শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বিনোদন

‘আলো আসবেই’ নিয়ে মুখ খুললেন গ্রুপের অ্যাডমিন শামীমা তুষ্টি

এবার মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোরবিরোধী ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। উপলব্ধি শিরোনামে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। অবশ্য তাতেও খুব একটা ভালো ফল মেলেনি। আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কবল থেকে মুক্তিকামী সাধারণ জনতা অভিনেত্রীকে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার গায়ে গরম জল ঢালতে চাওয়া আলো আসবেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪১

এবার মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোরবিরোধী ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। উপলব্ধি শিরোনামে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। অবশ্য তাতেও খুব একটা ভালো ফল মেলেনি। আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কবল থেকে মুক্তিকামী সাধারণ জনতা অভিনেত্রীকে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না।

আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার গায়ে গরম জল ঢালতে চাওয়া আলো আসবেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য শামীমা তুষ্টি তার পোস্টে লিখেছেন, আমি এই মুহূর্তে যা লিখতে যাচ্ছি, আমি জানি, তার জন্য আমি গালি ও ট্রোলের সম্মুখীন হতে পারি। তবুও আমি আমার পজিশন ক্লিয়ার করতে চাই।

এরপর তিনি লিখেছেন, আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমি একটা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এটার কারণ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এবং ১৯৬৫ সালে বাবা মালিবাগ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তাই আমার বাড়িতে সবসময় এই পরিবেশই ছিল যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আমি আমার নিজের পক্ষ ভেবেছি। আমার এই পক্ষপাতিত্ব যে ভুল তাও আমি মনে করি না। আমি মনে করি, আমি আমার অংশগ্রহণ ঠিক বিবেচনা করেই করেছি। কিন্তু এই দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের কিছু বিচার-বিবেচনা আছে।

অভিনেত্রী লিখেছেন, আপনারা সকলেই জানেন কেউ কোনো দলের কর্মী হিসাবে কাজ করে, তখন তার সেই দলের নেতাদের কথামতো কাজ করতে হয়। সেসব দলীয় নির্দেশনার বিপক্ষে গিয়ে কাজ করার পরিস্থিতি থাকে না। এবং আমি তা করতেও চাই না দলের কর্মী হিসাবে। তাই বলে এই হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার আমি সমর্থক নই। এক মিনিটের জন্যও ছিলাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বহু কর্মীই তা ছিলেন না।

শামীমা আরও লিখেছেন, আমাদের অনেকেরই পজিশন নেয়া দরকার ছিল। অনেক আগেই দরকার ছিল। আমি জানি, আপনাদের অনেকে এই কথাতেও ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু আশা করি এটা মানবেন যে, আমরা বাংলাদেশে কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি। দলীয় রাজনীতির মধ্যেও খবর ফিল্টার হয়।

এরপর তিনি লিখেছেন, যার সন্তান গেছে তার অবস্থা ভেবেছি। প্রতি মুহূর্তে আমি, আমাদের কেউ কেউ, একটা পজিশন নিতে গেছি। সেসব পজিশন কারো না কারো কারণে অন্য আরেকটা পজিশন হয়ে গেছে। আমরা বিটিভিতে গেছি শিল্পীরা সহিংসতা ও ছাত্রদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে , করেছেনও, তবে সেটা সংবাদে তেমন করে আসেনি, কিন্তু যা এসেছে তাতে আরও ভুল বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে যা দেখা গেছে সেটাও ঠিক না তা আমি বলবো না। আমরা হাসপাতালেও আহতদের দেখতে গেছি। আর তখনো আমি সকল কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি তেমন না।

পোস্টের মাঝামাঝি অভিনেত্রী লিখেছেন, আমরা যে যাই ভাবি না কেন, দল মূলত কী কী করতে যাচ্ছে বা কী করবে, তা সম্পূর্ণ জানার উপায় আমাদের ছিল না। আমি এসব কথা বলে পক্ষ-বদলের চেষ্টা করছি না। বরং আমার দলের পক্ষে যেসব মারাত্মক ভুল ছিল আমার যে সব বোঝাবুঝি ছিল সেগুলোর কারণে আমার দোনোমনা আর পরিস্থিতির কথা আপনাদের জানাতে এসেছি। আমি একটা সংগঠন করি যেখানে সিংহভাগই এই হিংস্রতা, এই হত্যার সমর্থক নয়। কিন্তু আমাদের কোনো একটা পজিশন কীভাবে নিতে পারি তা ভাবতে ভাবতেই প্রতিদিন আরও নতুন মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আরও বেশি করে আপনাদের থেকে দূরে সরে গেছি।

