সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সংগিত

আইসিইউতে কিংবদন্তী সাবিনা ইয়াসমিন ও লালন-সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকব’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাৎক্ষণিক তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। শনিবার সকালে আবাও অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।সেখানে তাকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। […]

ফারজিন লিটু

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০০

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকব’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

পরে তাৎক্ষণিক তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। শনিবার সকালে আবাও অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
সেখানে তাকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, সাবিনা ইয়াসমিন একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সংগীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসংগীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

এদিকে আইসিইউতে লালন-সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন ,শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম।

জানা যায়, লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।


তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে শনিবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
শিল্পীর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে তার।


বর্তমানে তিনি একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার অবস্থা কিছুটা জটিল।
চিকিৎসকরা তাকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ফরিদা পারভীনে দায়িত্বরত চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ফরিদা পারভীনকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা আছে।’

উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন।
১৯৭৩ সালের দিকে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান।
২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এ শিল্পী।

সংগিত

জুলাই অভ্যু্ত্থানে আহতদের জন্য গাইবেন রাহাত ফতেহ আলি খান

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফতেহ আলি খান। দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র- জনতার জুলাই অভুথ্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সহায়তায় ঢাকার একটি কনসার্টে গান গাইতে আসবেন তিনি। ছাত্র- জনতার জুলাই অভ্যু্ত্থানে আহত ও নিহতদের সহায়তায় চ্যারিটি শোটির শিরোনাম ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ । এ কনসার্টটির আয়োজন করেছে ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’। এ মঞ্চেই গান গাইবেন […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৭

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফতেহ আলি খান। দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র- জনতার জুলাই অভুথ্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সহায়তায় ঢাকার একটি কনসার্টে গান গাইতে আসবেন তিনি।

ছাত্র- জনতার জুলাই অভ্যু্ত্থানে আহত ও নিহতদের সহায়তায় চ্যারিটি শোটির শিরোনাম ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ । এ কনসার্টটির আয়োজন করেছে ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’।

এ মঞ্চেই গান গাইবেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, আহত ও নিহত পরিবারদের সাহায্যার্থে বিনা পারিশ্রমিকে ঢাকায় গান গাইবেন রাহাত। কনসার্ট থেকে টিকিট বিক্রির আয় শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তরা

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে চ্যারিটি কনসার্টটির আয়োজন করা হবে।

সংগিত

নেত্রকোণায় আজ হিমু উৎসব

নুরুল আলম কামাল (নেত্রকোণা প্রতিনিধি): আজ ১৩ নভেম্বর। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর ৭৬তম জন্মদিন। আর এ দিনে প্রতিবারের মতো এবারও পালিত হচ্ছে হিমু উৎসব। লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোণায় তারুণ্য নির্ভর সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে দিনব্যাপী হিমু উৎসবের মেতে উঠবে জেলা শহর। তরুণ পাঠক ভক্তরা প্রতিবারের ন্যায় এবারো দিবসটিতে হিমু-রূপা সেজে পায়ে হেঁটে অতিক্রম […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২

নুরুল আলম কামাল (নেত্রকোণা প্রতিনিধি):

আজ ১৩ নভেম্বর। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর ৭৬তম জন্মদিন। আর এ দিনে প্রতিবারের মতো এবারও পালিত হচ্ছে হিমু উৎসব। লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোণায় তারুণ্য নির্ভর সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে দিনব্যাপী হিমু উৎসবের মেতে উঠবে জেলা শহর। তরুণ পাঠক ভক্তরা প্রতিবারের ন্যায় এবারো দিবসটিতে হিমু-রূপা সেজে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করবে দুই কিলোমিটার সড়ক।

বিভিন্ন বয়সের কবি, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা হিমু উৎসবের প্রথমার্ধে শোভাযাত্রা বের করবে। সাতপাই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি মোক্তারপাড়া মাঠে গিয়ে শেষ হবে। পরে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হবে। সন্ধ্যায় রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

তারুণ্য নির্ভর সামাজিক সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে বুধবার সকালে ১১ টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় সাতপাই থেকে হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু আর নীল শাড়িতে রূপা সেজে লেখকের নাটক সিনেমায় ব্যবহৃত গানের সাথে নেচে গেয়ে মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে অতিক্রম করবে।
সেখানে হিমু-রূপাদের নিয়ে কেক কাটবেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ।

পরে সন্ধ্যা ৭ টায় হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আড্ডায় আড্ডায় লেখকের তৈরি নাটক সিনেমায় ব্যবহৃত কালজয়ী গান ও নৃত্য পরিবেশিত হবে।

