শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

এবার জাবির এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

সহিংসতার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই বিবৃতির নিচে লেখা ছিল ‘বার্তা প্রেরক, সমন্বয়কবৃন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’। বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সহিংসতায় অংশগ্রহণের অভিযোগ থাকায় আহসান লাবিবকে […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৮

সহিংসতার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই বিবৃতির নিচে লেখা ছিল ‘বার্তা প্রেরক, সমন্বয়কবৃন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সহিংসতায় অংশগ্রহণের অভিযোগ থাকায় আহসান লাবিবকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অব্যাহতি বহাল থাকবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বান জানাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে মারধরের ঘটনায় আহসান লাবিবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মারধরে গুরুতর আহত শামীম আহমেদ গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শিক্ষাঙ্গন

সেনবাগে আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।   রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৯ মে ২০২৫, ১৩:২৮

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ । 

এসময় সৌরভ হোসনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসএফ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং  নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা সাজেদা রশীদ শেলী, সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল জব্বার, ছিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,

৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মির্জা সোলাইমান,  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউসুফ মজুমদার সহ অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাডেমির আধুনিকীকরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে লায়ন সৈয়দ হারুন  বলেন  “বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী নানা সুবিধার সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনের আকর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত সুসজ্জিত স্কুল ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি স্কুল ড্রেস।  চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা প্লে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মক্তব শিক্ষা।

শিশুদের মানসিক বিকাশে কিডস এন্টারটেইনমেন্ট ও প্লে-জোন অভিভাবকদের জন্য টিভি ও পত্রিকা সহ আরামদায়ক ওয়েটিং রুম সিসিটিভি ক্যামেরায় স্কুলের কার্যক্রমের নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ। এবং আমাদের  সিইও স্যারের জন্য নির্ধারিত সুসজ্জিত অফিস কক্ষ। 

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ তার বক্তব্যে আরো বলেন আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিন্দু পরিমাণ আর্থিক লাভের আশা আমরা করি না। 

প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই। আমার মাঝে মাঝে খুবই ইচ্ছে করে এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যেটা আমার স্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন” এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন এই একাডেমি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম।

এখানে আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষারও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেনবাগের পাশাপাশি একটা সময় সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

শিক্ষাঙ্গন

আবু সাঈদের বিচার চেয়ে সরব থাকা শিক্ষক মাহমুদুল হক কারাগারে, উত্তাল বেরোবি

বেরোবি প্রতিনিধি, আবু সাঈদের বিচার চেয়ে সরব থাকা সত্ত্বেও গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে পুলিশ আটক করায় উত্তাল রংপুরের বেগম রোকেয়া বিদ্যালয়(বেরোবি)।এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাদের মাঝে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩ টায় ১০ মাস আগে ছাত্র-জনতার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ছমেস উদ্দিন (৬৫) হত্যা মামলায় […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২১ জুন ২০২৫, ০২:৩৪

বেরোবি প্রতিনিধি,

আবু সাঈদের বিচার চেয়ে সরব থাকা সত্ত্বেও গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে পুলিশ আটক করায় উত্তাল রংপুরের বেগম রোকেয়া বিদ্যালয়(বেরোবি)।এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাদের মাঝে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩ টায় ১০ মাস আগে ছাত্র-জনতার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া ছমেস উদ্দিন (৬৫) হত্যা মামলায় শিক্ষক মাহমুদুল হককে তার নিজ বাসগৃহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে ১১, ১৭ এবং ১৮ জুলাই ২০২৪, শিক্ষক মাহমুদুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে এবং আবু সাঈদের হত্যার বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ৩টি পোস্ট করেন। ১১ জুলাই তিনি লিখেন, মহামান্য হাইকোর্টের আংশিক রায় প্রকাশিত হয়েছে। এই রায়ে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা সংস্কার করার সুযোগ আছে। কারণ রায়ে বলা হয়েছে:

ক. সরকার কোটা কমাতে বা বাড়াতে পারে।

খ. কোটায় নির্ধারিত পদ পাওয়া না গেলে মেধাক্রম থেকে শুন্যপদ পূরণ করা যাবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে যেটা মনে হয়েছে তারা যৌক্তিক কোটা রাখার পক্ষে বা কোটা সংস্কারের পক্ষে। আর কোটা পাওয়া না গেলে মেধাক্রম থেকে শুন্যপদ পূরণ করার দাবি করছে। সুতরাং সরকার যদি চায় শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন করতে পারে উক্ত রায় অনুসারেই।

আমার মনে হয় সরকার সেটা করবে। কিন্তু আপিল বিভাগ যেহেতু মহামান্য হাইকোর্টের উপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে। স্থিতাবস্থা অর্থ হচ্ছে যে আবস্থায় বিষয়টি আছে সেভাবেই থাকবে। এ অবস্থায় কোন পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

১৭ জুলাই ২০২৪,তিনি লিখেন, পুলিশ হত্যা করেছে সাঈদকে সন্ত্রাসীদের থেকেও ঘৃণ্যভাবে!

