মো: তানভীর আহমেদ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ (১১ ডিসেম্বর) ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (CPDC)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে “Employability Masterclass and Scholarship Awarding Ceremony” শীর্ষক বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানটি ইউএনডিপি ফিউচারন্যাশন-এর অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ইউসুফ মাহবুবুল আলম, পিএইচডি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,“শিক্ষার্থীদের সঠিক দক্ষতা অর্জন ও পেশাগত প্রস্তুতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। এটি শুধু একটি শিক্ষার বিষয় নয়, বরং ভবিষ্যতের সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।ইউএনডিপি ফিউচারন্যাশন-এর এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের তাদের সামর্থ্য যাচাই করতে সহায়তা করবেএবং আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে নতুন পথ খুলে দেবে।আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস যোগাবে, যা তাদের পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর এম. মোফাজ্জেল হোসেন, পিএইচডি, এসএম আইইই এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফকরুদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব শাহরিয়ার মনজুর স্যার ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষীকাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রধান রিফাকাত রশীদ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকের প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। শুধু শিক্ষা নয়,বরং কিভাবে নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে,সিভি ভারি করে তুলতে হবে।কর্পোরেট সেক্টরে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করেন। এবং তিনি আরও বলেন এই ধরনের সেশন শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ সুযোগ, যা তাদের দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্কলারশিপ প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নত পেশাগত দিকনির্দেশনা এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল।
সবার মতে, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে আরও অনুপ্রাণিত করবে।