বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

শাহবাগের বিরুদ্ধে স্লোগান মধ্যরাতে উত্তাল জাবি

 হাবিবুর রহমান সাগর,জাবি প্রতিনিধি  মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ এবং শাহবাগের জুডিশিয়াল কিলিং এর বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস ভূকম্পিত করে বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১২ মার্চ) ভোর রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভমিছিলটি শুরু হয়ে একুশটা হল এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১৩:০৯

 হাবিবুর রহমান সাগর,জাবি প্রতিনিধি 

মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ এবং শাহবাগের জুডিশিয়াল কিলিং এর বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস ভূকম্পিত করে বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১২ মার্চ) ভোর রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভমিছিলটি শুরু হয়ে একুশটা হল এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে “অন টু থ্রি ফোর, শাহাবাগী নো মোর”, “শাহাবাগী রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়”, “লতে লাকি, তুই হাসিনা তুই হাসিন”, “সন্ত্রাসী শাহাবাগীদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না”, “শাহাবাগীদের গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’, “শাহাবাগী দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান”, “শাহবাগ না শাপলা, শাপলা শাপলা”, “শাহবাগ সন্ত্রাস করে, ইন্টেরিম কি করে” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশ নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়াইব হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের শাহবাগ এই ২০২৫ এ এসে প্রতিষ্ঠিত হতে দিবো না। বাংলাদেশের বুকে আর একটা জুডিয়াশিয়াল কিলিং হতে দিবো না। আরেকটা শাহবাগ করতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে। করতে হবে। কারা জুডিশিয়াল কিলিং এর রাস্তা তৈরি করেছিল, আমরা ভুলি নাই। এই সরকারকে বলতে চাই দ্রুত এদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাফায়েত মীর বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার তৈরি করা শাহাবাগীদের আবার উত্থান হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লাকিকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে নতুন করে শাপলায় আবারও রক্ত ঝরতে আমরা দেবনা। সোনার বাংলায় দিল্লির ষড়যন্ত্র আমরা কায়েম করতে দেব না। ইসলাম বিদ্বেষ ও ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই এই শাহাবাগের উৎথান।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আমরা ভেবেছিলাম তারা শুধরাবে কিন্তু তারা শুধরায়নি। আমরা রাজপথে আছি শাহাবাগীদের রাজপথেই আমরা মোকাবেলা করবো। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় জাহাঙ্গীনগরের আন্দোলনকেও এই শাহাবাগীরা বাঞ্চাল করতে চেয়েছিলো। আমরা এখনো মারা যাই নাই, শহীদদের রেখে যাওয়া স্বপ্ন আর ২৪’র চেতনাকে ধারণ করে শাহাবাগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

সমাবেশে সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলি জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা জানি কিভাবে এই শাহবাগ ফ্যাসিস্টদের দোসর এবং তারা কিভাবে ফ্যাসিস্টদের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমরা এটাও দেখেছি এরা দেশে কিভাবে বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমরা অবাক হই ২৪’র পরবর্তী সময়ে এসে কিভাবে এই লাকি আক্তার অবাধে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ আপামর জনতা এই শাহবাগীদের বিচার চাই। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যতদিন না এই শাহবাগীদের মূল উৎপাটন হচ্ছে, শাহবাগীদের শিরচ্ছেদ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়া চলবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, জুলাই ২৪’র রক্তঝরা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যখন ভেবেছিলাম যে, ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তখনই আবার দেখতে পাচ্ছি সেই পুরনো ফ্যাসিস্ট ফিরে আসছে। দুই হাজার ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা যে মুক্তি পেয়েছি, সেই মুক্তিকে আজ আবার হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে যে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ এবং ‘মব জাস্টিস’-এর সূচনা হয়েছিল, সেই শাহবাগী সন্ত্রাসী লাকি আক্তার যখন এই বাংলায় এসে আবারো মব জাস্টিস এর ডাক দেয় তখন আমরা সেই পুরনো ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার স্বরূপকেই দেখতে পাই। শাহবাগে জুডিশিয়াল কিলিং কায়েম করার মাধ্যমে আমাদের ভাইদেরকে তাজা রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছিল তা আজ আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। সেই সময় যেভাবে ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই একটি মহল এখনো একই অপকৌশলে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।

শাহরিয়ার আরও উল্লেখ করেন, আমরা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই-বাংলার ছাত্র জনতা আর কোনো মব জাস্টিস মেনে নেবে না। যদি কেউ বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব স্বার্থে জনগণের নামে বিচার করতে চায়, যদি আবার কোনো ষড়যন্ত্র করে আরেকটি ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়, তবে ছাত্র জনতা তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করবো।

আমরা ফ্যাসিবাদী শক্তির রূপ আজও স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। একসময় শাহবাগকে ব্যবহার করে যে স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়েছিল, আজ আবার সেই শক্তিগুলো নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিতে চাই-এই বাংলার ছাত্র জনতা আর কোনো ফ্যাসিবাদ বরদাশত করবে না।

বর্তমানে ইন্টেরিম সরকার একটি সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু কুচক্রী মহল বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নানা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মন কায়েমের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচারকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

শিক্ষাঙ্গন

ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের পুনর্মিলনী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।   এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। শুক্রবার (৭ মার্চ) […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ২২:১৪

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর

সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।    অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এতে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মোনাজাত করেন ভূমদক্ষিন বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি শরিফুল ইসলাম,

আয়োজক এস এস সি ব্যাচ ২০০৫ এর মুখপাত্র মো:ইস্রাফিল শিকদার বলেন, প্রত্যেক বছরে আমরা এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে থাকি,ইনশাআল্লাহ আগামীতে মানিকগঞ্জ জেলার সকল বন্ধুদের নিয়ে এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, সহকারি প্রধান শিক্ষক জিলাল উদ্দিন মন্ডল, ঢাকা জর্জ কোর্টের এডভোকেট মো: সাজ্জাদ হোসেন,সৌদি প্রবাসী ব্যাবসায়ী মাহবুবুল আলম মিলন,ধল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব

মো: নাজমুল হাসান এনামুল,সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মো: ইমদাদুল হক রিপন,ফাস্ট ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল এর কর্নধার মো: মিলন হোসেন,ব্যাংক কর্মকর্তা প্রমুখ সহ সিংগাইর উপজেলার ২০০৫ সালের এস,এস,সি ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী বৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ

শিক্ষাঙ্গন

তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ: শেকৃবি ছাত্রদল

শেকৃবি প্রতিনিধি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাম্প্রতিক বরখাস্তের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শেকৃবি ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষপাতমূলকভাবে কাজ করেছে এবং বরখাস্তের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। তাদের দাবি, […]

তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ: শেকৃবি ছাত্রদল

শেকৃবি ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:১৩

শেকৃবি প্রতিনিধি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাম্প্রতিক বরখাস্তের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শেকৃবি ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষপাতমূলকভাবে কাজ করেছে এবং বরখাস্তের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। তাদের দাবি, ১৯ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলেও, আন্দোলন দমনে সক্রিয় ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনেকেই শাস্তির বাইরে রয়ে গেছেন।

ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ— স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং ব্যক্তিগত আনুগত্য ও রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় বরখাস্তের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখা অনেক ব্যক্তি এখনো প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় আছেন।

ছাত্রদল হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, তারা তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ক্ষমতাসীন পক্ষের প্রতি আনুগত্যশীল নীল দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কোনো শাস্তি হয়নি, যা প্রশাসনিক পক্ষপাতের পরিষ্কার উদাহরণ।

শেকৃবি ছাত্রদল দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে।