বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

আ.লীগের লিফলেট বিতরণই কাল, শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

‘আ.লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার’ বলা সেই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে মুকিব মিয়াকে আটক করা হয়। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ঢাকা […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৪

‘আ.লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার’ বলা সেই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে মুকিব মিয়াকে আটক করা হয়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুকিব মিয়া ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আটক এ কর্মকর্তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমান। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে শেকৃবি ক্যাম্পাস। আশ্রয়দানকারী ইলিয়াসুর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে আলাদা আলাদা মিছিল করেন শেকৃবি ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির বলেন, ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়াতে তারা এখনও বুক ফুলিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্যান্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত তাদের বিচার ও প্রত্যাহার চাই।

শেকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, তদন্তের নামে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রহসন করছে। ৬/৭ মাস পার হলেও এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সকল আওয়ামীপন্থিদের এলোটমেন্ট বাতিল করতে হবে।

শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ে বিচার কাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।

এর আগে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া।

লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি জানিয়ে তখন মুকিব মিয়া বলেছিলেন, ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি।

এতে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার। চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মুকিব মিয়া জানান, ছুটির আবেদন করেছি।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।

 

 

 

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

শিক্ষাঙ্গন

ভাষার জন্য রক্ত, বাঙালির মহত্ত্বকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

ভাষা একটি জাতির পরিচয়ের মূল ভিত্তি, আর মাতৃভাষা হলো হৃদয়ের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। বাঙালি জাতি তার ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে, যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলার মাটি, আর সেই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি।   জন্মের পর থেকেই আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলি, […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:২৫

ভাষা একটি জাতির পরিচয়ের মূল ভিত্তি, আর মাতৃভাষা হলো হৃদয়ের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। বাঙালি জাতি তার ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, আত্মত্যাগ করেছে, যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলার মাটি, আর সেই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি।  

জন্মের পর থেকেই আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলি, ভাব প্রকাশ করি, আবেগ ভাগ করি। আমাদের সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা—সবকিছুই মায়ের ভাষার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন আমরা জন্মভূমিকে ভালোবাসি, তেমনই মাতৃভাষার প্রতিও আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকা উচিত। ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি।  

বাঙালির ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা আমাদের ভাষার সংগ্রামকে বিশ্ব দরবারে সম্মানিত করেছে।  

আমাদের উচিত এই ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা, শুদ্ধভাবে ব্যবহার করা এবং নতুন প্রজন্মকে এর গুরুত্ব বোঝানো। কারণ ভাষা শুধু কথার মাধ্যম নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়, আমাদের গৌরব, আমাদের ঐতিহ্য। ভাষা রক্ষার এই শপথ হোক চিরন্তন।ভাষার মাসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা গুলো তুলে ধরেছেন -তানজিল কাজী 

বাংলার মাটি আর বাঙালির হৃদয়ের সুর একাকার। এখানে ভাষা কেবল শব্দের মালা নয়, এ ভাষার জন্য রক্ত ঝরেছে, জীবন দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায়। সেই রক্তের অক্ষরে লেখা ইতিহাস বাংলাকে করেছে মহীয়ান, বাঙালিকে করেছে অমর। ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের নজির বিশ্বে বিরল—এটাই বাঙালির অসামান্যতা। 

বাঙালির মহত্ত্ব তার সংস্কৃতির গভীরতায়, স্বপ্ন দেখার সাহসে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্তে লেখা বিদ্রোহে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে, নজরুলের চেতনায়, লালনের সুরে, প্রতিবাদের মিছিলে এই জাতি বারবার প্রমাণ করেছে: তাদের আত্মা অপরাজেয়। বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি শিকড়ের মতো প্রোথিত—বন্যার জলেও যা টিকে থাকে, ঝড়েও মাথা নোয়ায় না। 

ভাষা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস, সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের প্রেরণা। বাঙালির মহত্ত্ব কোনো অহংকার নয়, এটি এক গৌরবগাথা—যে গল্প বলতে বলতে বাংলার শিশুরা বড় হয়, যুবকেরা স্বপ্ন বোনে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যায় আলোর দিকে। এ ভাষা, এ মানুষ—যেন পদ্মার স্রোত: অবিরাম, অদম্য, চিরজীবনের।

মেহেদী হাসান 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

মাতৃদুগ্ধ যেমন শিশুর সর্বোত্তম পুষ্টি তেমনি মাতৃভাষার মাধ্যমে ঘটতে পারে একটি জাতির শ্রেষ্ঠ বিকাশ। মানুষের পরিচয়ের সেরা নির্নায়ক তার মাতৃভাষা। আক্ষরিক অর্থে মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা বোঝায়। মায়ের ভাষায় কথা বলে তথা আবেগ-অনুভূতি,আশা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে যতটা আত্নতৃপ্তি পাওয়া যায় অন্য কোনো ভাষায় সেটি সম্ভব নয়। পৃথিবীতে প্রায় ৭ হাজারের ও বেশি ভাষা রয়েছে কিন্তু মাতৃভাষার চেয়ে মধুর ভাষা একটিও নেই।বাংলা আমাদের মাতৃভাষা।

পৃথিবীতে বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যে দেশের মানুষ তাদের মাতৃভাষা রক্ষার্থে প্রান দান করেন শহীদ সালাম,জব্বার,রফিক,বরকতসহ আরো অনেক তাজা প্রান।তাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণ করে একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয।১৭ ই নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এর ৩১তম সম্মেলনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বর্তমানে পৃথিবীর মোট ১৮৮ টি দেশে পালিত হয় এই দিনটি। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে আমরা ফুল অর্পণ করে থাকি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। ভাষাশহীদেরা তাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের বিশ্ব দরবারে এক সম্মানের জায়গা নির্ধারিত করে দিয়েছে। বিশ্ব দরবারে সহস্র প্রানে আজও বেজে ওঠে

  আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।

ইশরাত জাহান হাফসা

ইংরেজি বিভাগ,সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।

“মাতৃভাষা” একটি আবেগ, আকাঙ্খা ও ভালোবাসার নাম। মায়ের ভাষায় কথা বলতে আমরা যতোটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি অন্য কোনোও ভাষায় তা সম্ভব নয়।

শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ, ইঙ্গ-মোঙ্গল, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য হাজারো জাতি, হাজারো ভাষা পৃথীবিতে থাকলেও বাঙালি জাতিই পৃথীবিতে প্রথম যারা মায়ের ভাষা রক্ষার্থে রাজপথে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলো। তাইতো ভাষার প্রতি এই ভালোবাসার উপহারস্বরূপ ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

আর আমরা ভাষা এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে গলা ছেড়ে গেয়ে যাই, ” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?” 

হাজারোও ভাষার মধ্যে আমার মায়ের মুখের ভাষা-ই সেরা। তাই তো কবি অতি আবেগে আপ্লুত হয়ে কন্ঠ ছেড়ে গেয়েছেন; আমি বাংলায় হাসি- বাংলায় কাদি, বাংলায় জেগে রই। 

মাতৃভাষার এই অমেয় সুধা যাদের কারণে আমরা পেয়েছি তাদের প্রতি সীমাহীন শ্রদ্ধা, বুকভরা ভালোবাসা। তাদের এই মহত্ত্ব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা করতে আমরা বাঙালি জাতি সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সর্বদা আপোষহীন। 

মাহমুদুল হাসান সুমন

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ 

ঢাকা কলেজ, ঢাকা।