মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

বাকৃবিতে রঙিন গোলাকার মুলার পরীক্ষামূলক উৎপাদন, হেক্টর প্রতি উৎপাদন ১৮ টন 

বাকৃবি প্রতিনিধি : মো রায়হান আবিদ  মুল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি শীতকালীন মূলজাতীয় সবজি। তবে আমাদের দেশে সাধারণত মূলার সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। দেশের মানুষ মুলার রূপান্তরিত মূল এবং পাতা দুটোই খেয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা যে মুলা নিয়ে গবেষণা করেছি সেটি রঙিন বর্ণের। […]

নিউজ ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৬

বাকৃবি প্রতিনিধি : মো রায়হান আবিদ 
মুল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি শীতকালীন মূলজাতীয় সবজি। তবে আমাদের দেশে সাধারণত মূলার সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। দেশের মানুষ মুলার রূপান্তরিত মূল এবং পাতা দুটোই খেয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা যে মুলা নিয়ে গবেষণা করেছি সেটি রঙিন বর্ণের। এখানে বেগুনি, লাল, গোলাপী, লাল-সাদা মিক্সচার কালারের জাত রয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণত লম্বা আকৃতির মূলা পাওয়া গেলেও দেশে প্রথমবারের মতো ৮টি রঙিন গোলাকার ও ডিম্বাকৃতির জাত ও ৬টি রঙিন লম্বা বিদেশী জাত এবং ৩টি দেশী জাতসহ মোট ১৭টি দেশী ও বিদেশী রঙিন জাতের মূলা নিয়ে গবেষণা করছি।
‘ অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ গবেষণাটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘বিদেশে বিশেষ করে আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেন ও জাপানে রঙিন গোলাকার মুলাকে সাধারণত ‘সালাদ মুলা’ হিসেবে খাওয়া হয়। তবে মূলত আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এবং মাটিতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই রঙিন জাতের মুলাগুলো সঠিকভাবে চাষাবাদ করা যায় কিনা তা জানার জন্যই আমাদের এই পরীক্ষামূলক গবেষণা।’ গবেষক দাবি করেন, ‘বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুলা সবজি হিসেবে রান্না করে খায়। তবে কেউ কেউ মুলার ঝাঁজ এবং হালকা গন্ধের জন্য কাচা খেতে পছন্দ করে না। তবে গোলাকার রঙিন মুলায় হালকা ঝাঁজ থাকলেও কাঁচা খেলে মুখে কোনো গন্ধ তৈরি হবে না। রঙ ও আকৃতির কারণে দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় শসার বিকল্প হিসেবে এই রঙিন মূলাগুলোকে সালাদ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যাবে।
‘ অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ রঙিন মুলার গুণাবলী নিয়ে জানান, ‘যেহেতু এটি রঙিন বর্ণের সেহেতু এটি এন্থোসায়ানিন ও এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই মুলা মানুষের ডায়াবেটিস কমাবে, রক্তের সুগার ব্যাপকভাবে কমাবে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে, উচ্চ রক্তচাপ কমাবে, অতি নিম্ন ক্যালরির হওয়ায় ডায়েটের জন্য এটি খুবই আদর্শ এবং মুলাতে ওরাল এন্টিকার্সিনোজেনিক কম্পাউন্ড থাকে যা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এজন্য উন্নত দেশে গোলাকার রঙিন মূলা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সালাদ। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার মানবদেহের হজমশক্তি বর্ধনে সাহায্য করে। মুলার মূলের রূপান্তরিত মূলের চেয়ে পাতায় বেশি পুষ্টিগুণ থাকে।
অধ্যাপক হারুন রঙিন মুলার ফলন সম্বন্ধে বলেন, ‘মুলা সাধারণত শীতকালীন সবজি হিসেবে সুপরিচিত। আমাদের এই রঙিন মুলার ক্ষেত্রে শীতের মৌসুমে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনেই ফলন পাওয়া সম্ভব। দেশে প্রচলিত জাতগুলোর ফলন পেতে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এক মৌসুমে কমপক্ষে তিনবার ফলন পাওয়া যেতে পারে এই গোলাকার রঙিন মুলার। সাধারণত আমেরিকা ও ব্রিটেনে গোলাকার রঙিন মুলার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ১৮-২০ টন।
তবে আমাদের এই পরীক্ষামূলক গবেষণায় গোলাকার রঙিন মুলার হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ১৫ থেকে ১৮ টন পর্যন্ত পাওয়া গেছে এবং মূলাপ্রতি গড় ওজন পাওয়া গেছে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং এটি দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।’ অধ্যাপক হারুন আরো বলেন, ‘পরীক্ষামূলক এই গবেষণাটি আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নেই করেছি। তবে রঙিন মূলার জাত নির্বাচন, জাত উন্নয়ন, পুষ্টিগুণ নির্ণয়ের জন্য সরকারি, বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা এই রঙিন মুলা নিয়ে বিশদ গবেষণা ও বিশ্লেষণ করতে পারবো। শীত মৌসুমে যেহেতু কমপক্ষে ৩ বার ফলন পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অর্থায়ন পেলে গ্রীষ্মকালসহ সারা বছরব্যাপী মূল ও শাক উৎপাদন ও পুস্টিগুণ নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব। যদি মূল তৈরি নাও হয় তবে পাতা তৈরি হবে, যা মুলা শাক হিসেবে বহুল পরিচিত। রঙিন মুলার চাষাবাদের ক্ষেত্রে রোগ বালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণও খুবই কম পাওয়া গেছে। রঙিন মুলার গ্রোথের কথা যদি বলি, তাহলে তা প্রচলিত দেশীয় মুলার চেয়ে তা কোনো অংশে কম নয়।’ **********
বিষয়ঃ

