মেহেদী হাসান মেহের বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নের মনাইখালী গ্রামের এস.এম লিটু মিয়ার ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ সরকার ফাহাদ ওরফে সিথিল (১৫) নামে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সিথিল বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি এসএমএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির ছাত্র ছিলো।
তার সাথে একই মহল্লার আরো ৮ জন নারী ও পুরুষকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, নিহত সিথিলের পিতা লিটু মিয়া একাধিক বিবাহ ও মামলা সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।
এরই জেরে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিনগত রাতে মহিউদ্দিন তার দলবল নিয়ে সিথিলের বাড়িসহ তার স্বজনদের বাড়িতে হামলা চালায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়।
এতে আহত হয় সিথিলসহ শহীদ শিকদার, রহমত মেম্বার, ময়না আক্তার, শফিকুল ইসলাম, হাসেম মিয়াসহ মোট ৯ জন। তাদের ভোরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সিথিল মারা যায়। এবং আরো তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশসহ তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, মনাইখালী গ্রামের ঘটনাটির পর নিহতের মামা গনি মিয়া ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। সিথিলের হত্যার ঘটনায় এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান বলেন আমাদের মেধাবী ছাত্র সিথিলের এমন মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি, আর তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছি।