শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

অশ্লীলতায় ছেয়ে গেছে বাকৃবি : নেই নজরদারি

মো রায়হান আবিদ  (বাকৃবি প্রতিনিধি):  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্রমাগত বাড়ছে বহিরাগতদের অশ্লীলতা। দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়, নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বৈশাখী চত্বর, আমবাগান, টিএসসি লেকের পাড়, নদীর পাড়, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মাঠ বহিরাগতদের […]

নিউজ ডেস্ক

০২ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:৩৩

মো রায়হান আবিদ  (বাকৃবি প্রতিনিধি): 
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্রমাগত বাড়ছে বহিরাগতদের অশ্লীলতা। দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়, নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বৈশাখী চত্বর, আমবাগান, টিএসসি লেকের পাড়, নদীর পাড়, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মাঠ বহিরাগতদের বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে ক্যাম্পাসের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা। বিভিন্ন জায়গায় সন্ধ্যার পর বসে মাদকের আসর। বিভিন্ন জায়গায় হরহামেশাই পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের শিশি ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায়। ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পোশাক পরিহিত শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে এসে অবাধে জড়াচ্ছে অশ্লীলতায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে প্রায়ই অপ্রীতিকর ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। জানা যায়, প্রতিদিন কয়েকশত দর্শনার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যাটি ছাড়ায় সহস্রাধিক। অনেক দর্শনার্থী অশ্লীলতার অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নেয় ক্যাম্পাসকে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়ছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে, অন্যদিকে কেউ হচ্ছেন ইভটিজিংয়ের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী তাদের ভীতি ও অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন।
কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জয় মন্ডল বলেন, ক্যাম্পাসে দিনে দুপুরে যে অশ্লীলতা শুরু হয়েছে তাতে আমরা বিব্রত। অনেক সময় আমাদের অবিভাবকরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। তাদেরকে নিয়ে যখন ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখাই, তখন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীলতার সম্মুখীন হয়ে অবিভাবকের সামনে লজ্জিত হয়ে পড়ি। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি থাকলে এমনটা কখনই হতো না।
প্যারাসাইটোলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারাহ তাসফিয়া বলেন, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই বিব্রতকর। এগুলো শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। আমার অনেক বান্ধবী বহিরাগতদের ইভটিজিংয়ের শিকারও হয়েছে। নিজ ক্যাম্পাসে এগুলো কিভাবে মেনে নেওয়া যায়? প্রশাসনের নজরদারি বলতে তেমন কিছুই দেখা যায় না। শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও তা তেমন কার্যকর না। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে জোরালো কোনো তল্লাশি ব্যবস্থা নেই, যা নিরাপত্তার ঘাটতিকে আরও প্রকট করে তুলছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে বাকৃবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শনের সময় নিরাপত্তা কর্মীরা এমন কোন ঘটনা দেখলে তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া আছে।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সকলের জন্য খুবই বিব্রতকর। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মী সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা ওই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। সামনে প্রক্টরিয়াল বডি আরও নিরাপত্তা জোরদার করবে।

শিক্ষাঙ্গন

সেনবাগে আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।   রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৯ মে ২০২৫, ১৩:২৮

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ । 

এসময় সৌরভ হোসনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসএফ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং  নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা সাজেদা রশীদ শেলী, সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল জব্বার, ছিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,

৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মির্জা সোলাইমান,  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউসুফ মজুমদার সহ অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাডেমির আধুনিকীকরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে লায়ন সৈয়দ হারুন  বলেন  “বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী নানা সুবিধার সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনের আকর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত সুসজ্জিত স্কুল ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি স্কুল ড্রেস।  চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা প্লে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মক্তব শিক্ষা।

শিশুদের মানসিক বিকাশে কিডস এন্টারটেইনমেন্ট ও প্লে-জোন অভিভাবকদের জন্য টিভি ও পত্রিকা সহ আরামদায়ক ওয়েটিং রুম সিসিটিভি ক্যামেরায় স্কুলের কার্যক্রমের নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ। এবং আমাদের  সিইও স্যারের জন্য নির্ধারিত সুসজ্জিত অফিস কক্ষ। 

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ তার বক্তব্যে আরো বলেন আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিন্দু পরিমাণ আর্থিক লাভের আশা আমরা করি না। 

প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই। আমার মাঝে মাঝে খুবই ইচ্ছে করে এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যেটা আমার স্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন” এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন এই একাডেমি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম।

এখানে আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষারও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেনবাগের পাশাপাশি একটা সময় সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

শিক্ষাঙ্গন

কক্সবাজারে র‍্যাবিস ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে যবিপ্রবির ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক।  যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১২:১৪

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক। 

যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হার্ড ইমিউনিটির ৭০% সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।

যবিপ্রবি’র ইন্টার্ন ডাক্তার রেজাউল হাসান ফাহিম বলেন, এখানে অংশ নেওয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পে মানুষ

ও প্রাণীদের জন্য একসঙ্গে কাজ করে র‍্যাবিস নির্মূলের চেষ্টা একজন প্রাণীপ্রেমীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টি থাকার পরও আমরা ৭১.৪% কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এটি জাতীয় পর্যায়ে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে পুনর্জীবিত করার এক শক্তিশালী সূচনা। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সীমান্তজুড়ে র‍্যাবিস নিয়ন্ত্রণে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।

উল্লেখ্য, এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অবয়ারণ্য, মিশন র‍্যাবিস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউবিএস)। ডব্লিউবিএস ২০০৩ সাল থেকে প্রানীকল্যাণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

শিক্ষাঙ্গন

ঢাকার ২১টি কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসাসেবায় শেকৃবির শতাধিক শিক্ষার্থী

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ এবার ঢাকার কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রতারামুক্ত পশু বিক্রয় ও সেবা নিশ্চিত করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১০২ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদান করবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাটসহ মোট ২১টি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন শিক্ষার্থীরা। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ২০:০১

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ

এবার ঢাকার কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রতারামুক্ত পশু বিক্রয় ও সেবা নিশ্চিত করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১০২ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদান করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাটসহ মোট ২১টি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন শিক্ষার্থীরা।

একজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানের নেতৃত্বে প্রতিটি হাটে শিক্ষার্থীরা কাজ করবেন। বড় বাজারগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টিম দায়িত্ব পালন করবে।

শিক্ষার্থীরা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অসুস্থ বা হরমোন প্রয়োগ করা পশু শনাক্ত, প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির কাজ করবেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে তারা পশুর অসুস্থতা শনাক্তের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে তথ্য বিতরণ করবেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানির ঈদে সারাদেশে ৩৬০০টি হাট বসবে এবং এসব হাটে মোট ২০০০টি মোবাইল ভেটেরিনারি টিম দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকার হাটগুলোতে শেকৃবির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এই জাতীয় প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

“পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৫ উপলক্ষে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভায়” শেকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, “আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু হাতে নয়, মন দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে মাঠে নামছে।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, “এই উদ্যোগ পশু কল্যাণ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”

শিক্ষার্থীদের প্রদর্শিত সচেতনতামূলক বার্তাগুলোতে হরমোন প্রয়োগের লক্ষণ, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিজনিত অস্বাভাবিক আচরণ, নাক-মুখ দিয়ে অতিরিক্ত স্রাব বা লালা পড়া, দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা, খাবারে অনীহা ইত্যাদির বিষয় তুলে ধরা হয়।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