আলো আসবেই গ্রুপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একটা হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও আমি বলেছি যে সকলের সাথে গিয়ে আলাপ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত ঘটছিল আমি যা সমর্থন করি না তা আপনাদের জানানোর সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমার অনেক সহকর্মীরাও এসবের ভিতরে ছিলেন, পরে হয়তো থাকেননি। তারাও আমাকে অনেক গালাগাল করেছেন তবু আমি বলতে চাই যে আমি আমার সহকর্মীদের জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই করবো। এছাড়াও আমরা আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সাথেও যোগাযোগ করতে পরিনি এক সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য। সেসব ও আমাকে ভাবিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনও আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে দেরি করেছি। যে ঘৃণার সম্মুখীন আমরা, যে গালাগালি আমি খেতে পারি সেসবের ভয়েই আরও আরও দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এইসব সমালোচনা আর গালি আর ট্রোল আমার গ্রহণ করতে হবে। আর সেসবের মধ্য দিয়েই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।

পোস্টের শেষের দিকে শামীমা লিখেছেন, আপনারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি দলবদলের ইচ্ছা থেকে আসিনি। আমি যে দলে ছিলাম সেই দলের নেতৃবৃন্দের সকল কার্যক্রম যে আমি সমর্থন করি না সেটা জানাতে এসেছি। আমি জানাতে এসেছি আমি দল করলেও নিজের বিচারবুদ্ধি বিবেক-বিবেচনা বিক্রি দিয়ে আমি দল করি না। আমি অনেক দেরিতে আপনাদের সামনে এসেছি। কিন্তু আমার অনুভূতি নতুন নয়। শুরু থেকেই হচ্ছিল। আমি সত্যি সত্যি ট্রোল-গালির ভয়েই আমি আগে লিখিনি। অনেক ট্রোল আর গালি নেবার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। এখন কিছুটা কিছুটা নিজেকে সংযত করতে পেরেছি। সহ্য করার মতো ধৈর্য আশা করি আমার হবে, আপনাদের সকল কথা নেবার। সেরকম জায়গা থেকেই আমার অবস্থান আমি আপনাদের কাছে পরিষ্কার করলাম। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বাংলাদেশে বিফলে না যায় সেই প্রত্যাশা করছি।

পোস্টের শেষে নিজের নাম ও দিন তারিখ লিখে দিয়েছেন অভিনেত্রী। আলো আসবেই গ্রুপে আরও যুক্ত ছিলেন, ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। সেই তালিকায় ছিলেন— সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, নির্মাতা মিলন ভট্টাচার্য, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।

বিনোদন

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক তাকে গ্রেপ্তারের খবরটি জানিয়েছেন। Video জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শাওনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত […]

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৫৫

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক তাকে গ্রেপ্তারের খবরটি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শাওনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, নরুন্দি বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হওয়ার পর কিছু বিক্ষোভকারী শাওনের বাবার বাড়ির সামনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সেলিব্রেটি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ক একটি পোস্ট করেন তিনি। Video পোস্টে তিনি লেখেন, পোস্টে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন না চাওয়ার কারণ হচ্ছে নিজে এমপি হব, বউকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাব। শালা ভাইস চেয়ারম্যান, শালিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বড় চামচাকে ইউনিয়ন […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:২৮

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ক একটি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন,

‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি। এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতি বোঝা যাবে, মানুষও উপকৃত হবে।’

পোস্টে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন না চাওয়ার কারণ হচ্ছে নিজে এমপি হব, বউকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাব।

শালা ভাইস চেয়ারম্যান, শালিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বড় চামচাকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ছোট চামচাগুলাকে মেম্বার বানাব। এই মহৎ উদ্দেশ্য সফল হলে চুরির ক্ষেত্রে আর বাধা নেই।’

এ কমেন্টের উত্তরে আসিফ লিখেন, ‘একশ তে একশ।’

পারভেজ ভুইয়া নামে এক নেটিজেন দ্বিমত পোষণ করে লিখেছেন, একপক্ষ চায় জাতীয় নির্বাচন আগে হোক অন্য পক্ষ চায় স্থানীয় নির্বাচন। এখানে দুই পক্ষের যুক্তিই সমান যুক্তিযুক্ত।

আগে জাতীয় নির্বাচন হলে যারা সরকার গঠন করবে তারা ইচ্ছামতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী নির্বাচিত করবে। আবার আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তাহলে যারা নির্বাচিত হবে তারা কি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে না?

