১. জুমার ফজরের তিলাওয়াত করা
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জুমার ফজরের নামাজে সুরা আস-সিজদা এবং সুরা আল-ইনসান তিলাওয়াত করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৬৮)
২. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা জুমার দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ, তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।” (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)
৩. জুমার নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করা
জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। এদিন অনেক মানুষ একত্রিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সতর্ক করেছেন, যারা অলসতা বা অবহেলার কারণে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়, তাদের হৃদয়ে আল্লাহ মোহর মেরে দেন।
৪. বিশেষভাবে গোসল করা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে চায়, সে যেন আগে গোসল করে নেয়।” (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৪৯২)
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করা
আবু সাইদ খুদরি (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যদি জুমার দিন সুগন্ধি পাওয়া যায়, তবে তা ব্যবহার করো।” (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮০)
৬. মিসওয়াক করা এবং ফজরের জন্য প্রস্তুত হওয়া
জুমার দিন মিসওয়াক করা এবং প্রত্যুষে নামাজের জন্য জাগ্রত হওয়া সুন্নত।
৭. ইমামের আগমনের পূর্বে ইবাদতে রত থাকা
ইমাম আসার আগে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকিরে সময় ব্যয় করা উচিত।
৮. খুতবার সময় সম্পূর্ণ চুপ থাকা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি খুতবার সময় তার সঙ্গীকে ‘চুপ থাকো’ বলল, সে অনর্থক কাজ করল।” (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৪০১)
৯. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত হবে।” (আত-তারগিব, হাদিস : ৭৩৫)
১০. জুমার নির্ধারিত সুরা তিলাওয়াত করা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জুমার নামাজে ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা’ এবং ‘হাল আতা-কা হাদিসুল গা-শিয়াহ’ সুরা পড়তেন। কোনো কোনো বর্ণনায় সুরা জুমুআ ও সুরা আলা তিলাওয়াতের কথাও এসেছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯১৩)
১১. পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পোশাক পরা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, পবিত্র হয়, ভালো পোশাক পরে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমার গুনাহ ক্ষমা করা হয়।” (সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস : ১০৯৭)
১২. মসজিদে সুগন্ধি ব্যবহার করা
জুমার দিনে মসজিদে সুগন্ধি লাগানোর জন্য ওমর (রাঃ) আদেশ দিতেন।
১৩. গুনাহ মোচনের সুযোগ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র হয়ে জুমার নামাজে আসে এবং ইমামের নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকে, তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমার গুনাহ মাফ হয়।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৭২৯)
১৪. কবরের আজাব মাফ হওয়া
জুমার দিনে কবরের আজাব মাফ হওয়ার কথা এসেছে। এছাড়া অন্য দিনে জাহান্নামের আগুন উত্তপ্ত করা হয়, তবে জুমার দিনে তা করা হয় না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১০৮৩)
১৫. বিশেষ দোয়া কবুলের সময়
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তা অবশ্যই কবুল হয়।” এ সময়টি আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে বলে মত দেওয়া হয়েছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৫৮)