সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

ঢাকা ক্লাবে ভিসি সন্ধ্যা,

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: পুরোনো বন্ধু ও সিনিয়র-জুনিয়রদের কাছে পেয়ে কেউ ব্যস্ত কুশল বিনিময়ে, কেউবা একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন। কেউ খুলেছেন গল্পের ঝাঁপি। আবার কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তুলতে। কর্মব্যস্ততা ভুলে তারা সবাই মগ্ন হয়েছিলেন আড্ডায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন উপাচার্য, একজন উপ […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০৭

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পুরোনো বন্ধু ও সিনিয়র-জুনিয়রদের কাছে পেয়ে কেউ ব্যস্ত কুশল বিনিময়ে, কেউবা একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন। কেউ খুলেছেন গল্পের ঝাঁপি। আবার কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তুলতে। কর্মব্যস্ততা ভুলে তারা সবাই মগ্ন হয়েছিলেন আড্ডায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন উপাচার্য, একজন উপ উপাচার্যসহ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ক্লাবের মেম্বার অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের আয়োজনে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জে ছোট্ট পরিসরে এক প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
আলোচনার শুরুতে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর উপস্থিত অতিথিদের পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কাজের পাহাড়ে চাপা পড়ে আছি। সেই ক্লান্তি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে এবং সবার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।
এরপর একে একে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক  মুহাম্মদ ইসমাইল, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানকে।
অতিথিরা এরকম একটা আলোচনার  আয়োজন করার জন্য অধ্যাপক শেখরকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর সাথে তাদের দীর্ঘ পরিচয় পর্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাস ও হলের আড্ডা, পরবর্তীতে দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের নানা গল্পও তাতে উঠে আসে। আর তাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভালোবাসা বিনিময় করতে কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির দিনে বিশ্রাম না নিয়ে তাঁরা অধ্যাপক শেখরের ডাকে সাড়া দিয়ে বন্ধুত্বের টানে ছুটে আসেন ঢাকা ক্লাবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে আড্ডা দিতে গিয়ে শেখর ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং এরপর দীর্ঘ কয়েক দশক কেটে গেছে আমাদের বন্ধুত্বের।দিনে দিনে আমাদের জমেছে স্মৃতি, সমৃদ্ধ হয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুড়ি।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, একই মঞ্চে বা আলোচনায় একসাথে এত উপাচার্য আগে কখনো উপস্থিত ছিলেন বলে আমার জানা নেই। এরপর তিনি একটি কবিতাও আবৃত্তি করেন।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এরকম আলোচনা আমাদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় করে, অভিজ্ঞতা বিনিময় সহজতর করে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বয়সে আমি শেখরসহ এখানে যারা উপস্থিত আছেন তাদের অনেকের চেয়ে একটু সিনিয়র। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সহকর্মী, এখন উপাচার্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছি। আজকের এই আলোচনা  আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ এর কথা জানান দেয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কানাডায় বাংলাদেশের এম্বেসির কাউন্সিলর ড. জামিল, এনবিআর এর সদস্য এম এম ফজলুল হক আরিফ, কুমিল্লার কর কমিশনার শেখ মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

শিক্ষাঙ্গন

ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের পুনর্মিলনী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।   এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। শুক্রবার (৭ মার্চ) […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ২২:১৪

সোহেল রানা, উপজেলা প্রতিনিধি – সিংগাইর

সিংগাইরের ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজের ২০০৫ সালের এস এস সি ব্যাচের উদ্যোগে এক জমকালো ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

এস এস সি ২০০৫ সালের ব্যাচ প্রতি বছর এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করে থাকে, যা সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।    অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এতে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মোনাজাত করেন ভূমদক্ষিন বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি শরিফুল ইসলাম,

আয়োজক এস এস সি ব্যাচ ২০০৫ এর মুখপাত্র মো:ইস্রাফিল শিকদার বলেন, প্রত্যেক বছরে আমরা এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে থাকি,ইনশাআল্লাহ আগামীতে মানিকগঞ্জ জেলার সকল বন্ধুদের নিয়ে এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভূমদক্ষিন স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, সহকারি প্রধান শিক্ষক জিলাল উদ্দিন মন্ডল, ঢাকা জর্জ কোর্টের এডভোকেট মো: সাজ্জাদ হোসেন,সৌদি প্রবাসী ব্যাবসায়ী মাহবুবুল আলম মিলন,ধল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব

মো: নাজমুল হাসান এনামুল,সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মো: ইমদাদুল হক রিপন,ফাস্ট ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল এর কর্নধার মো: মিলন হোসেন,ব্যাংক কর্মকর্তা প্রমুখ সহ সিংগাইর উপজেলার ২০০৫ সালের এস,এস,সি ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী বৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ

উচ্চশিক্ষা

শাবি’-র ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সভাপতি জাহ্নবী, সাধারণ সম্পাদক হাসিব

মাহবুবুল ইসলাম ; শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিবেশ বিষয়ক একমাত্র সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র ১১ম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জাহ্নবী দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান মোল্লা মনোনীত হয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সংগঠনের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নতুন […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬

মাহবুবুল ইসলাম ; শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিবেশ বিষয়ক একমাত্র সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র ১১ম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।

নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জাহ্নবী দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান মোল্লা মনোনীত হয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) সংগঠনের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. রমজান হোসেন রনি এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিয়া জাহান মনি। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি হিসেবে মুনতাসিম আজিজ রাহিন, ফারিহা ফারহাত আহমেদ, হাফিজা বেগম বুলি। সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জিহাদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. আলিয়ুর রহমান, গবেষণা পরিষদ প্রধান ফৌজিয়া নূর, জি-স্টুডিও পরিষদ প্রধান মোহাম্মদ হানিফ হাসান নিশান , জি রেস্কিউ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার পরিষদ প্রধান কাজী সেফায়েত , অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া বিনতে সাদেক শান্তু, প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মুসরিফা আক্তার উর্মি, সহকারী প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম ও নুসাইবা মাহপারা সাবা, প্রকাশনা সম্পাদক আল মাহমুদ মাহিন ও নাজমুস সাকিব হুমাইরা এছাড়াও দপ্তর সম্পাদক হিসেবে তাহমিনা পারভিন তানিয়া মনোনীত হয়েছেন।

শিক্ষাঙ্গন

তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ: শেকৃবি ছাত্রদল

শেকৃবি প্রতিনিধি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাম্প্রতিক বরখাস্তের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শেকৃবি ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষপাতমূলকভাবে কাজ করেছে এবং বরখাস্তের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। তাদের দাবি, […]

তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ: শেকৃবি ছাত্রদল

শেকৃবি ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:১৩

শেকৃবি প্রতিনিধি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাম্প্রতিক বরখাস্তের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শেকৃবি ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষপাতমূলকভাবে কাজ করেছে এবং বরখাস্তের ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। তাদের দাবি, ১৯ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলেও, আন্দোলন দমনে সক্রিয় ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনেকেই শাস্তির বাইরে রয়ে গেছেন।

ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ— স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং ব্যক্তিগত আনুগত্য ও রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় বরখাস্তের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখা অনেক ব্যক্তি এখনো প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় আছেন।

ছাত্রদল হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, তারা তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ক্ষমতাসীন পক্ষের প্রতি আনুগত্যশীল নীল দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কোনো শাস্তি হয়নি, যা প্রশাসনিক পক্ষপাতের পরিষ্কার উদাহরণ।

শেকৃবি ছাত্রদল দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে।