও জা‌নি না।

এটা তার বিষয়। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য জানান, এম‌ডিকে নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্ষদের বৈঠক আছে। সেখানে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন এমডি হিসেবে নিয়োগ পান মনিরুল মওলা। তার সময়ে এস আলম গ্রুপ নামে বেনামে ঋণ নিয়ে ব‌্যাংক‌টিকে দুর্বল করে ফেলেছে। এস আলমকে অনৈতিকভাবে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন মনিরুল মওলা, এমন অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও এমডি মনিরুল মওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ আছে।

 

অর্থনীতি

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ১৬ বছরে নিয়মিত কর ছাড়: শ্বেতপত্র

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার ১৬ বছরের শাসনামলে বিশেষ প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারির মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গ্রুপকে কর ছাড়ের সুযোগ করে দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিাতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। […]

নিউজ ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার ১৬ বছরের শাসনামলে বিশেষ প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারির মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গ্রুপকে কর ছাড়ের সুযোগ করে দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিাতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

nothing to live

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিরূপণ এবং গত ১৬ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। ৯০ দিনের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন সরকার প্রধানের কাছে হস্তান্তর করে।

এ কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, বিগত শাসনামলে কর অব্যাহতির পরিমাণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা গেলে শিক্ষা বাজেট দ্বিগুণ এবং স্বাস্থ্য বাজেট তিনগুণ করা যেত।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এনবিআরকে এসআরও জারি করতে হয়েছিল, যার মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা কর ছাড়ের সুযোগ পায়। সুবিধাপ্রাপ্ত এই ব্যবসায়ীরা হয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিকদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা উঁচু পর্যায়ের আমলাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার সময়ে এসআরও (কর মওকুফ সুবিধা)-এর অতিরিক্ত ব্যবহার রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের কর নীতির কার্যকারিতা দুর্বল করেছে। এসআরওর মাধ্যমে কর মওকুফ সুবিধা দেশের কর-ভিত্তি দুর্বল এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেছে বলে শ্বেতপত্রে চিহ্নিত করা হয়।

আরও বলা হয়, বেক্সিমকো, এস আলমের মতো একাধিক ব্যবসায়ী গ্রুপ নিয়মিত এই সুবিধা পেয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সামিট গ্রুপ ২০১৮ সালে তাদের এলএনজি টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে হিসাব বজায় রাখা এবং আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শর্তে প্রকল্প আয়, বিদেশিদের আয়, রয়্যালিটি, টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি এবং টেকনিক্যাল সহায়তা ফি, শেয়ার হস্তান্তর থেকে প্রাপ্ত মূলধনী লাভ এবং বিদেশি ঋণের সুদের ওপর পূর্ণ কর মওকুফ পায়।

গ্রুপটি আরও ১৫টি বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশে আগমনের তিন বছরের মধ্যে বিদেশিদের আয়, বিদেশি ঋণের সুদ, রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নো-হাউ এবং সহায়তা ফি এবং শেয়ার হস্তান্তর থেকে প্রাপ্ত মূলধনী লাভের ওপর পূর্ণ কর মওকুফ পেয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে এ বিষয়ে আরও বলেন, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন পড়ে দেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়ে গেছে এটা সবাই বুঝতে পেরেছিল। কিন্তু অর্থনীতিকে কী পরিমাণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়ে গেছে, তার পরিমাপ সম্বন্ধে কোনো ধারণা করতে পারছিল না। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি হিসাব-নিকাশ করে এর পরিমাণ বের করে দিয়েছে।

অর্থনীতি

আস্থা সংকটে কমেছে আমানত, বেড়েছে ঋণ

আস্থা সংকটের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিয়েছেন অনেক গ্রাহক। যে পরিমাণ আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে, বিপরীতে নতুন করে সেই পরিমাণ আমানত আসছে না। ফলে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আমানত কমলেও এসব ব্যাংকে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩১

আস্থা সংকটের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিয়েছেন অনেক গ্রাহক। যে পরিমাণ আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে, বিপরীতে নতুন করে সেই পরিমাণ আমানত আসছে না। ফলে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আমানত কমলেও এসব ব্যাংকে ঋণ বিতরণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতায় এসব ব্যাংকে সম্প্রতি বেশকিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোয় গ্রাহকের আস্থা বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

nothing to live

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। যা জুন প্রান্তিকে ছিল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোয় আমানত কমেছে ৮ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে এ সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৮ কোটি বা ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। সেই হিসাবে আমানতের চেয়ে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে এসব ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ৯৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মূলত নতুন আমানত জমা না হওয়ায় এবং মাত্রাতিরিক্ত আমানত তুলে নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর শেষে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি টাকা। যা আগের প্রান্তিক জুন শেষে ছিল ১০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ১০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা ৯৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

আমানতের তুলনায় বেশি হারে ঋণ বিতরণ করায় এসব ব্যাংকের এডিআর রেশিও (ঋণ-আমানত অনুপাত) বেড়ে গেছে। সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের এডিআর রেশিও ছিল শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা আগের প্রান্তিক ডিসেম্বরে ছিল শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছিল শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় এসব ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি দুটোই কমেছে। তবে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা আমানত সংগ্রহ ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুরু থেকেই বাংলাদেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে।

এ ব্যাংকগুলো পুরো ব্যাংকিং খাতের আমানতের ২৫ শতাংশের বেশি এবং বিনিয়োগের ২৮ শতাংশের বেশি শেয়ারের প্রতিনিধিত্ব করছে। ইসলামী আর্থিক খাতের অন্যান্য ব্যবস্থা যেমন- ইসলামী পুঁজিবাজার, ইসলামী বীমা (তাকাফুল) এবং ক্ষুদ্রঋণ খাতও সহায়ক হলে পদ্ধতিগতভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় তাদের অর্থায়ন বাড়াতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাহকের আস্থার অভাবেই মূলত আমানতের তুলনায় বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত তারল্য চাপের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে।

এর পাশাপাশি যেসব ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে তারাও বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির ভিত্তিতে দুর্বল ইসলামী ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে বেশকিছু সংস্কার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এতে গ্রাহকের আস্থা বাড়বে এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর সংকট কাটবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে বর্তমানে প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইসলামী শাখাসহ ইসলামী ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭১৯টি। যা জুন শেষে ছিল এক হাজার ৭১১টি। গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৬৮৭টি। একই সময়ে ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডোর সংখ্যা ছিল ৭৫০টি। যা গত জুন শেষে ছিল ৬৮৮টি।