সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বিনোদন

লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, দেশে পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না : আলভী

‘শুনলাম, পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি হচ্ছে আমার দেশে। খুব শিগরিরই শুরু হবে সমপ্রচার। খুব চড়া ও অগ্রীম দামে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, অলরেডি ডাবিংও শুরু হয়ে গেছে।’ প্রতিবাদ জানিয়ে আলভী লিখেছেন, “আমি ‘যাহের আলভী’ লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, যে সকল বাংলাদেশি চ‍্যানেল পাকিস্তানি নাটক আমদানি ও সমপ্রচার করবে, সে চ‍্যানেলে আমার নাটক যাবে না। আমি সেই সকল চ‍্যানেলের কোন নাটকে সজ্ঞানে অভিনয় করবো না

লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, দেশে পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না : আলভী

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২২ মে ২০২৫, ১৮:৫০

দর্শকচাহিদা মাথায় রেখে কয়েক বছর ধরেই দেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ভিনদেশি সিরিয়াল আমদানি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের চ্যানেলে যুক্ত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানি সিরিয়াল।

বিদেশি সিরিয়াল আমদানি নিয়ে ছোট পর্দার শিল্পীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানির খবরে রীতিমত হুমকি দিলেন ছোট পর্দার অভিনেতা যাহের আলভী। অবশ্য তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেতা।

২১ মে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই অভিনেতা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শুনলাম, পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি হচ্ছে আমার দেশে। খুব শিগরিরই শুরু হবে সমপ্রচার। খুব চড়া ও অগ্রীম দামে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, অলরেডি ডাবিংও শুরু হয়ে গেছে।’

প্রতিবাদ জানিয়ে আলভী লিখেছেন, “আমি ‘যাহের আলভী’ লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, যে সকল বাংলাদেশি চ‍্যানেল পাকিস্তানি নাটক আমদানি ও সমপ্রচার করবে, সে চ‍্যানেলে আমার নাটক যাবে না। আমি সেই সকল চ‍্যানেলের কোন নাটকে সজ্ঞানে অভিনয় করবো না

কারণ উল্লেখ করে আলভী লিখেছেন, ‘বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি এক চরম অনিশ্চয়তায় আছে। সরকার পতনের পর কোনও বড় প্রতিষ্ঠান অথবা ব‍্যক্তিই সুনির্দিষ্ট অর্থলগ্নি করছে না নাটকে। দুয়েজন ব‍্যতীত। ফলে আমার ইন্ডাস্ট্রির খেটে খাওয়া মানুষগুলো খুব দুর্বিসহ দিন পার করছে।

৯০ ভাগ ডিরেক্টর, আর্টিস্ট, ক‍্যামেরাম‍্যন, মেকাপম‍্যান ঘরে বসে দিন পার করছে আর সুদিনের আশায় আছে। যেখানে আমার দেশের, আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ বসে থাকবে আর কষ্টে থাকবে, সেখানে চ‍্যানেলে পাকিস্তানি সিরিয়াল চলবে, এটা আমি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেকেরই ধারণা নেই, আমাদের নাটক ইন্ডাস্ট্রি কোন রসাতলে যাচ্ছে! কতটা দুর্ভিক্ষের পথে হাটছি আমরা। সবাই এখন ইয়া নাফসি মনোভাব নিয়ে আছে। আগে আমার দেশ, আমার ইন্ডাস্ট্রি, আমার টেকনিশিয়ান, আমার শিল্পীরা বাঁচব। তারপর বাকী সব। কোনও বিদেশি নাটক আমদানীর পক্ষে নেই আমি।’

শেষে আলভী লিখেছেন, ‘আমার মতো মেরুদণ্ডী কোন হিরো যদি ইন্ডাস্ট্রীতে থেকে থাকে, আমার সেই ভাইদের কাছ থেকেও আমি এই উদ্যোগ আশা করবো। অথবা এটা আমার একারই যুদ্ধ। লাউড এ‍্যান্ড ক্লিয়ার।’

বিনোদন

নামাজ-রোজার মতো পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি

দেশের ইসলামী সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৃৎ সংগঠন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে হোয়াইট হল রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়। ইফতার মাহফিল ঘিরে সাইমুমের সাবেক ও বর্তমান শিল্পী, কবি, নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সুরকারদের মিলন মেলা বসে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, নামাজ-রোজার মতোই […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২

দেশের ইসলামী সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৃৎ সংগঠন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে হোয়াইট হল রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়।

ইফতার মাহফিল ঘিরে সাইমুমের সাবেক ও বর্তমান শিল্পী, কবি, নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সুরকারদের মিলন মেলা বসে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

তিনি বলেন, নামাজ-রোজার মতোই পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি। এত বছর বাঙালি সংস্কৃতির অজুহাত দেখিয়ে ইসলামী সংস্কৃতিকে বিভাজন করা হয়েছিলো, যার কারণেই ৫ আগস্ট হয়েছে। সব ধর্ম, সমাজ, বিশ্বাসকে ঘিরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি এদেশেরই অংশ। কারো ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বিভাজন নয়, পরষ্পর শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় সরকার।

সাইমুমের পরিচালক শিল্পী জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক হাফেজ নিয়ামুল হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন মুহাদ্দিস মুফতি কাজী ইব্রাহীম।

ভিনদেশী ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মোকাবিলায় ইসলামী এবং দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে আরো অগ্রনী ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাইমুম শিল্পীরা।

ইফতার মাহফিল থেকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রয়াত কবি মতিউর রহমাম মল্লিক, সাবেক সভাপতি কবি আসাদ বিন হাফিজসহ প্রয়াত সব শিল্পীকে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

পাশাপাশি ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এছাড়াও বিশ্ব সম্প্রদায়কে সব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানানো হয়।

বিনোদন

অপু বিশ্বাস-নিপুণ-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাজহুরুল ইসলাম। মামলাটিতে আসামির তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিমের নাম-ও। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার […]

অপু বিশ্বাস-নিপুণ-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২৮

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাজহুরুল ইসলাম।

মামলাটিতে আসামির তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিমের নাম-ও।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার ভাটার থানাধীন এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় এসব অভিনয়শিল্পীদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে― সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।

এসব আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য তখন বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ সময় অন্য আসামিদের ছোড়া গুলি বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

বিনোদন

বহুদূর’ থেকে ‘ক্রোধ’ Metal Error-এর গানে আঁকা হৃদয়ের মানচিত্র

বরিশালের কুয়াশা ছেঁড়ে উঠে আসা সুরের ভেলা—’মেটাল ইরোর’ সঙ্গীত যেন আত্মার ভাষা, আর সেই ভাষায় তারা বলেছিল প্রতিবাদের গল্প, ভালোবাসার ব্যথা, আর একরাশ বেদনাময় স্মৃতি। ২০২১ সাল, কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রাচীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। সেই ঐতিহাসিক বরিশালের পাঁচ তরুণ হাতে তুলে নেয় গিটার, গলায় ধারণ করে সাহস, আর হৃদয়ে আগুন নিয়ে শুরু করে এক ব্যতিক্রমী যাত্রা—ব্যান্ড ‘মেটাল […]

বহুদূর’ থেকে ‘ক্রোধ’ Metal Error-এর গানে আঁকা হৃদয়ের মানচিত্র

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুন ২০২৫, ১৬:১২

বরিশালের কুয়াশা ছেঁড়ে উঠে আসা সুরের ভেলা—’মেটাল ইরোর’

সঙ্গীত যেন আত্মার ভাষা, আর সেই ভাষায় তারা বলেছিল প্রতিবাদের গল্প, ভালোবাসার ব্যথা, আর একরাশ বেদনাময় স্মৃতি। ২০২১ সাল, কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রাচীন বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। সেই ঐতিহাসিক বরিশালের পাঁচ তরুণ হাতে তুলে নেয় গিটার, গলায় ধারণ করে সাহস, আর হৃদয়ে আগুন নিয়ে শুরু করে এক ব্যতিক্রমী যাত্রা—ব্যান্ড ‘মেটাল ইরোর’ (METAL ERROR)।

