ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘হিরোস অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক সভায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। এটিই শহীদদের প্রতি অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আইনের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে চাই এবং আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।”
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই সভায় জুলাইয়ে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, সারজিস আলম, আবু বাকের মজুমদার, মাহিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পরিবর্তনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়। বিগত ১৫ বছরে স্বৈরশাসকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পরিবর্তনের যে স্বাদ পাচ্ছি, তা অব্যাহত থাকলে জাতির পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগবে না।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলের নারী শিক্ষার্থীরা যখন জেগে উঠেছিল, তখন খুনি হাসিনার ভীত কেঁপে উঠেছিল। এই আন্দোলনের পর সাধারণ ছাত্র-জনতার বিপুল অংশগ্রহণে আমরা আজকের দেশ পেয়েছি।”
আলোচনায় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের বৈধ নেতৃত্ব বাছাইয়ে ডাকসু নির্বাচন এবং সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “ডাকসুর জন্য কাজ চলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে নানা গবেষণা হচ্ছে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ।