তানজিল কাজী , ডিআইইউ প্রতিনিধিঃ
অষ্টমবারের মতো সমাবর্তন করলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪ জনকে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড, ১০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ড এবং ১৩ জনকে ডিন এওয়ার্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
সমাবর্তনে আরো আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এ্যাডভোকেট শাহেদ কামাল পাটোয়ারী, উপাচার্য প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সফট স্কিল, মূল্যবোধ এবং ভাষা অর্জনের তাগিদ দিয়ে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে।
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, তোমরা এখন নতুন জগতে ঢুকতে যাবে চাকরি করবে দেশে বিদেশে অথবা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে কিন্তু তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করবে। কেননা সততা ও নিষ্ঠা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হতে যে শিক্ষা অর্জন করি তা আমাদের সমগ্র জীবনকে প্রভাবিত করে। এটি যেমন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে, জীবনকে অর্থপূর্ণ ও দায়িত্বশীল করে তোলে তেমনি গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা সমাজের নানাবিধ সমস্যার সমমাধানের পথ দেখায়। তাই উচ্চশিক্ষা যে কোন জাতির জন্য অপরিহার্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশকৃত শিক্ষার্থীরা সমাজ বির্নিমানে ভুমিকা রাখছে। তবে আত্নসামাজিক ও পরিবেশ অবনতিতে তেমন কোন টেকশই ভুমিকা রাখতে পারছে না। আশা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যমে দিনব্যাপী সমাবর্তনের সমাপ্তি ঘটে।