এমন মন্তব্যে আসিফ প্রতিউত্তরে লেখেন, ওই দাঁতের সমস‍্যা নির্বাচন কমিশন, সরকার আর সেনাবাহিনী দেখবে। কিন্তু এতেও দ্বিমত পোষণ করেন ওই নেটিজেন। যুক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেন ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার কথা।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলেও কিন্তু নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী আর সরকার ছিল। তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের হয়েই কাজ করেছিল। এখন যারা উপদেষ্টা থেকে দল গঠন করছেন তারা যে এমনটিই করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? এর উত্তর অবশ্য দেননি আসিফ।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে চান।

স্থানীয় নির্বাচন আগে করলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে। তারা পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাস করবে। দেশে অরাজকতা তৈরি হবে। তাই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন।

জাতীয় নির্বাচন যত দ্রুত দেবেন, দেশে তত দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে। আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার চেষ্টা করা হলে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

কুমিল্লায় গত শনিবার (ফেব্রুয়ারি) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। সরকার কি তবে আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের বিশ্বাস করে না?

এই অবিশ্বাসের কারণেই তো ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল, দেশের সম্পদ লুট করা হয়েছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন এবং জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর পদত্যাগ করেছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতারা সেসময় বিষয়টি অস্বীকার করেন।

বিনোদন

ফারজানা সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে আলোচনায় আসেন ফারজানা সিঁথি। রাজপথে তার বাঘিনীর মতো গর্জন তাকে পরিচিতি এনে দেয়। এবার সেই সিঁথি ধর্ষণের হুমকি পেয়ে মামলা করলেন খালেদ মাহমুদ হৃদয় খান নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে। সমপ্রতি ফেসবুক লাইভে এসে সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি দেন হৃদয়। সেইসঙ্গে নেটিজেনদেরও উদবুদ্ধ করেন। Video বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১৪:২৯

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে আলোচনায় আসেন ফারজানা সিঁথি। রাজপথে তার বাঘিনীর মতো গর্জন তাকে পরিচিতি এনে দেয়। এবার সেই সিঁথি ধর্ষণের হুমকি পেয়ে মামলা করলেন খালেদ মাহমুদ হৃদয় খান নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে।

সমপ্রতি ফেসবুক লাইভে এসে সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি দেন হৃদয়। সেইসঙ্গে নেটিজেনদেরও উদবুদ্ধ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে হৃদয়ের নামে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন সিঁথি। খবরটি সংবাদমাধ্যমকে সিঁথি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি হৃদয় ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেন। পাশাপাশি আমার জীবন যাপন, চলাফেরা, পোশাক আশাক নিয়ে নোংরাভাবে কথা বলে। সেইসঙ্গে আমাকে ধর্ষণ করলে তিনি পুরস্কার দেবেন বলেও ঘোষণা দেন।’

এরপর বলেন, ‘লাইভটি তখন দেখিনি। সম্প্রতি নজরে আসে আমার। এ অবস্থায় তার ওই লাইভ অনেকেই দেখেছেন। ফলে বিষয়টি আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমি অনিরাপদ বোধ করছি। সেকারণে গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগর থানায় গিয়ে মামলা করি।’

বলে রাখা ভালো, সম্প্রতি পাগলের বেশ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে নারীদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

বিষয়টি উল্লেখ করে সিঁথি বলেন, ‘ওনাকে আপনারা চিনবেন, সম্প্রতি সাভার থানা তাকে গ্রেপ্তার করেছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। আমি তার নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছি ধর্ষণের হুমকি ও মানহানির জন্য। যারা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’

সিঁথিকে সবশেষ দেখা গেছে হাবিব ওয়াহিদের একটি মিউজিক ভিডিওতে। ‘একলা মানুষ’ শিরোনামের ওই গানচিত্রে মডেল হিসেবে ছিলেন তিনি।