রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

মোঃরবিউল আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউপির বুড়িরপাড় গ্রামের আওয়ামী লীগের আবুলকালাম আজাদের সহচর কুখ্যাত সন্ত্রাসী কথিত ডাক্তার মোস্তফা, তানজিল নেয়ামতগংদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্য রাজপথে নেমেছেন বুড়িরপার গ্রামের ঈঁদগাহ বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন। কুমিল্লর দেবিদ্বার উপজেলার বুড়িরপাড় ঈঁদগা সংলগ্ন দেবিদ্বার আঞ্চলিক সড়কে শনিবার সকালে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী […]

নিউজ ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩০

মোঃরবিউল আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউপির বুড়িরপাড় গ্রামের আওয়ামী লীগের আবুলকালাম আজাদের সহচর কুখ্যাত সন্ত্রাসী কথিত ডাক্তার মোস্তফা, তানজিল নেয়ামতগংদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্য রাজপথে নেমেছেন বুড়িরপার গ্রামের ঈঁদগাহ বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন।

কুমিল্লর দেবিদ্বার উপজেলার বুড়িরপাড় ঈঁদগা সংলগ্ন দেবিদ্বার আঞ্চলিক সড়কে শনিবার সকালে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন সন্ত্রাসী কথিত ডাক্তার মোস্তফা ও তানজিল গংদের হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে, পরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুখ্যাত আওয়ামী সন্ত্রাসী সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের অন্যতম সহচর দ্বারা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লুটতরাজ হামলা মামলার শিকার।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল মুহুর্মুহু শ্লোগানে পুরো এলাকায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মিছিলকারীরা চাঁদাবাজ ও হামলা মিথ্যামামলা, লুটপাটকারীদের হুঁশিয়ার ও গ্রেফতারের দাবিতে শ্লোগান দেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন

এসময় স্থানীয় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বলেন ফ্যাসীবাদী সরকারের সহচর সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের পালিত সন্ত্রাসীদের অত্যাচার থেকে ৫০ বছর পূর্বের নির্মিত ঈঁদগাহ দখলের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এসময় ভুক্তভোগী রা জানায় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে রাজি না হওয়া ব্যবসায়ী সততা সেনিটারি মার্ট এর স্বতাধিকার মো মোশাররফ হোসেন সহ অন্যান্য দের উপর অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়।

এব্যাপারে মোশাররফ হোসেন বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকে এপর্যন্ত আমার কাছে সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে আমি তাদেরকে বলি আমার তো এতো টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ নাই, এই কথা বলাতে তারা গত রবিবার সকালে আমার দোকানের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে এবং লুটতরাজ করে। এসময় স্থানীয় এবং আমার স্বজনেরা প্রতিবাদ করতে আসলে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে,

আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে, আমি আমাদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসীদের বিচার এবং শাস্তি দাবি করছি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বলেন তাদের হুমকিতে ব্যবসায়ীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে মার্কেট ছেড়ে চলে গেছে।

বুড়িরপার ঈদগাহ বাজারের সভাপতি মো:আওয়াল সরকার বলেন বাজারের একটা কমিটি রয়েছে সেই কমিটির ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ব্যবসায়ীদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লোক রয়েছে। এরা ব্যবসায়িদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করে, কিছু দিন আগে এক টায়ার দোকানীকে মারধর করে, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি, আমরা এদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে পরিত্রাণ চাই। বাজার সেক্রেটারি মো খোরশেদ আলম বলেন গত শনিবার সন্ধ্যায়

জসিমের সাথে ১০ টাকা নিয়ে ঝগড়া লেগে তাকে মারধর করে, পড়ে যাওয়ার সময় শোডাউন দিয়া যায় আর স্লোগান দিয়া কয় একজন একজন কইরা মারবি একটা কইরা মিস্টি খাইবি, এর পরের দিন সততা সেনিটারির মালিক মোশাররফের লগে ঝগড়া লাগলো, তার উপর হামলা করে তার ৫-৭ লাখ টাকার মালমাল ভেঙে ফেলেছে আমরা এসব সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। মানববন্ধনে উপস্থিত প্রবাসী মো:এরশাদ তিনি বলেন আমি দীর্ঘ

৩০ বছর যাবৎ প্রবাসে ছিলাম বর্তমানে দেশে আসার পরেও তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারিনা, তারা মানুষের দোকানপাট ভাংচুর করে, আমাদের লোক পাইলে মাইরধর করে,আমরা সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। মো:সালেহ আহম্মদ বলেন পূর্বেও তারা নির্বাচনী বিষয় নিয়ে নানজ রকম সন্ত্রাসী

কার্যকলাপ হরে আসতো, এখনো স্থানীয় লোকজন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, গত রবিবারে পূর্বপাড়ার ব্যবসয়ী মোশাররফ মিয়ার দোকান ভাংচুর করে, লুটতরাজ করে, আমরা এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই, স্থানীয় দোকানী মো রাসেল বলেন সন্ত্রাসীরা দোকান পাট ভাংচুর কইরা যায় আর জিগাইরা জিগাইরা যায় আর বলতাছে পূর্ব পাড়ার যারে পাবি তারেই পিডাবি। এ বিষয়ে বুধবার কুমিল্লা জজকোর্ট মোস্তফা ও তানজিল নেয়ামত গংদের বিরুদ্ধে

দ্রুত বচার আইনে মামলা হয়েছে। এব্যাপার দেবিদ্বার থানা ইনচার্জ খালেদ সাইফুল্লাহ জানান আমি এখনো কোন কিছু জানিনা,আমার কাছে আদালত থেকে যে নির্দেশ আসবে দেখে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সারাদেশ

মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথার ব্যান্ডেজ লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।