বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বিনোদন

আলো আসবেই গ্রুপের সদস্যদের বলব ‘আলোতে আসেন’

সরকারি চাকরিতে কোট সংস্কার নিয়ে সম্প্রতি সারা দেশে কঠোর আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্রদের এই আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি করে পুলিশ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মুহুর্মুহু গুলিতে লাশের পর লাশ পরলেও আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি ছাত্ররা। তাদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:১৮

সরকারি চাকরিতে কোট সংস্কার নিয়ে সম্প্রতি সারা দেশে কঠোর আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্রদের এই আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি করে পুলিশ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মুহুর্মুহু গুলিতে লাশের পর লাশ পরলেও আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি ছাত্ররা। তাদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিপাকে পড়েছে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের উস্কানিদাতারাও বিপাকে পড়েছেন।

ছাত্রদের আন্দোলনের সময়ে বিনোদনের আওয়ামী পন্থি কর্মীরা ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে। সেখানে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার কথা বলেন এক অভিনেত্রী।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রুপের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। আওয়ামীপন্থী শিল্পীদের ফাঁস হওয়া কথোপকথন নিয়ে সাদিয়া আয়মানের ক্ষোভ

এই ঘটনাটি নিয়ে সোচ্চান হন বিনোদনের তারকারা। গতকাল বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন।

‘মহানগর’ ছবির নির্মাতা লিখেছেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে আমার যত সহকর্মী ছিলেন, সবাইকে বলতে চাই এখনো সময় আছে “আলোতে আসেন”। খুনি–‍শাসক না, জনগণই সকল আলোর উৎস। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’

সঙ্গে নিজের স্ট্যাটাসের শেষে নিপুন আরও লিখেছেন, ‘এটারও স্ক্রিনশট নিয়েও ছড়িয়ে দেন যদি এখনো আপনাদের কোনো গোপন গ্রুপ থাকে।’

বিনোদন

সালমান শাহকে শেষ করতে কিলার ভাড়া করেন শাশুড়ি, আসামি রেজভীর জবানবন্দি

“যারা ২৯ বছর ধরে সত্যকে লুকিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

সালমান শাহকে শেষ করতে কিলার ভাড়া করেন শাশুড়ি, আসামি রেজভীর জবানবন্দি

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৬

বাংলা চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর তার অকাল প্রয়াণ ঘিরে দীর্ঘদিনের রহস্য নতুন মোড় নিয়েছে। এতদিন ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে প্রচারিত এ ঘটনাকে আদালত এখন ‘পরিকল্পিত হত্যা’ হিসেবে দেখছে। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হকের রায়ের ভিত্তিতে নতুন করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে আসামিদের একজন রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন—সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

রেজভীর স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে, সালমান শাহকে হত্যার পরিকল্পনা সাজানো হয় রাজধানীর গুলিস্তানের একটি বারে। সেখানে সালমানের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি ১২ লাখ টাকায় কিলার ভাড়া করেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন আলোচিত চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, সালমানের স্ত্রী সামিরা হকসহ আরও ১১ জন। হত্যার পর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করে ধামাচাপা দেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে উল্লেখ আছে, রেজভীর জবানবন্দিতে তিনি বিস্তারিতভাবে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়, “ডন ছিল সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কিন্তু তার স্ত্রী সামিরার সঙ্গে গোপন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একই সময়ে সামিরার মা লতিফা হকের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়েরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ফলে সালমান তাদের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন।”

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গুলিস্তানের বারে বৈঠকে ১২ লাখ টাকায় সালমানকে হত্যার চুক্তি হয়। পরদিন গভীর রাতে ডন, ফারুক, ডেভিড, জাভেদ ও রেজভী এফডিসি থেকে সালমানের বাসায় যায়। সেখানে সামিরা, তার মা ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের উপস্থিতিতে সালমান শাহকে ক্লোলোফর্ম, ইনজেকশন ও গলায় রশি দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে সাজানো হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামি রেজভীর স্বীকারোক্তি অবজ্ঞা করার কোনো আইনগত সুযোগ নেই, কারণ তিনি স্পষ্টভাবে হত্যার কথা বলেছেন। অথচ সেই সময় পুলিশ এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কোনো হত্যা মামলা নেয়নি, যা আইনের ব্যত্যয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, সালমান শাহর পরিবারের আগের মামলার সঙ্গে নতুন জবানবন্দি সংযুক্ত করে রমনা থানায় হত্যা মামলার এজাহার গ্রহণ করতে।

এই নির্দেশে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম বাদী হয়ে সোমবার রাতে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ, ছাত্তার, সাজু, রুবী, রেজভী আহমেদ ও আরও কয়েকজন। আদালত তদন্তের জন্য পুলিশকে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বলেছেন,

“যারা ২৯ বছর ধরে সত্যকে লুকিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

মামলার আইনজীবী আবিদ হাসান বলেন,

“রেজভীর জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের পুরো চিত্র রয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে পরিকল্পিত হত্যা। এখন শুধু ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।”

বিনোদন

আফ্রিদির মনুষ্যত্ব নেই, শুধু প্রতিশোধের চিন্তা,‘ভয়ংকর’ আফ্রিদির অজানা চেহারা প্রকাশ করলেন বন্ধু রাহী

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তারের পর এবার মুখ খুললেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী তানভীর রাহী। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাহী আফ্রিদিকে ‘ভয়ংকর’ বলে আখ্যা দেন এবং তার ব্যক্তিজীবন, আচরণ ও ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাবের নানা অজানা দিক তুলে ধরেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে রাহী বলেন—ক্যামেরার সামনে আফ্রিদি একরকম হলেও বাস্তব জীবনে তিনি সম্পূর্ণ […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৩৮

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেপ্তারের পর এবার মুখ খুললেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী তানভীর রাহী। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাহী আফ্রিদিকে ‘ভয়ংকর’ বলে আখ্যা দেন এবং তার ব্যক্তিজীবন, আচরণ ও ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাবের নানা অজানা দিক তুলে ধরেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে রাহী বলেন—ক্যামেরার সামনে আফ্রিদি একরকম হলেও বাস্তব জীবনে তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষ। তার ভাষায়, “ক্যামেরার বাইরে আফ্রিদি ভয়ংকর একজন লোক। ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে সবাই বাঘের মতো ভয় পেত।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনা তুলে ধরে রাহী জানান, আফ্রিদির রাগের শিকার হয়েছিলেন তিনিও। “রাগ উঠলে সে বেল্ট খুলে আমাদের কুত্তার মতো পেটাতো,” বলেন তিনি। আরও জানান, আন্দোলনের কয়েক মাস পর এক রাতে আফ্রিদি হঠাৎ ভিডিও কলে ভিপি নূরের সঙ্গে কথা বলিয়ে বলেন—“বুঝছিস আমার অবস্থানটা? সাবধানে থাকিস।”

রাহীর অভিযোগ, আফ্রিদির চরিত্রে মনুষ্যত্ব নেই, তার চিন্তা শুধু প্রতিশোধ ঘিরে। “কারে কারে ধরবে, কারে কারে মারবে—এই চিন্তাই তার মাথায় ঘুরত,” বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় আসামি তৌহিদ আফ্রিদি রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশালে সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার হন। আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠান। মামলার ১১ নম্বর আসামি তিনি।

একই মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া, এ মামলায় ২২ নম্বর আসামি হিসেবে আফ্রিদির বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকেও গত ১৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়।

বিনোদন

সালমান শাহের মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলায় আসামি হলেন ডন ও সামিরাসহ আসামি ১১

আদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে। সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাজহারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এজাহার […]

সালমান শাহের মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলায় আসামি হলেন ডন ও সামিরাসহ আসামি ১১

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৬

আদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে। সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাজহারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার এজাহারে আসামিরা হলেন সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক। এ ছাড়া আসামির তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরো কয়েকজন।

মোট অভিযুক্ত ১১ জনের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের নাম।

অভিনেতা সালমান শাহ হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার মা নীলা চৌধুরীর রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে এ হত্যা মামলা চলবে বলে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দিয়েছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তী সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়।

তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই ওই প্রতিবেদন মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি করে আসেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।