পুলিশ গুলি করলো আমার শিক্ষার্থীকে তার ক্যাম্পাসের মাটিতে দাঁড়িয়ে। একেবারে প্রবেশদ্বার ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে। পুলিশ এ সাহস কোথা থেকে পেলো? পুলিশ কি ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেখাতে পারবে? অনুমতি কে দিলো? প্রবেশের অনুমতি পেলেই কি শিক্ষার্থীকে গুলি করতে পারে? সাঈদ তো বাইরে থেকে যেতে চেয়েছিল নিজের ক্যাম্পাসে, তার নীড়ে।

নিশ্চয় পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করতে নয়। সে তো বহিরাগত নয়, ক্যাম্পাসটা সাঈদের, পুলিশ বহিরাগত। পুলিশ এতো কাছ থেকে মাত্র কয়েক গজ দূর থেকে টার্গেট করে কীভাবে গুলি চালালো? একটি গুলি নয়, কয়েকটি পরপর। দাঁড়িয়ে আছে সাঈদ আর গুলি চলছে। পুলিশ নির্বিচার গুলি করলো, এটা তো নির্বিচার হত্যাকাণ্ড। পুলিশ হত্যা করেছে সাঈদকে সন্ত্রাসীদের থেকেও ঘৃণ্যভাবে।

কেননা, সাঈদের দুই হাত উঠানো তো শান্তির বার্তা, এভাবে হাত উঠালে সন্ত্রাসীও গুলি বন্ধ করে, অস্ত্র নিচে নামিয়ে নেয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

আমি পরাহত, আমি অনুতপ্ত এজন্য যে নিজ হাত দিয়ে ওই বন্দুকের নল চেপে ধরতে পারিনি কারণ আমি ঢাকা থেকে পথিমধ্যে ছিলাম। ক্ষমা করো আমাকে ।

১৮ জুলাই ২০২৪, তিনি আবু সাঈদ হত্যা বিচার চেয়ে লিখেন,পুলিশের তদন্ত মানি না, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে (প্রশাসন) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে এই তদন্ত কমিটি প্রত্যাখান করছি। কারণ পুলিশের অপরাধের তদন্ত করবে পুলিশ এটা সাঈদের রক্তের সঙ্গেও প্রহসন।

সাঈদকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ভিডিও দেখলেই তা পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে পুলিশ সদস্যদের সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ নিজের তদন্ত নিজেই করবে-এটা হতে পারে না।

এ বিষয়ে ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদের সহযোদ্ধা শাহরিয়ার সোহাগ বলেন,

আমার শিক্ষক অর্থাৎ মোহা. মাহমুদুল হক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য, দৈনিক ডেইলি স্টারের একজন প্রবীণ সাংবাদিক, ইউএনবি’র সাবেক সাব-এডিটর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন,এক প্রহসনমূলক ও হয়রানিমূলক মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আজ বেলা ৩:৩০ঘটিকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতঃপর, কাল বিলম্ব না করে তাকে সরাসরি আদালতে নেওয়া হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,এ দিয়ে ৫ই আগস্টের পর ৩য় বারের মতো জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন মামলায় তাকে এজাহারভুক্ত করা হলো যেগুলোর সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আবু সাঈদ ভাই শহীদ হওয়ার পর তিনিই প্রথম শিক্ষক হিসেবে তিনি এই পুলিশী হত্যাকান্ডের বিচার চান।

এছাড়াও পুলিশের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে না দেওয়ার দাবি তোলেন। এছাড়াও তিনি, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।

তার দৃষ্টান্ত হলো সাবেক উপাচার্য ড. কলিমুল্লার দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ততকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃত্বস্থানে তিনি ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্ত কন্ঠে প্রতিবাদ করা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশী গণহত্যার বিচার চাওয়াই তার কাল হয়ে দাড়িয়েছে।

শিক্ষার্থী রিনা মুর্মু ফেসবুকে লিখেন,প্রহসনের মামলা,উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় গ্রেফতার মাহমুদুল স্যারকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, এ মামলা আসলে ষড়যন্ত্রমূলক। মামলার বিষয়ে কেউ যেন বুঝতে না পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের তাজহাট থানায় মামলা না করে হাজির হাট থানায় মামলা করা হয়েছে এবং সুপরিকল্পিতভাবে বন্ধের দিন দেখে তাকে আটক করা হয়ছে ।

শিক্ষাঙ্গন

কক্সবাজারে র‍্যাবিস ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে যবিপ্রবির ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক।  যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১২:১৪

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক। 

যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হার্ড ইমিউনিটির ৭০% সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।

যবিপ্রবি’র ইন্টার্ন ডাক্তার রেজাউল হাসান ফাহিম বলেন, এখানে অংশ নেওয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পে মানুষ

ও প্রাণীদের জন্য একসঙ্গে কাজ করে র‍্যাবিস নির্মূলের চেষ্টা একজন প্রাণীপ্রেমীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টি থাকার পরও আমরা ৭১.৪% কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এটি জাতীয় পর্যায়ে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে পুনর্জীবিত করার এক শক্তিশালী সূচনা। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সীমান্তজুড়ে র‍্যাবিস নিয়ন্ত্রণে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।

উল্লেখ্য, এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অবয়ারণ্য, মিশন র‍্যাবিস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউবিএস)। ডব্লিউবিএস ২০০৩ সাল থেকে প্রানীকল্যাণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।