মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

বরগুনার আমতলীতে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

রাশিমুল হক রিমন, (বরগুনা প্রতিনিধি): তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম রাসেল সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে। আহত সাংবাদিক রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাসেল পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৭

রাশিমুল হক রিমন, (বরগুনা প্রতিনিধি):
তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম রাসেল সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে। আহত সাংবাদিক রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাসেল পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শনিবার প্রতিবাদ সভা করেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে আমতলী পৌর শহরের বটতলা বাস স্ট্যান্ডে। সাংবাদিক এইএম রাসেল আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক।
জানাগেছে,আমতলী পৌর শহরের বটতলা বাস স্ট্যান্ড শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন ফকিরের ছোট ছেলে রাহাত ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকমর্ী নিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা বাস স্ট্যান্ডে চান্ডব চালিয়ে ৮ টি কাউন্টার ভাংচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই তান্ডবের ছবি আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম রাসেল ভিডিও ধারণ ও ছবি ধারন করছিল।
ওই সময় পিছন দিক থেকে সন্ত্রাসীরা এতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাংবাদিক রাসেলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে রাসেলের মাথায় ও হাতের একটি আঙ্গুলে গুরুতর জখম হয়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক রাসেলের অ্যানডোয়েট মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তাকে রক্ষায় জনি গাজী এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত রাসেল ও জনি গাজীকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খান তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ওই হাসপাতালে রাসেল ও জনি গাজীকে ভর্তি করা হয়েছে। সাংবাদিক রাসেলকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখমের ঘটনায় শনিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোটার মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমতলী প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাসস বরগুনা জেলা প্রতিনিধি একেএম খায়রুল বাশার বুলবুল, আমতলী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাড, সৈয়দ নুহু-উল আলম নবীন, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম সাইদ খোকন।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন আলী কাজীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক আহবায়ক পরিতোষ কর্মকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম কাওসার মাদবর , চ্যানেল আমতলীর পরিচালক সাইফুল্লাহ নাশির, প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নাশির মাহমুদ, সাংবাদিব ক্লাব সভাপতি সুমন রশিদ, উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সজিব আহমেদ, নারী সাংবাদিক নাসরিন শিপু, মনিরুজ্জামান মনির, ইকবাল তালুকদার, মাহবুব বিশ্বাস টিটু, রিপন মুন্সি, রাসেমুল হক রিমন ও পিএম সাজ্জাদ শরীফ।
প্রত্যক্ষদশর্ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ ফকিরের ছোট ছেলে রাহাত ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাস স্ট্যান্ডে তান্ডব চালায়। তারা আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা বাস স্ট্যান্ডের ৮ টি কাউন্টার ভাংচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় সাংবাদিক ভিডিও ধারন ও ছবি তুলতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করেছে।
আহত সাংবাদিক এইচএম রাসেল বলেন, বাস স্ট্যান্ড দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারন ও ছবি তুলতেছিলাম। এ সময় পিছন থেকে সন্ত্রাসীরা এসে আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মইনুদ্দিন মামুন বলেন, বটতলা বাস স্ট্যান্ডে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি বাস কাউন্টারগুলোর সাটার বন্ধ। আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ ফকির বলেন, ওই স্থানে কি হয়েছে আমি জানিনা। আমি একটি সালিশীতে ছিলাম। ঘটনার খোজ খবর নিয়ে দেখি কি হয়েছে?
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খঁান বলেন, আহত সাংবাদিক রাসেলের মাথা, বাম হাতের আঙ্গুল ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক আহতের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।