কে এইচএম নুরুল আলম কামাল (নেত্রকোণা প্রতিনিধি):
আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সোহাগ মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ চার মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালে তার মরদেহ উত্তোলন হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে সোহাগের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২০ আগস্ট ঢাকা ডিএমপি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শাফায়েত। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ’সহ অজ্ঞানামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোহাগ নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামের মো. শাফায়েত মিয়া’র ছেলে।
এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোর উত্তর মালিবাগ পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিআইডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে আদালতে মরদেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার সকালে মরদেহটি তোলা হয়েছে।
নিহতের বাবা শাফায়াত মিয়া বলেন, সোহাগ মারা যাওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। তখন কেউ কারো কোন খোঁজ খবর নেয় না। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ময়না তদন্তে বাড়িতে এনে লাশ দাফন করি। কিন্তু মামলা তদন্ত স্বার্থে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে। আজ পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাস্ট উত্তোলন করেছে।
উল্লেখ্য, নিহত সোহাগ পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাবা মো. শাফায়েত ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে শুনেন তার ছেলে হাসপাতালে।
সেখানে গিয়ে দেখতে পান গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে সোহাগের নিথর দেহ। পরে হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের মরদেহ দাফন করা হয়।