জুলাই আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তৈরি করা ডকুমেন্টারিকে ভারতীয় মিডিয়ার জন্য চপেটাঘাত বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া অনেক আজেবাজে কথা লেখে। আমার মনে হয় এই ডকুমেন্টারিগুলো ভারতীয় মিডিয়ার জন্য চপেটাঘাত।
সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্দোলন নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। এই আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ আছে। একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, ঢাকার বাইরে কীসের আন্দোলন হয়েছে? এই ডকুমেন্টারিগুলো তার প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা আমরা এখনো বুঝতে পারি নাই। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা মানেই শোষণের শিকার। আগের সরকার সব সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে আমাদের অধিকার হরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উর্বর ক্ষেত্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আপনারা অনেকে বিভিন্ন স্থানীয় মিডিয়া বা জাতীয় মিডিয়ায় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত আছেন।
আমার প্রশ্ন হলো, বিশ্বের বিভিন্ন জাতি যেমন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের হাত পাকায় ইউনিভার্সিটি পত্রিকায় কাজ করে। বাংলাদেশে এরকম ব্যক্তিগত গণমাধ্যম দেখা যায় না। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। আপনারা নতুন যারা আসছেন এরকম কিছু করা যায় কিনা দেখবেন। আপনারা স্বাধীন গণমাধ্যম চর্চা নিশ্চিত করবেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কুবিসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, আপনাদের স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে হবে।
লেজুড়বৃত্তিক সাংবাদিকতা থেকে বের হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো অন্যায়ের পাশাপাশি ভুলভ্রান্তিও তুলে ধরতে হবে। এমনকি আমার ভুলগুলোও তুলে ধরবেন। আমি এটাই চাই।