শিল্পকলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে আড্ডায় আড্ডায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লেখক সম্পর্কে আলোচনা করবেন স্থানীয় কবি, লেখক ও সাহিত্যিকরা। মূলত প্রতিবছর নতুন প্রজন্মের মাঝে হুমায়ুন আহমেদ এর সাহিত্য সংস্কৃতি আনন্দের ছলে এবং লেখকের আকর্ষণীয় কাল্পনিক চরিত্রের রূপায়নের মাধ্যমে তুলে ধরাই লক্ষ্য।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই লেখকের এমন কাল্পনিক চরিত্রের কার্যক্রম ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা মাত্র জানালেন আয়োজক সদস্য সৈয়দা নাজনীন সুলতানা সুইটি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে চলা এই উৎসব এখন সকলের উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর এই আয়োজনকে ঘিরে এক মাস ধরে প্রস্তুতি চলে। যে প্রস্তুতিতে হলুদ টি শার্ট করা হয়। এই টি শার্টে প্রতি বছর লেখকের এক একটি শিক্ষনীয় উক্তি লিখা থাকে। আমাদের নতুন প্রজন্ম তারা প্রতিযোগিতা করে এসকল উক্তি থেকে একটা উক্তি বাছাই করে। এতে তাদের মধ্যে একটা সহনীয় মনোভাব তৈরি হয়। সাহিত্যকে জানা হয়। একজন অন্যজনের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া শেখে। এসব কর্মকাণ্ড দিয়েই প্রায় মাসব্যাপী ছেলে মেয়েদেরকে আমরা ব্যস্ত রাখতে পারি।

হিমু মির্জা হৃদয় সাগর বলেন, হলুদ টি শার্ট পড়া বড় ব্যাপার না। বড় ব্যপার হচ্ছে এই টি শার্টের গায়ের লিখাটা। এটি মানুষ দেখে জানে। এতে হুমায়ুন চর্চা যেমন হয় তেমন নতুনেরা জানতে পারে অন্য লেখকদের সম্পর্কেও।

রিফাত আহমেদ রাসেল বলেন, একটি আয়োজনকে ঘিরে মাসব্যাপী কার্যক্রমে এখন শহরবাসীও প্রস্তুত থাকে প্রতিবছর। এর সাথে প্রশাসন থাকেন। অনেকে হুমায়ুন আহমেদকে শুধু পড়েছেন। কিন্তু এভাবে তাকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে জানা টাকেও নতুন করে গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা যেন এক বাক্যে হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে ইন্টারভিউ বা যে কোন স্থানে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এই প্র‍্যাকটিসটিও হচ্ছে আমাদের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে। এক বরেণ্য ব্যক্তির উৎসব প্রতি বছর অপর বরেণ্য বুদ্ধিজীবী সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক যতীন সরকার উদ্বোধন করেন। বর্তমানে প্রতি বছর দিনটি তরুণ প্রজন্মের সাথে বিভিন্ন প্রজন্মের একটি মেল বন্ধন ঘটার দিনে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও লেখকের জন্মস্থান নানার বাড়ি জেলার মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে ও লেখকের পৈত্রিক ভিটা কেন্দুয়ার কুতুবপুরে লেখক প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে দোয়া মাহফিল করা হবে।

উল্লেখ্য, লেখক হুমায়ুন আহমেদ এই দিনে মায়ের প্রথম সন্তান হওয়ায় নানার বাড়ি মোহনগঞ্জের শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নানার বাড়িতে থাকার আরও একটি কারণ ছিলো। হুমায়ুন আহমেদ এর পিতা সরকারি চাকুরী করায় স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতেই রেখে যেতেন। পরবর্তীতে ২০১২ সনের ১৯ জুলাই তিনি আমেরিকায় মারা যান।

সংগিত

এই পদ্মা এই মেঘনা গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর আর নেই

বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফর আর নেই।সর্বকালের সেরা গান ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার এই গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৭

বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফর আর নেই।সর্বকালের সেরা গান ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার এই গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।

আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি।

আবু জাফর ছিলেন- একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার, কবি এবং সংগীতশিল্পী। পেশাগতজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন। আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন।

তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ উল্লেখযোগ্য গান।

বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু তিনি। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) উল্লেখযোগ্য।

শুধু তাই নয়, তিনি নিজের রচিত এবং সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তার প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন তার সঙ্গে যুগল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

অবসরটা খুব নিভৃতেই কেটেছে আবু জাফরের। আড়ালেই ছিল সুরকারের শেষ দিনগুলো। তাঁর পাশে সব সময়ের জন্য ছিলেন এক মেয়ে ও তিন ছেলে। মৃত্যুর পর ভক্তদের সামনে নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর কালজয়ী গানগুলো। এই গানের মাধ্যমেই তাঁকে মনে করবেন শ্রোতারা।