ইরফান উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি:
‘এ দেশে অধিকাংশ জবের ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাটার করে না। আমাদের সকলকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। যারা ভালো ইংরেজি জানে তাদের ভাতের অভাব হয় না।’ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত ক্যারিয়ার ফেস্টে এ কথা বলেন উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন,’আমাদের সমাজে আমরা এখন সংস্করণের কাজ করছি। আমাদের সরকারি বা কর্পোরেট জবের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তোমরা যেকোন জবের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ যোগ্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট করবে।’
অনুষ্ঠানে ক্লাবের সভাপতি রনি সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন, লেখক ও ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট বিসিএস ক্যাডার রবিউল আলম লুইপা, ‘খায়রুলস বেসিক ও ব্যাংক ম্যাথে’র লেখক খায়রুল আলম, চাকরি প্রস্তুতি বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যারিয়ার ম্যাপ’ এর সিইও মোহাম্মদ জাসিম উদ্দিন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াজিদুর রহমান, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লি. এর কুষ্টিয়ার রিজিওনাল হেড শাহ মো. আবু আলমগীর সিদ্দিকী, এইচ আর পারসেপশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী রুবেল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শেখ মেহেদী হাসান।
এ ছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, ক্যারিয়ার ক্লাবের সহ-সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ ও সুকান্ত দাসসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিলেন ‘Career Map’ ও Knowledge Partner হিসেবে ছিল জনসচেতনতামূলক প্ল্যাটফর্ম ‘গণমত’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শেখ মেহেদী হাসান বলেন, স্বপ্নটা সবসময় বড় রাখতে হবে। স্বপ্ন পুরণ করতে কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা রাখতে হবে।
চাকরির প্রস্তুতির শুরুটা কঠিণ হতে পারে কিন্তু দমে গেলে চলবে না। কি প্যাটার্নে প্রশ্ন আসে সেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়ে ভালো সেই বিষয়ে আরও দক্ষ হতে হবে এবং যে বিষয়ে দুর্বলতা আছে সেই বিষয়গুলোতে বেশি জোর দিতে হবে।
লেখক ও ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট রবিউল আলম লুইপা বলেন, একাডেমিক পড়াশোনা ও চাকরির পড়াশোনার মধ্যে অনেক ফারাক। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরির বাজারে যায়, তখন বুঝে চাকরির বাজার কত কঠিন।
প্রাইভেট হোক বা সরকারি চাকুরি, যে সেক্টরে যেতে আগ্রহী সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিক থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আর এজন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকেও জোর দিতে হবে।
দিনব্যাপী ক্যারিয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।