সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

উন্নত প্রযুক্তি ও শিক্ষার সমন্বয়ে বুটেক্সে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু 

মোঃ আলী মোর্তজা বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-এ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন বিভাগ হিসেবে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি যুক্ত হচ্ছে। বিভাগটির আসন সংখ্যা ৪০। নতুন এই বিভাগটির শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।  টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিনারিজ। যা গবেষণা এবং শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির মেশিনারিজের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রন […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৯

মোঃ আলী মোর্তজা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-এ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন বিভাগ হিসেবে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি যুক্ত হচ্ছে। বিভাগটির আসন সংখ্যা ৪০। নতুন এই বিভাগটির শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। 

টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিনারিজ। যা গবেষণা এবং শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটির মেশিনারিজের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ যার দ্বারা পদার্থের মাইক্রো এবং ন্যানো স্কেলে গঠন বিশ্লেষণ করা যায়। রয়েছে এক্স-রে ডিফ্র্যাক্টোমিটার যা স্ফটিক কাঠামো এবং বস্তুর উপাদানগত গঠন নির্ণয় করে। বস্তুর উপাদানের পর্যবেক্ষণের জন্যও এটি খুবই কার্যকর। রয়েছে ডায়নামিক মেকানিক্যাল অ্যানালাইজার; এটি প্রধানত উপকরণের স্থিতিস্থাপকতা, সান্দ্রতা এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করে। উপাদানের তাপীয় স্থিতিশীলতা এবং ভর হ্রাসের হার নির্ণয়ের জন্য রয়েছে থার্মোগ্র্যাভিমেট্রিক অ্যানালাইজার।

এছাড়াও রয়েছে অ্যাটমিক ফোর্স মাইক্রোস্কোপ, স্পেকট্রোফটোমিটার, ড্রপ শেইপ অ্যানালাইজার, আল্ট্রাসনিক বাথ, ইলেকট্রিক্যাল রেজিসটিভিটি টেস্টার, থ্রি-ডি প্রিন্টার এবং র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিন, ফাইবার এবং পলিমার টেস্টিং যন্ত্র, ডিফারেনশিয়াল স্ক্যানিং ক্যালোরিমিটার (ডি.এস.সি), হাইড্রোলিক প্রেস এবং হিট প্রেস ইত্যাদি অত্যাধুনিক মেশিনারিজ।

বিভাগটির ল্যাবে বিদ্যমান আধুনিক মেশিনারিজসমূহ ব্যবহার করা যাবে নানাবিধ গবেষণার কাজে। যুগোপযোগী ন্যানোটেকনোলজি, পলিমার সাইন্স, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল এবং বায়োম্যাটেরিয়ালস নিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ল্যাবে বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী টেস্টিং এবং উন্নয়নের কাঠামোগত কাজ ল্যাবটিতে করা যাবে। 

বিভাগটি চালু করার কারণ প্রসঙ্গে বিভাগটির ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মোঃ মামুন কবীর বলেন, টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এমন একটি শাখা তৈরি করা যা পদার্থের গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে গবেষণা করে। বিভাগটি চালু করার আরও কয়েকটি কারণ হলো উন্নত প্রযুক্তির চাহিদা মেটানো, শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব সমাধান খুঁজে বের করা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রসার ঘটানো, সর্বোপরি শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। 

তিনি আরও বলেন, এই বিভাগটির ল্যাবের মেশিনারিজগুলো গবেষণা এবং শিক্ষার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। তবে যন্ত্রগুলোর নিয়মিত ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে ল্যাবের কার্যক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উদীয়মান প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আরও উন্নত মেশিনারিজ যোগ করার প্রয়োজন হতে পারে। 

নতুন বিভাগটির উচ্চশিক্ষায় কেমন সুযোগ রয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুটেক্সে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) এবং ডক্টরেট (পি.এইচ.ডি) পর্যায়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। 

এছাড়াও এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, জাপান) উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ম্যাটেরিয়াল সাইন্সের বিশেষায়িত বিষয়গুলোতে দক্ষতা তৈরি করে বিদেশে কাজ করারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। 

টেক্সটাইলের বর্তমান সংকট নিরসনে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি কেমন ভূমিকা রাখতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ম্যাটেরিয়ালস সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি সবে মাত্র শুরু হচ্ছে। এখান থেকে বৃহৎ পরিসরে ফলাফল পেতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু এটি গবেষণাধর্মী একটি বিষয়, তাই এখান থেকে ফলাফল আসতে সময়ের প্রয়োজন। উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করে গবেষণা করা, গবেষণার ফলাফল অনুধাবন এবং বাস্তবায়নের প্রত্যক্ষ ফলাফল পেতে হলে বছরের পর বছর সময় লেগে যেতে পারে। যেটির প্রেক্ষিতে টেক্সটাইলের বর্তমানের সংকটগুলো নিরসনে বিভাগটি অতিসত্বর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি মনে করি না।

