জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় ঘোষণা আসার প্রয়োজন রয়েছে, এবং সেই ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনের পথে নানা বাধা-বিপত্তি দেখা দিচ্ছে। বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে সৎ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, তবে সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম ছিল উসকানিমূলক, অসহনশীল এবং অগ্রহণযোগ্য। আপনারা নিশ্চয়ই তা লক্ষ্য করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এবং এর সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার জন্য ভারত বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপচেষ্টা আমরা সম্মিলিতভাবে নিন্দা জানিয়েছি।’
জাতীয় ঐক্যের কথা জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা একটা জায়গায় সবাই একমত হয়েছি যে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। এখানে আমরা এক থাকব, যেমন অতীতে ছিলাম। এখানে পরামর্শ এসেছে, রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যেমন মতবিনিময় হয়েছে, ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে হবে। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সাথে হবে, আপনাদের (সাংবাদিক) সাথে হবে। আমরা সেই প্রস্তাব রেখে এসেছি।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসতে শুরু করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
তবে জাতীয় পার্টিকে সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
এর আগে, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে আলাপ করতে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?