আশরাফুল ইসলাম (শেকৃবি প্রতিনিধি):
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন তার বাতিল হওয়া ছাত্রত্ব পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে আলোচিত হচ্ছেন। নিয়ম ভেঙে ছাত্রত্ব ফেরানোর চেষ্টায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদে পোষ্য কোটায় ভর্তি হন ফরহাদ। বারবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০২১ সালে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। তবে ২০২২ সালে তিনি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
সম্প্রতি, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফরহাদ তার ছাত্রত্ব ফিরে পেতে তৎপর হন। আগামী ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার আবেদন নিয়ে আলোচনা হবে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে চাপ প্রয়োগ করছেন।
ফরহাদের বিরুদ্ধে অতীতে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “নিয়ম অনুযায়ী এতদিন পর ছাত্রত্ব ফেরানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে প্রশাসন যদি ছাড় দেয়, তবে তা বিতর্কিত হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে একাডেমিক কাউন্সিল। নিয়মবহির্ভূত কিছু হবে না।”
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতিত ছিলাম এবং বিভিন্ন সময় ক্লাস করতে পারিনি। যেহেতু সে সময় আমার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে তাই একজন স্টুডেন্ট হিসাবে আমি আমার ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি এছাড়া কোন প্রকার লবিং এর সাথে আমি ব্যক্তি ফরহাদ যুক্ত নই।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১০ মে শেকৃবি ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তবে নির্দেশনা সত্ত্বেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম মেনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং রাজনৈতিক চাপ এড়িয়ে চলবে।