বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৮ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাঁধা, দায় নেবে না ছাত্রদল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩

সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাঁধা, দায় নেবে না ছাত্রদল
আশরাফুল ইসলাম ,(শেকৃবি প্রতিনিধি)
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) মিছিলের ভিডিও ধারন করার সময় এক সাংবাদিককে বাঁধা দেওয়ায় ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মিছিল চলাকালীন ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ তানিম-কে বাঁধা দেয় ছাত্রদল কর্মী রেজোয়ান ইসলাম সাদ।
বৃহস্পতিবার- শুক্রবার ( ১২-১৩ ডিসেম্বর) শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শেকৃবিতে ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও আগামীর বাংলাদেশ ‘ শীর্ষক প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে রাসাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অন্য একটি অংশের মিছিলের ভিডিও সংগ্রহের সময় ভিডিও করতে গেলে উক্ত ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেজোয়ান ইসলাম সাদ শেকৃবির কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ সেশনের ( ৮২ তম ব্যাচ) এর শিক্ষার্থী । ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যানারে প্রোগ্রামগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেন নিয়মিত।
এ ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনেরর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ তানিম বলেন,’ ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য প্রকাশ করা এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আলোচনায় নিয়ে আসা। কোনো সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাঁধা বা বন্ধ করার চেষ্টা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকতার নীতিমালার বিরুদ্ধে যায়। এটি একটি সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অন্তরায় হতে পারে।’
এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর কবীর বলেন, সাংবাদিকদের কজে যদি কেও বাধা দেয় তবে তার সাপোর্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নিবেনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল স্বাধীন দেশে সবাই স্বাধীন ভাবে কাজ করবে এই নীতিতে বিশ্বাসী। এখানে কেও কারো ভালো কাজে বাধা প্রদান করবে না। ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের কেউ যদি এ কাজ করে থাকে তবে তা একটি ন্যক্কারজনক কাজ। আমারা এগুলো জাস্টিফাই করবো তার সিনিয়রদের সাথে কথা বলব, তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিব। পরে দ্বায়িত্বশীলের সবাই বসে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি প্রক্টর প্রফেসর ড. আরফান আলী বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হলো ছবি তোলা এবং ভিডিও করা। সে হিসেবে সাংবাদিককে তার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করা কোনভাবেই সমীচিন নয়।
রেজোয়ান ইসলাম সাদ বলেন, আসলে অন্ধকার ছিল, বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল, আর আমি তাকে চিনতে পারি নি। এজন্য ভিডিও বন্ধ করতে বলেছিলাম। উল্লেখ্য, তাকে ছাত্রদলের সব ধরণের প্রোগ্রামে সক্রিয় দেখা গেলেও তাকে ছাত্রদলের কর্মী কিনা জিজ্ঞেস করা হলে সে জানান, আমি ছাত্রদলের কর্মী না তবে মৌনসম্মতি আছে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর