ইরফান উল্লাহ, ইবি:
উদ্যোক্তা গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তৃতীয়বারের মতো ‘কুহেলিকা উৎসব’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র উদ্যোগে বটতলায় তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবের শুরু হয়।
দিশারী বুক হাউজ, আপ্যায়ন, পাটের ঝুড়ি চায়ের কুড়ি, গয়নার বাক্স, হৃদয়হরণ আপ্যায়ন, চন্দ্রমাধুরী, পৌষাল, পেটুক পয়েন্ট, শখের ঝুপড়ি, সাজপসরা, শথকথা, রসনার স্টেশন,পেদা টিংটিং, চিকেন চিনি চমক, পাঁচফোড়ন, পুষ্টি প্লাস, পিঠা যাবে পেটুক বাড়ি, স্টাইল ক্যানভাস, চায়ের দুনিয়া, কুটুম বাড়ি ও বুক ভিলেজসহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৪০টি স্টল স্থাপিত হয় এই উৎসবে। যেখানে বাঙালি সংস্কৃতির বৈচিত্র রূপ ফুটে উঠে।
উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এসময় তারা নিজ হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়েছেন। অনেকেই বাহারি পিঠার স্বাদ নিতে এসেছেন উৎসব স্থলে। কেউ আগ্রহ নিয়ে দেখছেন হরেক রকমের বই, গহনা ও পোশাক। কেউ আবার প্রিয়জনকে চিঠি দিতে ব্যস্ত। নানা ধরনের পিঠার মধ্যে ছিল সুইচ রোল পুলি, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেলপুলি, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধমালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন ও পাটিসাপটা।
উৎসবে ঘুরতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিশুক শাহরিয়ার বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতি বছরই ক্যাম্পাসে কুহেলিকা উৎসবের আয়োজন করা হয়। যারা তরুণ উদ্যোক্তা আছেন কুহেলিকা উৎসবের মাধ্যমে তারা সহজেই পণ্যগুলো সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এমন উৎসবের আয়োজন শুধু পণ্যের বেচাকেনাই নয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আমরা চাই প্রতি বছরই এমন আয়োজন হোক।
এই ব্যাপারে অভয়ারণ্যের সভাপতি নাঈমুল ফারাবী বলেন, কুহেলিকা উৎসব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা তৃতীয়বারের মত এটির আয়োজন করেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে উদ্বুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করা।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের মেলার আরো দুটি অংশ আছে। একটা হচ্ছে চিঠি মঞ্চ। যে কেউ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে তার প্রিয়জনকে চিঠি দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা ডাক পিয়নের কাজ করে থাকি। আর উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘রঞ্জন’ কালচারাল প্রোগ্রাম হয়। সেখানে আমাদের নিজ শিক্ষার্থীদের তৈরি গান, নাটক, কবিতা ইত্যাদি পরিচালনা করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মৌলিকতা চর্চা করা।