আশরাফুল ইসলাম (শেকৃবি প্রতিনিধি):
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটাব্যবস্থায় আনা হয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি কোটার হার কমিয়ে মেধাতালিকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির ভিত্তিতে গৃহীত এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্যাম্পাসের একটি বড় অংশ। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ উদ্যোগ ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত ও মেধাভিত্তিক করে তুলবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেকৃবির নতুন কোটাব্যবস্থায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও উপজাতিদের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল আছে। কোনো কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই আসন মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শেকৃবিতে ১১ শতাংশের বেশি কোটাব্যবস্থা কার্যকর ছিল, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই প্রশাসন কোটার সংখ্যা কমিয়ে নতুন এই ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করছে, এ উদ্যোগ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতার পাশাপাশি মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করবে। একজন শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “পোষ্য কোটা বাতিল এবং কোটার সংখ্যা কমিয়ে মেধাতালিকা অনুযায়ী আসন পূরণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এমন একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এই পরিবর্তন মেধাবীদের জন্য সুযোগ তৈরি করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিবর্তন শেকৃবির ভর্তি প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।