শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বিনোদন

আসিফ নজরুলকে হেনস্থাকারী কাউকে ছাড়া হবে না: প্রিন্স মাহমুদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে যান। সেখানে […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে যান। সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন এ আইন উপদেষ্টা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একদল আওয়ামী লীগের সমর্থক ঘিরে ধরেছেন আসিফ নজরুলকে। তার সঙ্গে উত্তেজিত ভাষায় তর্ক করছেন তারা। বারবার প্রশ্ন করছেন— ‘আপনি মিথ্যা বলেছেন।’ হেনস্তার শিকার হোন আইন উপদেষ্টা। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিনোদন জগতের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী কাউকে ছাড়া হবে না। একই কথা বলেছেন আরেক গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, আসিফ নজরুল ভাইকে এয়ারপোর্টে হেনস্তাকারী কাউকে ছাড়া হবে না । প্রবাসী যারা সুইজারল্যান্ডে আছেন, তাদের খুঁজে বের করুন। এদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয় প্রকাশ করুন। বাংলাদেশে কোথায় এই গণহত্যাকারীর দোসররা থাকেন ঠিকানা বের করুন।

তিনি বলেন, আসিফ ভাই চাইলে আগের আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মতো দেশের টাকা লুটপাট করে ১০০ জনের লট বহর নিয়ে বিদেশে সফর করতে পারতেন, কিন্তু সেটি না করে তার মতো একজন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাধারণ সিটিজেনদের মতো একা বিদেশ সফর করে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।

জনপ্রিয় এ সুরকার বলেন, আসিফ ভাইকে একা পেয়ে আওয়ামী কাপুরুষরা যা করেছে, তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে— তাদের খুনি নেত্রী বিদেশ সফরে গেলে জনতার প্রতিবাদের ভয়ে শত দেহরক্ষী ও স্তাবক চামচা পরিবেষ্টিত হয়েও হোটেলের পেছনের দরজা দিয়ে চলাফেরা করতে হতো। আসিফ নজরুল ভাই, ভালো মানুষদের এমনই হয়।

প্রিন্স মাহমুদ বলেন, আপনি এভাবেই বিদেশ সফর করবেন, আর মনে রাখবেন— আপনি একা না, কিছু আওয়ামী দুর্বৃত্ত ছাড়া পুরো দেশ দাঁড়িয়ে আছে আপনার পাশে। তিনি বলেন, গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী বরাহ শাবকদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। এদের প্রতি দরদ দেখাবেন, এদের নিকটজনরা দেশের বাইরে এ রকম আচরণ করতে থাকবে। স্বৈরাচারের দোসরদের ছাড় দেওয়ার ওসিয়ত নামাটা পাওয়া গেল।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন সূত্রে জানা যায়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারী তাকে বিরক্ত করেছেন।

সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তাকারীরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ছাড়াও শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও অংশ নেন।

বিনোদন

লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, দেশে পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না : আলভী

‘শুনলাম, পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি হচ্ছে আমার দেশে। খুব শিগরিরই শুরু হবে সমপ্রচার। খুব চড়া ও অগ্রীম দামে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, অলরেডি ডাবিংও শুরু হয়ে গেছে।’ প্রতিবাদ জানিয়ে আলভী লিখেছেন, “আমি ‘যাহের আলভী’ লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, যে সকল বাংলাদেশি চ‍্যানেল পাকিস্তানি নাটক আমদানি ও সমপ্রচার করবে, সে চ‍্যানেলে আমার নাটক যাবে না। আমি সেই সকল চ‍্যানেলের কোন নাটকে সজ্ঞানে অভিনয় করবো না

লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, দেশে পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না : আলভী

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২২ মে ২০২৫, ১৮:৫০

দর্শকচাহিদা মাথায় রেখে কয়েক বছর ধরেই দেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ভিনদেশি সিরিয়াল আমদানি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের চ্যানেলে যুক্ত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানি সিরিয়াল।

বিদেশি সিরিয়াল আমদানি নিয়ে ছোট পর্দার শিল্পীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানির খবরে রীতিমত হুমকি দিলেন ছোট পর্দার অভিনেতা যাহের আলভী। অবশ্য তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেতা।

২১ মে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই অভিনেতা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শুনলাম, পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি হচ্ছে আমার দেশে। খুব শিগরিরই শুরু হবে সমপ্রচার। খুব চড়া ও অগ্রীম দামে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, অলরেডি ডাবিংও শুরু হয়ে গেছে।’

প্রতিবাদ জানিয়ে আলভী লিখেছেন, “আমি ‘যাহের আলভী’ লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, যে সকল বাংলাদেশি চ‍্যানেল পাকিস্তানি নাটক আমদানি ও সমপ্রচার করবে, সে চ‍্যানেলে আমার নাটক যাবে না। আমি সেই সকল চ‍্যানেলের কোন নাটকে সজ্ঞানে অভিনয় করবো না

কারণ উল্লেখ করে আলভী লিখেছেন, ‘বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি এক চরম অনিশ্চয়তায় আছে। সরকার পতনের পর কোনও বড় প্রতিষ্ঠান অথবা ব‍্যক্তিই সুনির্দিষ্ট অর্থলগ্নি করছে না নাটকে। দুয়েজন ব‍্যতীত। ফলে আমার ইন্ডাস্ট্রির খেটে খাওয়া মানুষগুলো খুব দুর্বিসহ দিন পার করছে।

৯০ ভাগ ডিরেক্টর, আর্টিস্ট, ক‍্যামেরাম‍্যন, মেকাপম‍্যান ঘরে বসে দিন পার করছে আর সুদিনের আশায় আছে। যেখানে আমার দেশের, আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ বসে থাকবে আর কষ্টে থাকবে, সেখানে চ‍্যানেলে পাকিস্তানি সিরিয়াল চলবে, এটা আমি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেকেরই ধারণা নেই, আমাদের নাটক ইন্ডাস্ট্রি কোন রসাতলে যাচ্ছে! কতটা দুর্ভিক্ষের পথে হাটছি আমরা। সবাই এখন ইয়া নাফসি মনোভাব নিয়ে আছে। আগে আমার দেশ, আমার ইন্ডাস্ট্রি, আমার টেকনিশিয়ান, আমার শিল্পীরা বাঁচব। তারপর বাকী সব। কোনও বিদেশি নাটক আমদানীর পক্ষে নেই আমি।’

শেষে আলভী লিখেছেন, ‘আমার মতো মেরুদণ্ডী কোন হিরো যদি ইন্ডাস্ট্রীতে থেকে থাকে, আমার সেই ভাইদের কাছ থেকেও আমি এই উদ্যোগ আশা করবো। অথবা এটা আমার একারই যুদ্ধ। লাউড এ‍্যান্ড ক্লিয়ার।’

বিনোদন

অপু বিশ্বাস-নিপুণ-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাজহুরুল ইসলাম। মামলাটিতে আসামির তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিমের নাম-ও। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার […]

অপু বিশ্বাস-নিপুণ-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২৮

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাজহুরুল ইসলাম।

মামলাটিতে আসামির তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিমের নাম-ও।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার ভাটার থানাধীন এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় এসব অভিনয়শিল্পীদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে― সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।

এসব আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য তখন বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ সময় অন্য আসামিদের ছোড়া গুলি বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

বিনোদন

বহুদূর’ থেকে ‘ক্রোধ’ Metal Error-এর গানে আঁকা হৃদয়ের মানচিত্র

বরিশালের কুয়াশা ছেঁড়ে উঠে আসা সুরের ভেলা—’মেটাল ইরোর’ সঙ্গীত যেন আত্মার ভাষা, আর সেই ভাষায় তারা বলেছিল প্রতিবাদের গল্প, ভালোবাসার ব্যথা, আর একরাশ বেদনাময় স্মৃতি। ২০২১ সাল, কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রাচীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। সেই ঐতিহাসিক বরিশালের পাঁচ তরুণ হাতে তুলে নেয় গিটার, গলায় ধারণ করে সাহস, আর হৃদয়ে আগুন নিয়ে শুরু করে এক ব্যতিক্রমী যাত্রা—ব্যান্ড ‘মেটাল […]

বহুদূর’ থেকে ‘ক্রোধ’ Metal Error-এর গানে আঁকা হৃদয়ের মানচিত্র

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুন ২০২৫, ১৬:১২

বরিশালের কুয়াশা ছেঁড়ে উঠে আসা সুরের ভেলা—’মেটাল ইরোর’

