মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অর্থনীতি

পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ১৭১ কোটি, এসেছে ১৫৪ কোটি ডলার

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে। এই চার মাসে সুদ ও আসল মিলিয়ে প্রায় ১৭১ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশ দিয়েছে ১৫৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫০

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) যত বিদেশি ঋণ এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে। এই চার মাসে সুদ ও আসল মিলিয়ে প্রায় ১৭১ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশ দিয়েছে ১৫৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ঋণ বিতরণ কমেছে ২৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তবে এ সময়ে ঋণ পরিশোধ ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশের আর্থিক সম্পদের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রতিফলন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধ করেছে ১৭১ দশমিক ১ কোটি ডলার। এ সময়ে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৫৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার।

আলোচ্য সময়ে উন্নয়ন অংশীদাররা মাত্র ৫২ দশমিক ২৬ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ঋণ বিতরণও কমেছে, ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার মূলধন এবং সুদ পরিশোধ করেছে। গত বছর যা ছিল এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় উন্নয়ন সহযোগীরাও অর্থছাড় করতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। উচ্চ সুদের কারণে বিদেশি ঋণ শোধে বাড়তি চাপ পড়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঋণের প্রতিশ্রুতি কিংবা অর্থছাড় কমে আসার পেছনে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনেরও একটা প্রভাব রয়েছে।

ইআরডি কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে, ফলে বিতরণ কমেছে। বৈদেশিক ঋণের তহবিলে নেওয়া অনেক প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে। কারণ, বিদেশি পরামর্শক এবং কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িক স্থগিত হয়েছে।

পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে। বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহ উন্নয়ন অংশীদারেরা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করতে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে নেওয়া প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি ঋণনির্ভর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো। সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইআরডি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণকারী অংশীদার এডিবি। সংস্থাটি ৩১৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। এর পরে রয়েছে জাপান, বিতরণ করেছে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ২৪৫ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ২০৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৬৩ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছর বহু দিক থেকেই ব্যতিক্রম। প্রথম দুই-তিন মাস অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থমকে ছিল। বিদেশি ঋণ মূলত আসে প্রকল্প বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে। বাস্তবায়ন অর্থবছরের শুরুতে এমনই ধীরগতি থাকে। জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের প্রভাবে চলতি অর্থবছরের গতি আরও কম।

ফিচার

নরসিংদীতে মহানবী (সা:) কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি যুবক গ্রেফতার

নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তিমূলক কমেন্টের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে অনন্ত কুমার ধর (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পলাশ উপজেলার বালিয়া বকুলতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অনন্ত কুমার ধর বকুলতলা গ্রামের নির্মল কুমার ধরের ছেলে। […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:৩৪

নাজমুল হক চৌধুরী, নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর পলাশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তিমূলক কমেন্টের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে অনন্ত কুমার ধর (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পলাশ উপজেলার বালিয়া বকুলতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অনন্ত কুমার ধর বকুলতলা গ্রামের নির্মল কুমার ধরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ধর্মীয় পোস্টের কমেন্ট বক্সে মহানবী (সা:) কে নিয়ে অ শ ই ধর নামের এক আইডি থেকে কটুক্তিমূলক কমেন্ট করে অনন্ত কুৃমার ধর। এ ঘটনায় তার বন্ধুমহলস এলাকার ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতার মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনন্ত কুৃমার ধরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

পলাশ উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসিব জানান, এ ঘটনায় অনন্ত কুমার ধরের বন্ধুরা তাকে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য বলেছিল। কিন্তু সে এ বিষয়ে কখনো দুঃখ প্রকাশ করবে না বলে জানায়। আমরা বিষয়টি জানার পর রাতেই অনন্ত কুমার ধরের বাড়িতে যাই। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অন্য কেউ যেন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুর না করতে পারে সেজন্য তার পরিবার ও বাড়িঘরের নিরাপত্তা প্রদান করেছি।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনির হোসেন জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় অভিযুক্ত অনন্ত কুমার ধরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৮২৭

অর্থনীতি

চীনে বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা ব্যাপক, নিয়মিত ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

চীন বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠককালে এই আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও […]

চীনে বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা ব্যাপক, নিয়মিত ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৮

চীন বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠককালে এই আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতীম দেশ। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।’ তিনি চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কৃষি, পরিবহন, কৃষি-যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্ক হ্রাস করা প্রয়োজন।’

শেখ বশির উদ্দিন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ট্রাক উৎপাদন কারখানা স্থাপন এবং কৃষির আধুনিকীকরণের জন্য বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হতে পারে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, চীনা বিনিয়োগ বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, চীনের ৩০টি কোম্পানি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘চীনে বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা ব্যাপক, যা বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।’ এ সময় তিনি প্রাথমিকভাবে এক হাজার টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এছাড়া, চীন বাংলাদেশ থেকে শুধু ইলিশ নয়, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানির পরিকল্পনাও করছে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি ফলমূলের গুণগত মান চীনের বাজারে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হতে পারে, তাই এই খাতেও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী আমরা।’

বাংলাদেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার চীনের এ আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খানও উপস্থিত ছিলেন।

এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে চীনের বিশাল বাজারে বাংলাদেশি ইলিশসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে, যা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।

অর্থনীতি

আমরা একটি সুতোর উপর দিয়ে হাটছি, দুই দিকেই বিপদ

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বড় বড় সংস্কার করতে পারব না, তবে পদচিহ্ন রেখে যেতে চাই। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন কত তাড়াতাড়ি যাবেন, আমি যে কোন সময় চলে যেতে প্রস্তুত আছি। আমার পুর্বের […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৩

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বড় বড় সংস্কার করতে পারব না, তবে পদচিহ্ন রেখে যেতে চাই।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।


উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন কত তাড়াতাড়ি যাবেন, আমি যে কোন সময় চলে যেতে প্রস্তুত আছি। আমার পুর্বের চাকরি (ব্র্যাক বিশ্বিবদ্যালয়) এখনও উন্মুক্ত রয়েছে।


আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই, কিছু কিছু ভুল হয়, আপনারা (সাংবাদিকরা) ধরেন, আমরা চেষ্টা করি সুধরে নেওয়ার। অন্ধভাবে সাপোর্ট চাই না, আপনারা পজিটিভ সমালোচনা করবেন, আমরা চেষ্টা করব।


অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইমিডিয়েট ট্যাক্স বাড়ানোর সুযোগ ছিল না, ১২ হাজার কোটি টাকা খুব বেশি নয়। পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়িয়ে গেছে, কোথায় সেই টাকা কোথায় পাব, কোথা থেকে আসবে।


চপ্পলে ভ্যাট থাকলে রিভিউ করব, অনেকে প্রশ্ন করেন বিস্কুটের উপর ভ্যাট কেন, লো লেভেলে হলে অবশ্যই দেখব।
গ্যাপ কিন্তু অনেক বেশি, আমরা একটি সুতোর উপর দিয়ে হাটছি, দুই দিকেই বিপদ।

তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন মোটামুটি ব্যালান্সে চলে এসেছে, পুরোপুরি এসেছে এটা দাবি করব না। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। আমরা চেষ্টা করছি কিছু শুরু করে যেতে।