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

শিক্ষাঙ্গন

ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের পুনর্মিলনী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।   এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। শুক্রবার (৭ মার্চ) […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ২২:১৪

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর

সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।    অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এতে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মোনাজাত করেন ভূমদক্ষিন বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি শরিফুল ইসলাম,

আয়োজক এস এস সি ব্যাচ ২০০৫ এর মুখপাত্র মো:ইস্রাফিল শিকদার বলেন, প্রত্যেক বছরে আমরা এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে থাকি,ইনশাআল্লাহ আগামীতে মানিকগঞ্জ জেলার সকল বন্ধুদের নিয়ে এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, সহকারি প্রধান শিক্ষক জিলাল উদ্দিন মন্ডল, ঢাকা জর্জ কোর্টের এডভোকেট মো: সাজ্জাদ হোসেন,সৌদি প্রবাসী ব্যাবসায়ী মাহবুবুল আলম মিলন,ধল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব

মো: নাজমুল হাসান এনামুল,সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মো: ইমদাদুল হক রিপন,ফাস্ট ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল এর কর্নধার মো: মিলন হোসেন,ব্যাংক কর্মকর্তা প্রমুখ সহ সিংগাইর উপজেলার ২০০৫ সালের এস,এস,সি ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী বৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ

শিক্ষাঙ্গন

শাবি’-র ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সভাপতি জাহ্নবী, সাধারণ সম্পাদক হাসিব

মাহবুবুল ইসলাম ; শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিবেশ বিষয়ক একমাত্র সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র ১১ম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জাহ্নবী দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান মোল্লা মনোনীত হয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সংগঠনের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নতুন […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬

মাহবুবুল ইসলাম ; শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিবেশ বিষয়ক একমাত্র সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র ১১ম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।

নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জাহ্নবী দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান মোল্লা মনোনীত হয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) সংগঠনের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. রমজান হোসেন রনি এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিয়া জাহান মনি। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি হিসেবে মুনতাসিম আজিজ রাহিন, ফারিহা ফারহাত আহমেদ, হাফিজা বেগম বুলি। সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জিহাদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. আলিয়ুর রহমান, গবেষণা পরিষদ প্রধান ফৌজিয়া নূর, জি-স্টুডিও পরিষদ প্রধান মোহাম্মদ হানিফ হাসান নিশান , জি রেস্কিউ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার পরিষদ প্রধান কাজী সেফায়েত , অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া বিনতে সাদেক শান্তু, প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মুসরিফা আক্তার উর্মি, সহকারী প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম ও নুসাইবা মাহপারা সাবা, প্রকাশনা সম্পাদক আল মাহমুদ মাহিন ও নাজমুস সাকিব হুমাইরা এছাড়াও দপ্তর সম্পাদক হিসেবে তাহমিনা পারভিন তানিয়া মনোনীত হয়েছেন।