নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ তানসেন আবেদীন
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেছেন, ‘উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনার্সে পড়ছে। কিছুদিন পর তারা পাস করবে, কেউ কেউ সরকারি চাকরি পাবে। আমাদের দেশে অধিকাংশের লক্ষ্য সরকারি চাকরির। সরকারি চাকরিতে সেবা করার সুযোগ আছে, আবার দেশের মানুষের জন্য কাজ করার অনেক স্কোপ আছে। কিন্তু সকলের তো সরকারি চাকরি হবে না। আবার বেসরকারি চাকরি অস্থায়ী, প্রায়ই ছাঁটাই হয়। তবে যদি দক্ষ ও যোগ্যদের ক্ষেত্রে এমনটা কখনো হয় না। দক্ষতার অনেক মূল্য।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ কলেজ অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ফ্রি কম্পিউটার কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় কলেজে আইসিটি ক্লাব, ফট্রোগ্রাফি ক্লাব ও কল্যাণ সংঘের কার্যক্রম উদ্ধোধন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন অনেকে ইংরেজি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে। বাংলাদেশের কোনো এক জেলায় বসে আমেরিকা, ইউরোপের কাজ করছে। চাকরির পিছনে দৌড়াবো নাকি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করবো; এটি আমার উপর নির্ভর করে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। সময়মতো প্রস্তুতি না নিলে ১০ বছর পর আফসোস হবে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মানুষ অসম্ভব সম্ভাবনাময়ী। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে অমিত সম্ভবনা আছে। অবহেলায় সময় নষ্ট না করে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাও। কেউ যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হতে চায় খুব বেশি সময় লাগে না। হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশা সে-ই হয় যার কোনো লক্ষ্য বা স্বপ্ন নেই। স্বপ্ন তোমাদের দেখতে হবে। প্রত্যেকের একটি পরিকল্পনা থাকুক, তোমরা লক্ষ্য স্থির করো। সে অনুযায়ী প্রতিদিন এগিয়ে যাও। মানুষ যখন কনসাস মাইন্ডে স্বপ্ন দেখে, বিশ্বাস করে, সাব-কনসাস মাউন্ড তাকে ওইদিকে নিয়ে যায়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মাশফাকুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ফারুক আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান হরমুজ আলী, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সাবিত্রী রানি দত্ত প্রমুখ।