যাত্রার শুরুতে, তিনটি নাম ছিল সবচেয়ে বেশি নিবেদিত—ইস্ফাক, পার্থ গোমেজ এবং তূর্য। সঙ্গীত শুধু তাদের নেশা নয়, ছিল একরকম দায়বদ্ধতা, ভালোবাসা আর বেঁচে থাকবার অবলম্বন। তারা চেয়েছিল, গান হবে হৃদয়ে বিষাদকে বহন করবার সুর, না বলা ফুলের অব্যক্ত আগুন লাগানো চিৎকার—আবার প্রশান্তির মতো শান্ত নদীর ঢেউ।

বরিশাল থেকেই শুরু হয়েছিল পথচলা। তাদের প্রথম গান ‘বহুদূর’, যা ছিল ‘অপেক্ষা’ অ্যালবামের প্রথম সুর। এরপর আসে ‘মিথ্যা আশ্বাস’—যা ভাঙা বিশ্বাস আর কষ্টের গল্প বলে। কিন্তু সংগীতের এই পথটা সহজ ছিল না। বরিশালের নানান প্রতিকূলতা, জঞ্জাল আর অসঙ্গতি তাদের স্বপ্নকে থামিয়ে দেয় মাঝপথেই। ব্যান্ড ভেঙে যায়, পার্থ সরে যান সঙ্গীতজগত থেকে।

তবুও থেমে থাকেনি তূর্য ও ইস্ফাক। তারা বুঝে ফেলেছিল—যদি গানকে বাঁচাতে হয়, দরকার স্থান পরিবর্তনের, অতঃপর ছাড়লেন আপন শহর। শুরু হয় নতুন লড়াই, ঢাকায় নতুন পথচলা। ঢাকায় এসে তারা উপহার দেয় আরও তিনটি জনপ্রিয় গান—‘ক্রোধ’, ‘স্মৃতি’, আর ‘কল্পনা’। এই গানগুলো শুধু সুর নয়, যেন আত্মার সাথে শ্রোতার এক নিঃশব্দ কথোপকথন।

আজ ‘মেটাল ইরোর’ শুধু একটি ব্যান্ড নয়, এটি এক দৃঢ়তা, পুনর্জন্ম আর নতুন করে বাঁচবার অনুপ্রেরণা। ব্যান্ডের পুরোনো সদস্যদের তালিকায় ছিলেন—পার্থ গোমেজ, তন্ময়, চার্লস, প্রান্তিক, ফিদা, রোদ, মাহিন। বর্তমান লাইনআপে রয়েছেন—রিয়াদ, বকুল, সৌরভ জামাল, আসিফ, রুদ্র, ইস্ফাক এবং তূর্য।

এই বছর ‘মেটাল ইরোর’ তাদের নতুন অ্যালবামের সব গান শেষ করার পর, পরিকল্পনা করছে একটি বিশেষ আয়োজন—ফ্যানদের জন্য একটি একক কনসার্ট, যেখানে তারা শুধু গান নয়, ছুঁয়ে দিতে চায় হৃদয়ের ভেতরকার আলো আর অন্ধকারকে।

তাদের স্বপ্ন? একটি এমন সঙ্গীতভুবন গড়ে তোলা—যেখানে গান শুধু শোনা হবে না, অনুভব করা হবে। যেখানে সুর হবে প্রতিবাদের ভাষা, ভালোবাসার আশ্রয়, আর একাকিত্বের সঙ্গী।

‘মেটাল ইরোর’ আজ শুধু বরিশালের নয়, দেশের তরুণদের কণ্ঠস্বর। তাদের স্বপ্নের গিটার থেকে বেরিয়ে আসুক এমন সুর—যা জাগায়, জ্বালায়, আর অবশেষে শান্তি দেয়।