গবেষণায় নতুন বিভাগটি কেমন ভূমিকা রাখবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফলপ্রসূ গবেষণার আশা করাটা যথার্থ নয়। এখানে কেমন ধরণের শিক্ষার্থী আসবে, তাদেরকে আমরা কীভাবে গবেষণার জন্য উপযুক্ত করে গড়তে পারি সেটি আসল বিষয়। গবেষণা করার জন্য মাস্টার্স এবং পি.এইচ.ডি লেভেল উপযুক্ত সময়। যোগ্য শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স, পি.এইচ.ডি লেভেলে যেয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে রিসার্চে অংশ নিতে পারে।

নতুন বিভাগটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কীরূপ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে নতুন বিভাগের প্রতি প্রত্যাশা তো সবারই থাকে। তবে এই বিভাগটির যেই কোর্স কারিকুলাম সেটি আন্ডারগ্রাজুয়েট পড়তে আসা যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি। এটি মাস্টার্স পর্যায়ের সেসব শিক্ষার্থী যারা আসলেই এটির সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম তাদের জন্য উপযুক্ত ছিল। তাছাড়া শুধু প্রত্যাশা রাখলেই তো হবে না, আমাদের উপযুক্ত শিক্ষক লাগবে, ছাত্র লাগবে, ছাত্রদেরকে সঠিকভাবে উপযুক্ত করে গড়তে হবে। প্রত্যাশা তো পরের ব্যাপার। এখন তো আমরা সবে শুরু করছি, সামনে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হবে, অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা যখন কয়েকটা ব্যাচ পার করবো, তখন ব্যাপারগুলো আরো দৃশ্যমান হবে। 

বিভাগটির ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধানের মতে নতুন এই বিভাগটি সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত যারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় আগ্রহী এবং প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও শিল্পক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করতে উৎসাহী। যারা শিল্প, গবেষণা, বা উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায়। এই বিভাগটি তাদের জন্য আদর্শ যারা সৃজনশীল, গবেষণামুখী এবং ভবিষ্যতের জন্য টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদান রাখতে চায়।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।

 

 

 

শিক্ষাঙ্গন

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর থেকে ফেরত সাবেক পিএইচডি আপা

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা। রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ […]

নিউজ ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৬

দেশ ত্যাগের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফেরত পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের নারী সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে। পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও তাকে পিএইচডি আপা বলে ডাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা।

রবিবার টার্কিস এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) একটি বিমানে তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। সোমবার বিমানবন্দর ও সরকারের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বৈরাচারের তকমা লাগিয়ে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালানোর পর ১২ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাদেকা হালিম ভিসি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক জবি ভিসি সাদেকা হালিম।
জানা যায়, রবিবার দেশত্যাগের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান সাদেকা হালিম। তার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। বিমানবন্দরের দায়িত্বশীলরা তাকে আটকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তার পাসপোর্ট রেখে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর সাদেকা হালিম সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

জবির সাবেক এই ভিসির দেশত্যাগের চেষ্টার বিষয়ে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গতকাল তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে বিমানবন্দরে আসেন। তার টিকিট কাটা ছিল টার্কিস এয়ারলাইন্সে। এসময় তিনি একাই ছিলেন। ইমিগ্রেশনে তাকে (সাদেকা) দেখে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বসতে বলেন। পরে কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করে সেখানে ডাকা হয়। বেশকিছু সময় তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নানান বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাদেকা হালিমকে জানানো হয়, তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং তার পাসপোর্টটি রেখে যেতে হবে। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কোটাকে কটাক্ষ করে বক্তব্য প্রদান ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি অঘাত বিশ্বাসের বুলি ফুটাতেন সাদেকা হালিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মোটিভ ও কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য শেখ হাসিনা পালানোর দুইদিন আগে গত ৩ আগষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তারা শপথ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতি অভিযোগ আছে। তবুও তার নামের শেষে পিএইচডি নামটি যোগ না করলে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হতো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম ছিল পিএইচডি আপা। ভিসি থাকাকালীন মসজিদে ঢুকে বক্তব্য দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

 

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।