জাবি প্রতিনিধিঃ
জাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিতে বিভিন্ন অনুষদে সেনেটারি নেপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দফা গুলে হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিতে বিভিন্ন অনুষদে সেনেটারি নেপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন
ও ক্যাম্পাসে আবাসিক হলগুলোতে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক ঘেঁষা হলগুলোর পাশের দেয়ালগুলো উচুকরণ এবং কাঁটাতারের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করা।
এ বিষয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কনক ইয়াসমিন বলেন “বর্তমান সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম স্বাস্থ্যসুবিধা, বিশেষত মাসিককালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহজলভ্য করার জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে।”
দর্শন বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্যাপি আক্তার শিলা বলেন, “নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো বিশেষ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অবাধ চলাচলের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে মহাসড়ক ঘেঁষা সীমানা প্রাচীর উঁচু করা এবং কাঁটাতার স্থাপন করলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ অবিরামভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি। “.
স্মারকলিপি প্রদানের সময় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ জাবি টিমের সংগঠক আব্দুল হাদি, হৃদি, রিনা, কনক, শিলাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ২০১১ সাল থেকে দেশের সিংহভাগ জেলায় মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিভিন্ন সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ উপহার, পাঠদান কর্মসূচি,
ঈদের নতুন জামা উপহার, শীতার্তদের মাঝে কম্বল উপহার, বৃক্ষরোপণ, রক্তদান, স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচি, বিভিন্ন ক্রান্তি ও দুর্যোগকালীন সময়ে সমাজ সচেতনামূলক কর্মসূচি এবং দেশের পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও সচেতনামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।