বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

বেরোবিতে পাঁচ দিনব্যাপী শহিদ আবু সাঈদ বইমেলার উদ্বোধন

সাইফুল্লাহ মাসুম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক আবু সাঈদের স্মরণে ‘শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহিদ ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:১০

সাইফুল্লাহ মাসুম, বেরোবি প্রতিনিধি :

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক আবু সাঈদের স্মরণে ‘শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহিদ ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনে শহিদ আবু সাঈদের অসামান্য অবদানকে স্মরণ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বইমেলায় লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীর প্রতিদিনের পদচারণা হবে সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। উপাচার্য আরো বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়া আবু সাঈদ শ্রেষ্ঠ বীর হিসেবে বিশ্ব দরবারে আলোচিত নাম। শহিদ আবু সাঈদের হত্যাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবিও জানান উপাচার্য।

এসময় তিনি জানান, আগামীতে আরো বড় পরিসরে মাসব্যাপী শহিদ আবু সাঈদ বইমেলার আয়োজন করা হবে। এবারের বই মেলাকে সার্থক করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।

শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, শহিদ ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম, তিস্তা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম আল-আমিন, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বক্তব্য রাখেন। পাঁচ দিনের এই বইমেলা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বইমেলা চলবে।

বইমেলার উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, শহিদ ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম ও মাতা জাহানারা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণ উদ্বোধন করেন। শহিদ ফেলানী হলের নতুন নাম উদ্বোধন করেন শহিদ ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মাতা জাহানারা বেগম। এসময় উপাচার্য বলেন, 

শহিদ ফেলানী বাংলাদেশের সেইসব নিরপরাধ মানুষদের একজন, যাদেরকে সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের গুলিতে মেরে ফেলা হয়েছে। সেই অগণিত মৃত মানুষের প্রতিনিধি ফেলানী খাতুনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ করার প্রস্তাব প্রদান ও তা কার্যকর করার জন্য শিক্ষার্থী ও সিন্ডিকেট সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

এই নামকরণের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ফেলানীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে যাবে। এসময় শহীদ ফেলানী হলের প্রভোস্ট ড. মোছাঃ সিফাত রুমানাসহ সহকারী প্রভোস্টসহ হলের ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় ২৪ হলের উদ্বোধন করেন শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এসময় বেরোবি উপাচার্য বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ আবু সাঈদসহ অসংখ্য তরুণ আত্ম বলিদানের মাধ্যমে যে ভূমিকা রেখেছে, তা আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার জন্য বিজয় ২৪ হলের নামকরণ করা হয়েছে। এসময় বিজয় ২৪ হলের প্রভোস্ট মোঃ আমির শরীফসহ সহকারী প্রভোস্টসহ ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সিন্ডিকেটের ১১০তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুটি হলের নতুন নামকরণ করা হয়। 

শিক্ষাঙ্গন

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী […]

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

ছবি সংগৃহীত

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা:

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।

প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন এবারের নির্বাচনে। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৩ জন প্রার্থী, মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনার দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হলেও স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, গকসুর অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— কোষাধ্যক্ষ পদে খন্দকার আব্দুর রহিম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ। সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মারুফ। সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লীশা চাকমা।

দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।

কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে জয় পেয়েছেন মো. হুমায়ুন কবির।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম। 

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চালু রয়েছে ছাত্র সংসদ। ২০১৩ সালে প্রথমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

তবে প্রশাসনের জটিলতায় নির্বাচিত সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর গকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।

শিক্ষাঙ্গন

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও […]

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী। তবে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পুরুষ ও নারী পদে এগিয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত ৫টি হলের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও শিবির সমর্থিত প্রার্থী সমান ১২৩টি করে ভোট পেয়েছেন। এই পদে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ৫১ ভোট। এই হলে জিএস পদে শিবিরের মাজহার পেয়েছেন ২২৮ ভোট, বাগছাসের তৌহিদ সিয়াম পেয়েছেন ৪৯ ভোট। এছাড়াও নারী এজিএসে শিবির সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা যেখানে ১৯৫ ভোট পেয়েছেন, বাগছাস সমর্থিত মালিহা নামলাহ পেয়েছেন ৮২ ভোট।

১০নং হলে (সাবেক শেখ মুজিব হল) ভিপি পদে জিতু ১৭৫টি, আদিব পেয়েছেন ১৩০টি ভোট।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৮৯, আদিব, ৮১ ভোট।

ওপরের দুই হলে ভিপিতে জিতু এগিয়ে থাকলেও মীর মশাররফ হোসেন হলে তাকে পেছনে ফেলেছেন আদিব। সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী মীর মোশাররফ হোসেন হলে ১১৫ ভোট পেয়েছেন, পাঁচ ভোট কম তথা ১১০ ভোট পেয়েছেন জিতু। জিএস পদে এই হলে মাজহার ১৫৯ ভোট, সিয়াম পেয়েছেন ৪০ ভোট। এজিএসে ফেরদৌস ১৪৭টি ভোট পেয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আয়ান পেয়েছেন ৭০ ভোট

প্রীতিলতা হলে ভিপি পদে জিতু ৬৫ ভোট, আদিব পেয়েছেন ৪৭ ভোট। উজ্জ্বল ১৭ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন। যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটার তথা ৮ হাজারের মতো ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে ভোট গণনা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে না হয়ে হাতে গোনা পদ্ধতিতে হওয়ায় ৩৩ ঘণ্টায়ও ফল প্রকাশ করতে পারে জাকসু নির্বাচন কমিশন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলমান রয়েছে।

শিক্ষাঙ্গন

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য […]

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ করেছি। সেখানে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিল। পোলিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হয়েছে। সবার সামনেই ভোট হয়েছে। কেউ আমাকে ভোট কারচুপি কিংবা জালিয়াতির মতো কোনো অভিযোগ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে।

যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখানেও সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।’