শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
১০ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

জমকালো আয়োজনে ইবির ৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন 

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:০৭

জমকালো আয়োজনে ইবির ৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন 
ইরফান উল্লাহ (ইবি প্রতিনিধি):
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৪৬ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১০ টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমান। পরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ৩৬ টি বিভাগ ও ল্যাবরেটরি স্কুলের ২দিনব্যাপী শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও বিপ্লবের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এসময় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, হলসমূহের প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের যৌথ সঞ্চালনা করেন টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছরের পথচলায় সবাই অবদান রেখেছে। সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় এই পর্যায়ে এসেছে। আমি আল্লাহকে ও আপনাদের স্বাক্ষী রেখে কিছু প্রতিজ্ঞা করতে চাই। আমি সকল ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করবো। যেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে সেই শহীদের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই। আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ধারন করে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, একটি পিছিয়ে পড়া জনপদে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু মাত্র শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক মানে পরিনত করা যায়। আমি বিশ্বের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে কাজ করবো। সকলের পরামর্শ ও অংশীদারের ভিত্তিতে সংস্কারের মাধ্যমে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নয়নের সড়কে নিয়ে আসবো। আগামীদিনের বাংলাদেশ কোনো দলের হবেনা। আগামীর বাংলাদেশে হবে মানুষের বাংলাদেশ, সকলের বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক আলপনা ও বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরো খবর