ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় এসে একই স্থানে মিলিত হয়। র্যালিটি বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাস লাইফকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবেগঘন অনুভূতি ও ক্রেস্ট বিতরণীসহ বিভিন্ন আয়োজন করেন তারা।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ রহিম উল্যাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান আনওয়ারী, অধ্যাপক ড. মাসউদ আল মাহদী, অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান।
বিদায়ী শিক্ষার্থী নুর জাহান বলেন, বিদায় আমাদের জন্য কষ্টের তার পরেও আমরা যে অশ্লীল, বেহায়াপনা, র্যাগ ডে নামক অপসংস্কৃতি থেকে বাহিরে এসে র্যালী এর মাধ্যমে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান শুরু করতে পেরেছি তার জন্য খুবই আনন্দিত। ২০১৯ সালে নবীনবরণের মাধ্যমে আমাদের এই বিভাগের সাথে পথচলা শুরু হয়। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এই পথচলা শেষ হয়েছে। আজকে আমরা সুন্দরভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পেরেছি তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহিম উল্লাহ স্যার বলেন, “ আমরা বিদায় শিক্ষার্থীদের সাথে সফলভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পেরেছি। আল্লাহর শুকরিয়া, সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পেরেছে। সংক্ষেপে বলতে চাই আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করবো।”
উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, দাওয়াহ’র কাজ হচ্ছে জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া। রাসূলের নেতৃত্বের গুণাবলী তোমরা অনুকরণ করবে। মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে।ইসলামের বিপক্ষে কেউ কিছু বললে তাকে মেধা দিয়ে পরাস্ত করবে। তুমি উদ্যোগ গ্রহণ করো, অর্থ তোমার পিছনে দৌড়াবে। টাকা কোন সমস্যা না, জিয়াউর রহমান বলেছেন।
আমি দাওয়ার মাস্টার্সের সিলেবাস দেখলাম এখানে প্রতিটা কোর্সে সেমিনার হবার অধিকার রাখে। এই বিভাগকে উন্নত করতে মাসিক রিচার্স পেপার, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যায়। ছাত্র এবং শিক্ষকরা একে অংশগ্রহণ করবে। অনেকে রিচার্সের কাজ করছে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাবো। ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই থেকে আমার দাবি থাকবে যাতে একটি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দেয়।
আগামী পাঁচ তারিখে মিশরীয় একটি টিমের সাথে আমার সাক্ষাত রয়েছে। মিশরের আল আযহারের মত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব। ছাত্রদের কল্যান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।