সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
২৮ পৌষ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বর্ণিল সাজে ইবি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৩০

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বর্ণিল সাজে ইবি

ইরফান উল্লাহ্, (ইবি প্রতিনিধি):

স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

আলপনা অঙ্কনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বুননের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। আল্পনার বর্ণিল রঙ এবং সুসজ্জিত ভবনগুলো যেন এই আনন্দকে আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে আঁকা হচ্ছে বর্ণিল আলপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, ডায়না চত্বর ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সামনে ও পিছনে এই আলপনার নকশায় সজ্জিত করা হয়েছে।

এই আয়োজন শুধু ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উৎসবের আবহও তৈরি করেছে। বুননের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আলপনা আঁকার কাজে অংশ নিয়েছেন। দিবসের রাতেও বুননের সদস্যদের আলপনা আকাঁর কর্মযজ্ঞ থামে নাই। কেউ রং তুলির স্পর্শে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রামীণ জীবন, কেউবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো বা নকশা তুলে ধরছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বুননের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐক্য এবং সৃজনশীলতার চর্চাকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াবে।

এ বিষয়ে বুননের সভাপতি নাহিদুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের জন্য ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা ক্যাম্পাসকে আল্পনার মাধ্যমে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের আল্পনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং দেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। বুননের এই আয়োজন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান বলেন,

‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধারণ করে পালিত হবে। আল্পনার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগটি একটি চমৎকার ও সৃজনশীল ধারণা। আল্পনা, আমাদের ঐতিহ্যের একটি বিশিষ্ট শিল্পরূপ, এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রায়ণ শিক্ষার্থীদের এবং দর্শকদের মাঝে বিষয়টি আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘উদযাপন করা মানে হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনা পুনর্জীবিত করা এবং তাদেরকে জাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করা। এটি শিক্ষার্থীদেরকে স্বাধীনতা, সাম্য, এবং ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ের মর্মবাণী শিখতে সহায়তা করবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমি সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সবাই আমাকে সময় ও সুযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতির মূলোৎপাটনসহ সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তনে আমি কাজ করবো।

প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম‘আ প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ৪৬তম বর্ষ পদার্পণ উপলক্ষে ‘শহীদ স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ’ ও রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছুটির দিন হওয়ায় মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনী, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ থাকবে নানা আয়োজন।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে আগুন

ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে আগুন

০৮ জানুয়ারী ২০২৫