রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পেশ করা দাবিগুলো হলো-
১.ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা এবং পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।
২.সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী ৩ সেমিস্টার ৪ মাস করে সময়ে শেষ করতে হবে।
৩.ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত এবং হলে অস্ত্র-মাদকে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্র ভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উন্মুক্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করতে হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যেতে নীতিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতামত কি জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে আমরা নীতিগতভাবে একমত।’ তিনি আরো বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি সিস্টেম একটা লম্বা প্রসেস। ফলে সময়মতো ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে সেশনজট সমস্যার তৈরি হচ্ছে।’
এর আগে একই দিনে দুপুর সাড়ে ১২ টায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে ও সেশনজট সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ নাসিম বলেন, ‘পূর্বে শাবিপ্রবির প্রশ্নপত্রের যে মান ছিল, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। এই প্রক্রিয়া শাবিপ্রবির জন্য উপযুক্ত নয়। তাই এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের তিনটি সেমিস্টার শেষ করার ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে। সেদিক থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সম্মেলনে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাবুল ইসলাম পাবন ও রিয়াজ হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা ভট্টাচার্য, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি ‘উপাচার্য’ বরাবর পাঠানো হয়।