সঙ্গীত যেন আত্মার ভাষা, আর সেই ভাষায় তারা বলেছিল প্রতিবাদের গল্প, ভালোবাসার ব্যথা, আর একরাশ বেদনাময় স্মৃতি। ২০২১ সাল, কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রাচীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। সেই ঐতিহাসিক বরিশালের পাঁচ তরুণ হাতে তুলে নেয় গিটার, গলায় ধারণ করে সাহস, আর হৃদয়ে আগুন নিয়ে শুরু করে এক ব্যতিক্রমী যাত্রা—ব্যান্ড ‘মেটাল ইরোর’ (METAL ERROR)।

যাত্রার শুরুতে, তিনটি নাম ছিল সবচেয়ে বেশি নিবেদিত—ইস্ফাক, পার্থ গোমেজ এবং তূর্য। সঙ্গীত শুধু তাদের নেশা নয়, ছিল একরকম দায়বদ্ধতা, ভালোবাসা আর বেঁচে থাকবার অবলম্বন। তারা চেয়েছিল, গান হবে হৃদয়ে বিষাদকে বহন করবার সুর, না বলা ফুলের অব্যক্ত আগুন লাগানো চিৎকার—আবার প্রশান্তির মতো শান্ত নদীর ঢেউ।

বরিশাল থেকেই শুরু হয়েছিল পথচলা। তাদের প্রথম গান ‘বহুদূর’, যা ছিল ‘অপেক্ষা’ অ্যালবামের প্রথম সুর। এরপর আসে ‘মিথ্যা আশ্বাস’—যা ভাঙা বিশ্বাস আর কষ্টের গল্প বলে। কিন্তু সংগীতের এই পথটা সহজ ছিল না। বরিশালের নানান প্রতিকূলতা, জঞ্জাল আর অসঙ্গতি তাদের স্বপ্নকে থামিয়ে দেয় মাঝপথেই। ব্যান্ড ভেঙে যায়, পার্থ সরে যান সঙ্গীতজগত থেকে।

তবুও থেমে থাকেনি তূর্য ও ইস্ফাক। তারা বুঝে ফেলেছিল—যদি গানকে বাঁচাতে হয়, দরকার স্থান পরিবর্তনের, অতঃপর ছাড়লেন আপন শহর। শুরু হয় নতুন লড়াই, ঢাকায় নতুন পথচলা। ঢাকায় এসে তারা উপহার দেয় আরও তিনটি জনপ্রিয় গান—‘ক্রোধ’, ‘স্মৃতি’, আর ‘কল্পনা’। এই গানগুলো শুধু সুর নয়, যেন আত্মার সাথে শ্রোতার এক নিঃশব্দ কথোপকথন।

আজ ‘মেটাল ইরোর’ শুধু একটি ব্যান্ড নয়, এটি এক দৃঢ়তা, পুনর্জন্ম আর নতুন করে বাঁচবার অনুপ্রেরণা। ব্যান্ডের পুরোনো সদস্যদের তালিকায় ছিলেন—পার্থ গোমেজ, তন্ময়, চার্লস, প্রান্তিক, ফিদা, রোদ, মাহিন। বর্তমান লাইনআপে রয়েছেন—রিয়াদ, বকুল, সৌরভ জামাল, আসিফ, রুদ্র, ইস্ফাক এবং তূর্য।

এই বছর ‘মেটাল ইরোর’ তাদের নতুন অ্যালবামের সব গান শেষ করার পর, পরিকল্পনা করছে একটি বিশেষ আয়োজন—ফ্যানদের জন্য একটি একক কনসার্ট, যেখানে তারা শুধু গান নয়, ছুঁয়ে দিতে চায় হৃদয়ের ভেতরকার আলো আর অন্ধকারকে।

তাদের স্বপ্ন? একটি এমন সঙ্গীতভুবন গড়ে তোলা—যেখানে গান শুধু শোনা হবে না, অনুভব করা হবে। যেখানে সুর হবে প্রতিবাদের ভাষা, ভালোবাসার আশ্রয়, আর একাকিত্বের সঙ্গী।

‘মেটাল ইরোর’ আজ শুধু বরিশালের নয়, দেশের তরুণদের কণ্ঠস্বর। তাদের স্বপ্নের গিটার থেকে বেরিয়ে আসুক এমন সুর—যা জাগায়, জ্বালায়, আর অবশেষে শান্তি দেয়।