আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি স্পিড বোট থেকে চারটি ককটেল সদৃশ বস্তুসহ বিপুল পরিমাণ পটকা উদ্ধার করছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে সরকার অনুমোদিত বালুমহাল না থাকলেও রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করত একটি চক্র। বেশ কয়েকবার সেখানে অভিযান চালালেও চক্রটির তৎপরতা বন্ধ করা যায়নি।
সর্বশেষ গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত আটটা থেকে চক্রটি একাধিক ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে, এমন খবরে মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে অবৈধ বালুমহাল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়।
পাশাপাশি দুটি ড্রেজার, একটি বাল্কহেড, দুটি স্পিডবোট জব্দ করা হয়। এ সময় একটি নৌযান থেকে চারটি তাজা ককটেল, ১৫টি পটকা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক পাঁচজনকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামন শরীফ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে পরিচালিত অভিযানে আমরা পাঁচজনকে আটক করি। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অবৈধ বালুমহাল পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি নৌযান জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা চারটি তাজা ককটেল, ১৫টি পটকাও উদ্ধার করেছি। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে গজারিয়া থানা ও নৌপুলিশ।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?