তানজিল কাজী ডিআইইউ প্রতিনিধিঃ
দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ( ডিআইইউ) কালচারাল ক্লাব এর ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে আছেন সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান।
বুধবার রাতে ডিআইইউ কালচারাল ক্লাবের পেইজ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের কো- অর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক – ওমর ফারুক।
এছাড়া সহযোগী উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন -রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এর প্রভাষক শেখ দোয়েল এবং বিবিএ বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান।
কালচারাল ক্লাব কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ,
সহ সভাপতি – সুহানা নুর জান্নাতি, আইন বিভাগ
সহ সভাপতি – আরমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সহ সভাপতি – মো: রায়হান চৌধুরী তুষার, কম্পিউটার সাইন্স বিভাগ
সহ সাধারণ সম্পাদক – ফয়সাল হাবীব, ফার্মেসি বিভাগ
সহ সাধারণ সম্পাদক- রাসেল বাসুনিয়া, ইলেক্ট্রিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ
সহ সাধারণ সম্পাদক- মারজুক মুসতাভি মিরাজ, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ
ট্রেজারার – জাওয়াদ মাহমুদ, বিবিএ
সহকারী ট্রেজারার – রাহিকুল মাকতুম সানজি, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ
সহকারী ট্রেজারার – মিথী মুখার্জি, বিবিএ
সহকারী ট্রেজারার – ইসরাত জাহান ইরাদ, কম্পিউটার সাইন্স
সাংগঠনিক সম্পাদক- মুরাদ সরকার, সিভিল ইন্জিনিয়ারিং
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- তাসনিম, ইংরেজি বিভাগ
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- ফাহিম মাহমুদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- পারভিন, অর্থনীতি বিভাগ
মিডিয়া সম্পাদক – ফাহিম আহমেদ, কম্পিউটার সাইন্স
সহ মিডিয়া সম্পাদক – অপূর্ব কুমার, সিভিল ইন্জিনিয়ারিং
সহ মিডিয়া সম্পাদক – আনিসুর রহমান ফিলু, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার- শরিফুল আমিন সাজু, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
সহ ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার – জিনিয়া জাফরিন তন্বী, ফার্মেসি বিভাগ
কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন –
সিনথিয়া ফেরদৌসি সুমইায়া, ফার্মেসি
কৌশিক বিশ্বাস, ইইই
সজন সরকার, সমাজ বিজ্ঞান
জান্নাত নাফিলানুর ইশা, ইংরেজি
মহিমিনু খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
সুমাইয়া হক ইশা, ইংরেজি
আশরাফুল ইসলাম শিশির, ফার্মেসি
ফারিহা ইসলাম ফাইমা, বায়োকেমিস্ট্রি
সুরাইয়া সৃষ্টি, ইংরেজি
জাদিত রাহাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আবীর হোসেন, সিভিল ইন্জিনিয়ারিং
স্বর্ণালী ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি
কালচরাল ক্লাবের সভাপতি মো. সিয়াম বলেন,
প্রথমত ডিআইইউ কালচারাল ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি শুভেচ্ছা
আমার আশা ও প্রত্যাশা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব দেশব্যাপী পরিচিত লাভ করবে এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সংস্কৃতমনা শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠবে।
প্রতিটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কিছু কলেজ ও কালচারাল ক্লাব কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
এবং কালচারাল ক্লাবগুলো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চার পাথেয় হিসেবে কাজ করে এবং সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষিত সমাজের কাছে অধিকতর সহজ ও স্বাভাবিক করে তোলে।
বিভিন্ন আন্ত-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করে থাকে।
ডিআইইউ কালচারাল ক্লাব এই ধারা বজায় রাখতে বিগত কয়েকটি আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে।
এবং আমাদের ক্লাব থেকে সংস্কৃতমনা শিক্ষার্থীদের চর্চায় উৎসাহিত করতে দেশের স্বনামধন্য তারকাদের এনে ওয়ার্কসপের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে।
কালচারাল ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ওমর ফারুক বলেন,
ডিআইইউ কালচারাল ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আমার লক্ষ্য হলো এই ক্লাবকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিক দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে এবং নিজেদের ব্যক্তিত্বকে আরও পরিপূর্ণ করতে পারে।
ক্লাবের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই, যেন তারা নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নিবেদিত হয়।
আমাদের শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতিকে কেবল একটি কার্যক্রম হিসেবে নয়, বরং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে লালন করুক, এটাই আমার প্রত্যাশা।
গান, নৃত্য, নাটক, চিত্রকলা, ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রের মাধ্যমে তারা যেন তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও, আমি মনে করি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি আমাদের মানসিক বিকাশ ও সামাজিক সংহতির একটি শক্তিশালী উপাদান। ডিআইইউ কালচারাল ক্লাব সেই সংহতিকে আরও দৃঢ় করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও নেতৃত্বের মানসিকতা গড়ে তুলবে।
আমরা ভবিষ্যতে আরও নান্দনিক ও সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজন করব এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করব, যেখানে তারা তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করতে পারে।
আমি ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ক্লাবের উন্নয়ন এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সবার সহযোগিতায় আমরা ডিআইইউ কালচারাল ক্লাবকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব—এই বিশ্বাস নিয়েই আমি সামনের দিনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।