সাব্বির হোসেন, হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য ও গেন্দুকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ , সাকিব, সৌরভ, মিনারুল, সিরাজুল আবদার রহমান, জুয়েল, সুমন , মনির, কাজল ও জীবন ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেই অভিযোগ করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সঙ্গে আতিকুল ও নূরলদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ওই এলাকায় জমায়েত হতে থাকে।
একপর্যায়ে আতিকুল, নূরল গংদের লোকজন ইউপি সদস্য হামিদ ও তার লোকজনের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। ফলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে করে উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আহত আব্দুল হামিদ বলেন, ওই জমি আমার। আমি আবাদ করেছি। এমনকি ধান কেটে জমিতে রেখেছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ধান তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা হামলা করে। আমি আমার ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হই।
অভিযুক্ত নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন জামাই এই জমি আগে থেকে ভোগ করে আসছে। তারা জোরপূর্বক জমি নিজেদের দাবি করছে। আমরা ধান তুলতে এলে তারা এসে আমাদের বাধা দেয়। তাদের কাছে যদি জমির কাগজ থেকে থাকে তাহলে দেখাবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।