সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

পবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উৎসব-২০২৫

(পবিপ্রবি), প্রতিনিধি রবিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট, সম্ভাবনা ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনার অংশ হিসেবে পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৮ মে ২০২৫, ২০:১৭

(পবিপ্রবি), প্রতিনিধি

রবিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম উপকূলীয় অঞ্চলের সংকট, সম্ভাবনা ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনার অংশ হিসেবে পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারের সঞ্চালনায় রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, পবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং সিনিয়র অধ্যাপক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

রিসার্চ ফর কোস্টাল রেজিলিয়েন্স এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবে ইউজিসির বিশেষ অনুদানে ২০২২–২৩ অর্থবছরের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের দশটি গবেষণা প্রকল্প এবং পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের দুইটি বিশেষ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। উৎসব শেষে নির্বাচিত গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ এবং একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় গবেষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব বলেন, আমরা একটি জ্ঞাননির্ভর, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। গবেষণার মান অনেক উচ্চ পর্যায়ের—যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। আশা করছি, শীঘ্রই পবিপ্রবি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রধান পৃষ্টপোষক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা কেবল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না বরং নিয়মিত গবেষণার মধ্য দিয়ে সমাজ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবেন। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষকেরা নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। পবিপ্রবি প্রথমবারের মতো গবেষণা উৎসব আয়োজন করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র। শিক্ষক ও গবেষকদের উচিত নিয়মিত গবেষণায় নিজেদের যুক্ত রাখা এবং তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।

শিক্ষাঙ্গন

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী […]

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

ছবি সংগৃহীত

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা:

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।

প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন এবারের নির্বাচনে। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৩ জন প্রার্থী, মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনার দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হলেও স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, গকসুর অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— কোষাধ্যক্ষ পদে খন্দকার আব্দুর রহিম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ। সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মারুফ। সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লীশা চাকমা।

দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।

কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে জয় পেয়েছেন মো. হুমায়ুন কবির।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম। 

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চালু রয়েছে ছাত্র সংসদ। ২০১৩ সালে প্রথমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

তবে প্রশাসনের জটিলতায় নির্বাচিত সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর গকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।

শিক্ষাঙ্গন

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও […]

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী। তবে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পুরুষ ও নারী পদে এগিয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত ৫টি হলের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও শিবির সমর্থিত প্রার্থী সমান ১২৩টি করে ভোট পেয়েছেন। এই পদে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ৫১ ভোট। এই হলে জিএস পদে শিবিরের মাজহার পেয়েছেন ২২৮ ভোট, বাগছাসের তৌহিদ সিয়াম পেয়েছেন ৪৯ ভোট। এছাড়াও নারী এজিএসে শিবির সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা যেখানে ১৯৫ ভোট পেয়েছেন, বাগছাস সমর্থিত মালিহা নামলাহ পেয়েছেন ৮২ ভোট।

১০নং হলে (সাবেক শেখ মুজিব হল) ভিপি পদে জিতু ১৭৫টি, আদিব পেয়েছেন ১৩০টি ভোট।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৮৯, আদিব, ৮১ ভোট।

ওপরের দুই হলে ভিপিতে জিতু এগিয়ে থাকলেও মীর মশাররফ হোসেন হলে তাকে পেছনে ফেলেছেন আদিব। সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী মীর মোশাররফ হোসেন হলে ১১৫ ভোট পেয়েছেন, পাঁচ ভোট কম তথা ১১০ ভোট পেয়েছেন জিতু। জিএস পদে এই হলে মাজহার ১৫৯ ভোট, সিয়াম পেয়েছেন ৪০ ভোট। এজিএসে ফেরদৌস ১৪৭টি ভোট পেয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আয়ান পেয়েছেন ৭০ ভোট

প্রীতিলতা হলে ভিপি পদে জিতু ৬৫ ভোট, আদিব পেয়েছেন ৪৭ ভোট। উজ্জ্বল ১৭ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন। যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটার তথা ৮ হাজারের মতো ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে ভোট গণনা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে না হয়ে হাতে গোনা পদ্ধতিতে হওয়ায় ৩৩ ঘণ্টায়ও ফল প্রকাশ করতে পারে জাকসু নির্বাচন কমিশন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলমান রয়েছে।

শিক্ষাঙ্গন

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য […]

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ করেছি। সেখানে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিল। পোলিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হয়েছে। সবার সামনেই ভোট হয়েছে। কেউ আমাকে ভোট কারচুপি কিংবা জালিয়াতির মতো কোনো অভিযোগ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে।

যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখানেও সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।’